Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Showing posts with label b. Show all posts
Showing posts with label b. Show all posts

Sunday, April 27, 2014

নিগৃহীত মুসলিম রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা ওবামার

নিগৃহীত মুসলিম
রোহিঙ্গাদের
পাশে দাঁড়ানোর
ঘোষণা ওবামার
সময় : । প্রকাশের তারিখ :
27/04/2014
ঢাকা: রাষ্ট্রীয়
সফরে এশিয়ায় আসার পর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা এখন
অবস্থান করছেন
এশিয়ার অন্যতম
অর্থনৈতিক
শক্তি মালয়েশিয়ায়।
প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে আলোচনায়
মিয়ানমারের প্রসঙ্গ
উত্থাপিত হলে ওবামা মন্তব্য করেন,
দেশটিতে সংখ্যায় স্বল্প মুসলিমদের অধিকার
সঠিকভাবে রক্ষিত হচ্ছে না।
কুয়ালালামপুরে পুত্রজায়ার পার্দানাপুত্র
ভবনে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের
সঙ্গে আলোচনায় ওবামা বলেন,
‘মিয়ানমারে সংখ্যায় স্বল্প
মুসলিমরা (রোহিঙ্গা) বহুদিন ধরে বসবাস
করছেন এবং বহুকাল ধরেই বৃহৎ মুসলিম
গোষ্ঠীর এ অংশটিকে এখানে খুব হীন
চোখে দেখা হচ্ছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিয়ানমারের
মুসলিমদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর
সঙ্গে মিয়ানমারের ভবিষ্যৎকে সংশ্লিষ্ট
করে বলেন, ‘মুসলিম নাগরিকদের ওপর
নিগ্রহ চলতে থাকলে মিয়ানমার সফল
হতে পারবে না।’ তবে তিনি মিয়ানমারের
বর্তমান রাজনৈতিক পুনর্গঠনকে ইতিবাচক
চোখে দেখছেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর স্থানীয়
রাখাইনদের নিগ্রহ ও নিপীড়ন, এমনকি দেশ
থেকে বিতারণ প্রচেষ্টার কথা বিশ্বের
সবক’টি গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত
হয়ে চলেছে। এই বিতারণে খোদ সরকার মদদ
দিচ্ছে। রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন
প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ
করেছে জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বলা হয় ‘বিশ্বের
সবচেয়ে কম প্রত্যাশিত জনপদ’ এবং ‘বিশ্বের
অন্যতম নিগৃহীত সংখ্যালঘু’। ১৯৮২ সালের
নাগরিকত্ব আইনের ফলে তারা নাগরিকত্ব
থেকে বঞ্চিত হয়।
তারা সরকারি অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ
করতে পারে না, জমির মালিক
হতে পারে না এবং দুইটির বেশি সন্তান
না নেয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর
করতে হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব
অনুসারে, ১৯৭৮ সাল থেকে মিয়ানমারের
মুসলিম রোহিঙ্গারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের
শিকার
হচ্ছে এবং তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য
হচ্ছে।
মিয়ানমারের সরকারি হিসাবেই ২০১২
সালে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রাখাইন
রাজ্যে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের
মধ্যে সংঘাতে ১৯২ জন নিহত হয়। যাদের
বেশিরভাগই রোহিঙ্গা।
২০০৫ সালে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক
হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ
থেকে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে,
কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন
ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই
উদ্যোগ ভেস্তে যায়।


Posted via Blogaway