ঢাকা: ধরুন বাংলা ছবির নাম ‘সুপার
স্টার’। কিন্তু সেই ছবিটি এখনো নির্মাণই
হয়নি। এখন বলুন তো ছবির
কাহিনী কী হবে? নিশ্চয়ই চোখ বন্ধ
করে বলে দিতে পারবেন পুরো ছবির
কাহিনীই।
নায়ক কষ্ট করে ঢাকার রাস্তায়
কাঠফাটা রোদে রিকশা চালাচ্ছে, এর
মধ্যে এক লোক তার রিকশায় উঠলেন। ওই
লোকের হাতে একটা ব্রিফকেস। নিশ্চয়ই
বুঝে গেছেন ওই ব্রিফকেস ভর্তি টাকা, আর
সেটিকে রিকশায় ফেলে রেখেই চলে যাবেন
তিনি। তারপর...। তারপরের
কাহিনী আপনার মনের ভেতর যা আঁকা তাই।
ওই রিকশাচালক যথারীতি তার সততার
পরিচয় দিয়ে টাকা ভর্তি ওই
ব্রিফকেসটি মালিকের কাছে পৌঁছে দিলেন
এবং বিশাল সম্পতির মালিক হয়ে গেলেন।
কীভাবে হলেন তাও আপনি জানেন।
কিন্তু এখন যেটা বলবো সেটাকে আবার
বাংলা চলচ্চিত্রের
কোনো কাহিনী হিসেবে দেখবেন না।
এটা সম্পূর্ণ বাস্তব। এক সময় অর্থ
উপার্জনের জন্য মাথার ঘাম
পায়ে ফেলে দিল্লির রাস্তায়
রিকশা চালাতেন ধরমবির কাম্বোজ। এখন
তিনি বড় ব্যবসায়ী।
বছরে সরকারকে ট্যাক্সই দেন ৭০ লাখ
টাকা।
ভাবছেন কীভাবে? একটি দুর্ঘটনা তার
জীবনে অনেক কিছুই পাল্টে দেয়। হঠাৎ
করেই ছুটে যেতে হয় হরিয়ানায় নিজ
গ্রামে। সেখানে গিয়েই শুরু করলেন
আমলকি ও অ্যালোভিরার জুস তৈরি।
প্রথমে ছোট পরিসরে। এরপর ওই জুস
প্যাকেটবন্দি করে বিক্রি করতে শুরু করলেন।
আস্তে আস্তে চাহিদা বাড়তে থাকে। কয়েকজন
বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগও হয় তার।
ধরমবির বলেন, ‘ব্যবসা শুরুর জন্য
আমরা সাহায্য চাই। সরকারের কাছ
থেকে ২৫ হাজার টাকা লোনও পাই।
তা দিয়ে ২০০৭ সালে আমলকি চাষ শুরু করি।
এরপর তার রস বের করে বিক্রি করতাম।
ক্রমশ চাহিদা বাড়তে থাকে।’
তবে তিনি আমলকির রস বিক্রি করেই
এতো বড় হয়েছেন তা নয়। আজ
তাকে প্রতিপত্তি এনে দিয়েছে তার
তৈরি একটি যন্ত্র।
এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, চাহিদার
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হয়।
তখন আমলকি থেকে রস বের
করতে গিয়ে অনেক সময়েই হাতে আঘাত
পেয়েছেন। তাই তিনি একটি যন্ত্র তৈরির
সিদ্ধান্ত নেন। পরে তিনি এবং তার
স্ত্রী একটি যন্ত্র তৈরি করেন
যা দিয়ে আমলকি, অ্যালোভিরা এবং অন্যান্য
সব্জির রস সহজেই বের করা যায়।
আর সেই যন্ত্রের মাধ্যমে তার ব্যবস
দিনে দিনে বড় হতে থাকে। উপার্জিত অর্থ
দিয়ে স্থাপন করেন
একটি প্রোসেসিং প্ল্যান্ট। এখন বছরে প্রায়
৭০ লাখ টাকা ট্যাক্স জমা দেন
বলে তিনি জানান।
এমনকি তার এই সাফল্যের জন্য
রাষ্ট্রপতি প্রণব
মুখার্জি তাকে দিল্লিতে এনে সম্মাননা দেন।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment