্ ডেস্ক ॥ প্রায় সকলের
ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা দরকার। অনেকেই
ড্রাইভিং সাইসেন্স করতে যেয়ে নানান জটিলতায় পড়েন।
এসব জটিলতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয়ে অবগত
না থাকার কারনেই হয়। আজ আমরা আপনাদের জানাব
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আপনার
যা যা লাগবে বা করতে হবে তার বিষয়ে বিস্তারিত।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ
রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স,
পেশাদার , অপেশাদার, পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর
ইত্যাদি বিভাগে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। তবে সকল প্রকার
ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার আগে অবশ্যই
আপনাকে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
করতে হবে। পেশাদার, অপেশাদার, পিএসভি ও
ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য
পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আপনাকে শিক্ষানবিশ
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েই থাকতে হবে। শিক্ষানবিশ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ তিন মাস। ভারি যানবাহন
চালানোর জন্য লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ৩
বছরের হালকা মোটরযান চালানোর লাইসেন্স
ধারী হতে হবে।
ফি
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে শুধু
প্রাইভেটকারের জন্য ফি ২৩০ টাকা এবং প্রাইভেটকার ও
মোটরসাইকেলের জন্য এক সাথে ফি ৩৪৫ টাকা।
ফি বিআরটিএ নির্ধারিত পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
আপনার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ
হয়ার আগে এবং আপনি যদি পেশাদার, অপেশাদার,
পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স
গ্রহণের জন্য পরীক্ষায় পাশ করেন তবে আপনি পেশাদার,
অপেশাদার, পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর
ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য আবেদন
করতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে আবেদন ফি এক একটির
এক এক রকম। অপেশাদার লাইসেন্স ফি এর
ক্ষেত্রে প্রাইভেটকারের জন্য ২,৩০০
টাকা এবং হালকা বাহন ও মোটরসাইকেলের জন্য ২,৪০০
টাকা।
বয়স
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই
২০ বছরের বেশি হতে হবে এবং অপেশাদার
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনার বয়স ১৮ হলেই
হবে।
আরও জানুনঃ অনলাইনে MRP পাসপোর্ট
আবেদনের বিস্তারিত তথ্য
যোগ্যতা
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে,
এসবের মাঝে স্বাস্থ্য, শারীরিক, মানসিক
এবং শিক্ষা এই বিভাগ সমূহে বিশেষ কিছু
বাধ্যবাধকতা আপনাকে পূরণ করতে হবে। চলুন
জেনে নেয়া যাক কোন কোন
ক্ষেত্রে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য
বলে বিবেচিত হবেন না।
১) আপনি যদি অষ্টম শ্রেণী পাশ না হন।
২) আপনি যদি মৃগী রোগী, বধির, রাতকানা, হৃদরোগী,
বর্ণান্ধ হয়ে থাকেন।
৩) আপনি যদি শারীরিক অক্ষমতা/শারীরিক স্বল্পতা/
ত্রুটির কারণে গাড়ি চালনায় অযোগ্য হন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে আপনার
যা যা লাগবে
১) বিআরটিএ অফিস থেকে ছাপানো নির্ধারিত আবেদন
ফরম।
২) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা সনদ
সাথে রক্তের গ্রুপ।
৩) সদ্য তোলা ৩ কপি ছবি আবেদন ফরমের
সাথে বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে।
৪) শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হলে তার জন্য
নির্ধারিত ফি এবং পেশাদার, অপেশাদার, পিএসভি ও
ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য
আবেদন করলে তার জন্য নির্ধারিত ফি বিআরটিএ
নির্ধারিত পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
৫) আবেদন পত্র সকল জেলা শহরে নির্ধারিত বিআরটিএ
অফিসে জমা দেয়া যাবে।
আরও জানুনঃ পিসিতে ভাইরাস আক্রমণের পর
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে
আবেদন রিভিউ সময় সীমা
আপনি উপরের সব ধাপ পেরিয়ে শিক্ষানবিশ আবেদন পত্র
জমা দেয়ার পর বিআরটিএ আবেদনপত্র বিচার বিশ্লেষণ
শেষে সাত দিনের মধ্যে আপনাকে একটি নির্ধারিত
তারিখে ৩ মাসের জন্য শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান
করবে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী ধাপ
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যাওয়ার
পরে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিস থেকে আপনাকে লিখিত,
মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার তারিখ
জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত তারিখে আপনি পরিক্ষায়
অংশ নিয়ে যদি পাশ করেন তবেই আপনি আপনার পছন্দ
অনুযায়ী যে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান ঐ
গাড়ি নিয়ে বিআরটিএ অফিসের নির্ধারিত
স্থানে (জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে) ব্যবহারিক
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ৩
টি পরীক্ষা দিতে হবে। এগুলো হচ্ছে, জিগজ্যাগ টেস্ট,
জাম্প টেস্ট ও রোড টেস্ট। এই পরীক্ষা সমূহে পাশ
করলেই কর্তৃপক্ষ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
করবে।
মেয়াদ বা নবায়ন
সকল প্রকার অপেশাদার লাইসেন্স ১০ বছর ও পেশাদার
লাইসেন্স পাঁচ বছর পর নবায়ন করাতে হয়। অন্যথায় ঐ
লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে।
আমাদের পরবর্তী পর্বে থাকছে আপনি কিভাবে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত
প্রতিবেদন। চোখ রাখুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা দরকার। অনেকেই
ড্রাইভিং সাইসেন্স করতে যেয়ে নানান জটিলতায় পড়েন।
এসব জটিলতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয়ে অবগত
না থাকার কারনেই হয়। আজ আমরা আপনাদের জানাব
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আপনার
যা যা লাগবে বা করতে হবে তার বিষয়ে বিস্তারিত।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ
রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স,
পেশাদার , অপেশাদার, পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর
ইত্যাদি বিভাগে লাইসেন্স দিয়ে থাকে। তবে সকল প্রকার
ড্রাইভিং লাইসেন্স নেয়ার আগে অবশ্যই
আপনাকে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
করতে হবে। পেশাদার, অপেশাদার, পিএসভি ও
ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য
পরীক্ষার আগ পর্যন্ত আপনাকে শিক্ষানবিশ
ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েই থাকতে হবে। শিক্ষানবিশ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ তিন মাস। ভারি যানবাহন
চালানোর জন্য লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ৩
বছরের হালকা মোটরযান চালানোর লাইসেন্স
ধারী হতে হবে।
ফি
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের ক্ষেত্রে শুধু
প্রাইভেটকারের জন্য ফি ২৩০ টাকা এবং প্রাইভেটকার ও
মোটরসাইকেলের জন্য এক সাথে ফি ৩৪৫ টাকা।
ফি বিআরটিএ নির্ধারিত পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
আপনার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ
হয়ার আগে এবং আপনি যদি পেশাদার, অপেশাদার,
পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স
গ্রহণের জন্য পরীক্ষায় পাশ করেন তবে আপনি পেশাদার,
অপেশাদার, পিএসভি ও ইনস্ট্রাক্টর
ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য আবেদন
করতে পারবেন। এসব ক্ষেত্রে আবেদন ফি এক একটির
এক এক রকম। অপেশাদার লাইসেন্স ফি এর
ক্ষেত্রে প্রাইভেটকারের জন্য ২,৩০০
টাকা এবং হালকা বাহন ও মোটরসাইকেলের জন্য ২,৪০০
টাকা।
বয়স
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই
২০ বছরের বেশি হতে হবে এবং অপেশাদার
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আপনার বয়স ১৮ হলেই
হবে।
আরও জানুনঃ অনলাইনে MRP পাসপোর্ট
আবেদনের বিস্তারিত তথ্য
যোগ্যতা
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে,
এসবের মাঝে স্বাস্থ্য, শারীরিক, মানসিক
এবং শিক্ষা এই বিভাগ সমূহে বিশেষ কিছু
বাধ্যবাধকতা আপনাকে পূরণ করতে হবে। চলুন
জেনে নেয়া যাক কোন কোন
ক্ষেত্রে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য
বলে বিবেচিত হবেন না।
১) আপনি যদি অষ্টম শ্রেণী পাশ না হন।
২) আপনি যদি মৃগী রোগী, বধির, রাতকানা, হৃদরোগী,
বর্ণান্ধ হয়ে থাকেন।
৩) আপনি যদি শারীরিক অক্ষমতা/শারীরিক স্বল্পতা/
ত্রুটির কারণে গাড়ি চালনায় অযোগ্য হন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে আপনার
যা যা লাগবে
১) বিআরটিএ অফিস থেকে ছাপানো নির্ধারিত আবেদন
ফরম।
২) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা সনদ
সাথে রক্তের গ্রুপ।
৩) সদ্য তোলা ৩ কপি ছবি আবেদন ফরমের
সাথে বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে।
৪) শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হলে তার জন্য
নির্ধারিত ফি এবং পেশাদার, অপেশাদার, পিএসভি ও
ইনস্ট্রাক্টর ইত্যাদি ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণের জন্য
আবেদন করলে তার জন্য নির্ধারিত ফি বিআরটিএ
নির্ধারিত পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
৫) আবেদন পত্র সকল জেলা শহরে নির্ধারিত বিআরটিএ
অফিসে জমা দেয়া যাবে।
আরও জানুনঃ পিসিতে ভাইরাস আক্রমণের পর
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পর্কে
আবেদন রিভিউ সময় সীমা
আপনি উপরের সব ধাপ পেরিয়ে শিক্ষানবিশ আবেদন পত্র
জমা দেয়ার পর বিআরটিএ আবেদনপত্র বিচার বিশ্লেষণ
শেষে সাত দিনের মধ্যে আপনাকে একটি নির্ধারিত
তারিখে ৩ মাসের জন্য শিক্ষানবিশ লাইসেন্স প্রদান
করবে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী ধাপ
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে যাওয়ার
পরে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিস থেকে আপনাকে লিখিত,
মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার তারিখ
জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত তারিখে আপনি পরিক্ষায়
অংশ নিয়ে যদি পাশ করেন তবেই আপনি আপনার পছন্দ
অনুযায়ী যে গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান ঐ
গাড়ি নিয়ে বিআরটিএ অফিসের নির্ধারিত
স্থানে (জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে) ব্যবহারিক
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ৩
টি পরীক্ষা দিতে হবে। এগুলো হচ্ছে, জিগজ্যাগ টেস্ট,
জাম্প টেস্ট ও রোড টেস্ট। এই পরীক্ষা সমূহে পাশ
করলেই কর্তৃপক্ষ আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
করবে।
মেয়াদ বা নবায়ন
সকল প্রকার অপেশাদার লাইসেন্স ১০ বছর ও পেশাদার
লাইসেন্স পাঁচ বছর পর নবায়ন করাতে হয়। অন্যথায় ঐ
লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে।
আমাদের পরবর্তী পর্বে থাকছে আপনি কিভাবে আপনার
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত
প্রতিবেদন। চোখ রাখুন
No comments:
Post a Comment