গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ
সরকার বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার জামায়াতের নিষিদ্ধ
ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে রাজনৈতিক ইস্যু
হিসেবে ব্যবহার করছে। আসলেই তারা জামায়াতের নিষিদ্ধ
ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। আমাদের
কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা এটাই প্রমাণ করে।
তিনি শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের
সামনে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের বিক্ষোভ
সমাবেশে এসব কথা বলেন।
গত ২ জুন আইনমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও
কর্মসূচীতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার
প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার
শাহবাগে এসে শেষ হয়।
ইমরান বলেন, আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের
প্রতিবাদে আমাদের শান্তিপূর্ণ
কর্মসূচিতে হামলা করে পুলিশ। তবে এ ধরণের
অভিজ্ঞতা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই
পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ পরিস্থিতির
মধ্যে দিয়ে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ৬
দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত
আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। আমাদের আন্দোলন চলবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার
কর্মী খুশী কবির, আবুল কালাম আজাদ, ডাকসু’র সাবেক
জিএস ড. মোশতাক হোসেন ও ভিপি রাগিব হাসান
মোল্লা, কবি মোহন রায়হান, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ
সম্পাদক লাকি আক্তার, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক
জামশেদ আনোয়ার তপন প্রমুখ।
খুশি করিব বলেন, একজন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসি দিয়ে সকল
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হতে দিব না। যতদিন পর্যন্ত
সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি না হবে ততদিন
এই আন্দোলন চলবে।
ড. মোশতাক হোসেন বলেন, সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ ও
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তরিক নয়। তাই নানা তাল-
বাহানা করছে সরকার। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য
ধরণের এই ধরণের কর্মকান্ড করছেন বলে মনে কনের
তিনি।
রাগিব হাসান মোল্লা বলেন, গত বছরের ৫
ফেব্রুয়ারি থেকে যারা নতুন বাংলাদেশের ডাক দিয়েছিল
তাঁদেরকে বার বার পুলিশের লাঠিচার্জ করা হচ্ছে।
এতে প্রমাণিত হয় সরকার যুদ্ধাপরাধীদের মদদপুষ্ঠ। কেউ
এই আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারবে না।
Posted via BN24Hour
No comments:
Post a Comment