Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Tuesday, November 4, 2014

৩ টার্মিনালেই দূরপাল্লার বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীর

ঢাকা: জামায়াতের
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ
কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের ‘প্রতিবাদে’ ও
সকল নেতাকর্মীর মুক্তির
দাবিতে ডাকা হরতালের প্রভাব পড়েছে দেশের
দূরপাল্লার বাসরুটগুলোতে। বুধবার
হরতালে রাজধানীর তিন আন্তঃজেলা বাস
টার্মিনাল গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ
থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে হরতাল
ঢিলেঢালা ভেবে টার্মিনালে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন
যাত্রীরা।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল
থেকে দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছাড়ছে না।
বুধবার সকালে ওই
টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ
কাউন্টার বন্ধ। সেখান থেকে দূরপাল্লার
কোনো বাস ছাড়ছে না। তবে দেশের উত্তরাঞ্চল
থেকে মঙ্গলবার
রাতে ছেড়ে আসা গাড়িগুলো পুলিশ পাহারায়
রাজধানীতে প্রবেশ করেছে।
তবে এ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার
গাড়ি না চললেও আশপাশের
জেলাগুলোতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ভাড়ার পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও একের পর এক
গাড়ি চলছে। গাবতলি থেকে পাটুরিয়া,
ধামরাই, মানিকগঞ্জ, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর,
মির্জাপুর এসব রুটে গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
এনা পরিবহনের একজন চালক
বাংলামেইলকে বলেন, ‘দূরপাল্লার
কোনো গাড়ি ছাড়া হচ্ছে না। শুধু
রাজধানীতে চলাচলকারী গাড়িগুলো ছাড়তে ওপরের
নির্দশ রয়েছে। যাত্রী থাকুক আর না থাকুক
গাড়িগুলো ছাড়তেই হবে।’
নীলফামারীগামী যাত্রী আশরাফ
আলী বাংলামেইলকে বলেন, ‘সকাল
থেকে স্টেশনে বসে আছি। কিন্তু কেউ টিকেট
দিচ্ছে না। তারা বলছে, হরতাল শেষ
না হওয়া পর্যন্ত কোনো গাড়ি ছাড়া হবে না।’
তিনি বলেন, আমাকে বাড়িতে যেতেই হবে।’
সায়দাবাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা যায়,
সকাল থেকে দূরপাল্লার বাসগুলো পড়ে আছে।
ঢিলেঢালা হরতালে দূরপাল্লার বাস চলবে এমন
আশায় অনেক
যাত্রী টার্মিনালে এসে ভোগান্তিতে পড়েন।
অনেকে যাত্রীকে দেখা গেছে বাসে উঠে বসে থাকতে।
ঢাকা-হোমনা রুটের একটি বাসে
বসে থাকা যাত্রী আমেনা বেগম
বাংলামেইলকে বলেন, ‘আজকে আমার শ্বশুর
বাড়ি যেতে হবে। সকাল থেকে বসে আছি,
কোনো বাস ছাড়ছে না যাত্রী কম বলে।’
ওই বাসের কর্মী লিটন বলেন, ‘টিকিট
হাতে নিয়ে বসে আছি। কোনো যাত্রী নেই।
যাত্রী পেলে দুপুরের দিকে বাস ছাড়তে পারি।
তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
মহাখালী বাস টার্মিনালেও দেখা গেছে একই
অবস্থা। সকাল
থেকে কোনো গাড়ি ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
ঢাকা জেলা বাস-মিনি বাস ও সড়ক পরিবহন
শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ রহিম উদ্দিন
রহিম বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমাদের
গাড়ি বন্ধ নাই। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায়
দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
সকালে ইমাম পরিবহনের
দুটি গাড়ি হালুয়াঘাটের
উদ্দেশে যাত্রা করেছে।’
তবে ওই টার্মিনালের এনা পরিবহননের
কাউন্টার মাস্টার বললেন ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, ‘হরতাল তাই আমাদের গাড়ি বন্ধ
রয়েছে। সবাই যদি গাড়ি ছাড়ে তাহলে আমরাও
ছাড়বো।’
এদিকে বাস না চলায় গন্তবের
উদ্দেশ্যে টার্মিনালে আসা যাত্রীরা পড়েছেন
ভোগান্তিতে। নরসিংদীর যাত্রী সুমী আক্তার ১
বছরের
শিশুকে নিয়ে মহাখালী বাসটার্মিনালে এসেছেন।
তিনি কলেরা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আজ
সকালে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিলিজ
দেয়। বাড়ি যাওয়ার জন্য টার্মিনালে গাড়ির
জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। কিন্তু গাড়ির
মালিকরা পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকার কারণ
দেখিয়ে গাড়ি ছাড়ছেন না বলে জানান তিনি।
নেত্রকোনার যাত্রী রমজান
বাংলামেইলকে বলেন, ‘ভাই
কাউন্টারে ঘুরছি কিন্তু কোনো লোক নেই।
বুঝতেছি না কখন টিকিট পাব আর কখন
বাড়ি যেতে পারবো।’
মহাখালী বাস টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম
বাংলামেইলকে বলেন, ‘টার্মিনালের আইন –
শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে।
এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
দূরপাল্লার বাস ছাড়ার
ব্যাপারে আপনারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন
কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রী নেই
গাড়ি কিভাবে ছাড়বে।
তবে সকালে কয়েকটি গাড়ি ছেড়েছে।’

No comments: