নিউজ ডেস্ক :একটি সুন্দর পোশাক পরেছেন আপনি।
অথচ পেটের মেদের কারণে সেই পোষাকের
সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে! এই
বিচ্ছিরি পেটের মেদ কমাতে নানা জনের
নানা পরামর্শে আমরা অনেক সময় এমন কিছু কাজ
করে থাকি, যেগুলো আসলে আমাদের পেটের মেদ
না কমিয়ে উলটো ভুঁড়ি আরো বাড়িয়ে তুলতেই
সাহায্য করে। অথচ দিনের পর দিন কি কষ্ট করেই
না পেটের মেদ কমাবার জন্যে এ
কাজগুলো আমরা করে থাকি। অথচ ফলাফল শূন্য
অথবা আরো ক্ষতিকর কিছু! কী সেই ভুল? আসুন,
জানা যাক।
১। পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেয়াঃ
বাড়তি মেদের কারণে পেটের ভুড়ি কমাতে অনেকেই
প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন পেটে। যেমন
পেটের ওপর কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে টাইট
করে বেঁধে রাখা, পেটে প্রচন্ড চাপ
দিয়ে ব্যায়াম করা ইত্যাদি। কিন্তু
এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনার কাজ হল,
পেটের উপরে জমে থাকা চর্বির
স্তরকে গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করা। কিন্তু এসব
তাড়াহুড়ার কাজের কারনে চর্বি তো পোড়েই
না বরং নানা শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২। একেবারেই না খেয়ে থাকাঃ
অনেকেই পেটের মেদ কমাতে সারাদিন
না খেয়ে থাকার পক্ষপাতী। অথচ এটা আপনার
শরীরের জন্যে কি পরিমাণ ক্ষতিকর,
তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এর
ফলে আপনার দেহের মেটাবলিজম ক্ষমতা কমে যায়।
সেই সাথে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়া সহ
বলিরেখা, বুড়িয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাবার মত
সমস্যাগুলোও হতে পারে।
৮ ক্র্যাশ ডায়েটঃ
কেউ কেউ আবার ইদানিং পেটের মেদ
কমাতে ক্র্যাশ ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন। এটি হল
খুবই কম পরিমাণে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু খাবার
খেয়ে দ্রুত ওজন কমাবার চেষ্টা। এতে সাধারনত
ডায়েটকারীরা সারাদিন শসা বা গাজর
খেয়ে থাকেন। কিন্তু এতে যে সমস্যাটা হয় তা হল,
এ ধরনের খাবার কখনোই আপনার ক্ষুধা মেটায় না।
তাই দিনশেষে আপনি প্রচন্ড ক্ষুধার্ত বোধ করবেন
এবং কিছুতেই নিজেকে অন্যান্য খাবার ভরপেট
খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন
না। সুতরাং ওজন বাড়বেই। এছাড়া দেহে অন্যান্য
উপাদানের অভাবের কারণে নানা শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাজারে চলতি বিজ্ঞাপন দেখে ওজন কমাবার ওষুধ
খেয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু আপনি কি জানেন
কি ভয়াবহ
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অপেক্ষা করছে আপনার জন্যে?
এটি আপনার অরুচী তৈরী করবে ফলে আপনার
ক্ষুধাবোধ কমে যাবে এবং সেই সাথে আপনার
কিডনি নষ্ট করার জন্যেও ভুমিকা রাখতে পারে এ
ধরনের ওষুধ।
৫। ভাত বা শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই
না খাওয়াঃ
দেহে সব ধরনের উপাদানেরই প্রয়োজন আছে। তাই
ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়াটা বোকামী। কম
পরিমাণে হলেও খেতে হবে।
। এক দিনে প্রচুর ব্যায়াম করাঃ
এক দিনে প্রচুর ব্যায়াম করে পরের এক সপ্তাহ
একেবারেই ব্যায়াম না করার কারণেও কিন্তু
আপনার পেটের মেদ বাড়তে পারে।
পেটের মেদ কমাতে একটু সময় লাগবেই।
রাতারাতি ওজন কমাবার কোন উপায়
বেছে নিতে যাবেন না। ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ
নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। দেখবেন, পেটের মেদ
ঝরে গিয়ে আবার হয়ে উঠেছেন সুন্দর দেহের
অধিকারী। সুস্থ থাকুন!
-
অথচ পেটের মেদের কারণে সেই পোষাকের
সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে! এই
বিচ্ছিরি পেটের মেদ কমাতে নানা জনের
নানা পরামর্শে আমরা অনেক সময় এমন কিছু কাজ
করে থাকি, যেগুলো আসলে আমাদের পেটের মেদ
না কমিয়ে উলটো ভুঁড়ি আরো বাড়িয়ে তুলতেই
সাহায্য করে। অথচ দিনের পর দিন কি কষ্ট করেই
না পেটের মেদ কমাবার জন্যে এ
কাজগুলো আমরা করে থাকি। অথচ ফলাফল শূন্য
অথবা আরো ক্ষতিকর কিছু! কী সেই ভুল? আসুন,
জানা যাক।
১। পেটের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেয়াঃ
বাড়তি মেদের কারণে পেটের ভুড়ি কমাতে অনেকেই
প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন পেটে। যেমন
পেটের ওপর কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে টাইট
করে বেঁধে রাখা, পেটে প্রচন্ড চাপ
দিয়ে ব্যায়াম করা ইত্যাদি। কিন্তু
এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনার কাজ হল,
পেটের উপরে জমে থাকা চর্বির
স্তরকে গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করা। কিন্তু এসব
তাড়াহুড়ার কাজের কারনে চর্বি তো পোড়েই
না বরং নানা শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২। একেবারেই না খেয়ে থাকাঃ
অনেকেই পেটের মেদ কমাতে সারাদিন
না খেয়ে থাকার পক্ষপাতী। অথচ এটা আপনার
শরীরের জন্যে কি পরিমাণ ক্ষতিকর,
তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এর
ফলে আপনার দেহের মেটাবলিজম ক্ষমতা কমে যায়।
সেই সাথে চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়া সহ
বলিরেখা, বুড়িয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাবার মত
সমস্যাগুলোও হতে পারে।
৮ ক্র্যাশ ডায়েটঃ
কেউ কেউ আবার ইদানিং পেটের মেদ
কমাতে ক্র্যাশ ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন। এটি হল
খুবই কম পরিমাণে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু খাবার
খেয়ে দ্রুত ওজন কমাবার চেষ্টা। এতে সাধারনত
ডায়েটকারীরা সারাদিন শসা বা গাজর
খেয়ে থাকেন। কিন্তু এতে যে সমস্যাটা হয় তা হল,
এ ধরনের খাবার কখনোই আপনার ক্ষুধা মেটায় না।
তাই দিনশেষে আপনি প্রচন্ড ক্ষুধার্ত বোধ করবেন
এবং কিছুতেই নিজেকে অন্যান্য খাবার ভরপেট
খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন
না। সুতরাং ওজন বাড়বেই। এছাড়া দেহে অন্যান্য
উপাদানের অভাবের কারণে নানা শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাজারে চলতি বিজ্ঞাপন দেখে ওজন কমাবার ওষুধ
খেয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু আপনি কি জানেন
কি ভয়াবহ
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অপেক্ষা করছে আপনার জন্যে?
এটি আপনার অরুচী তৈরী করবে ফলে আপনার
ক্ষুধাবোধ কমে যাবে এবং সেই সাথে আপনার
কিডনি নষ্ট করার জন্যেও ভুমিকা রাখতে পারে এ
ধরনের ওষুধ।
৫। ভাত বা শর্করা জাতীয় খাবার একেবারেই
না খাওয়াঃ
দেহে সব ধরনের উপাদানেরই প্রয়োজন আছে। তাই
ভাত বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
একেবারেই বাদ দিয়ে দেয়াটা বোকামী। কম
পরিমাণে হলেও খেতে হবে।
। এক দিনে প্রচুর ব্যায়াম করাঃ
এক দিনে প্রচুর ব্যায়াম করে পরের এক সপ্তাহ
একেবারেই ব্যায়াম না করার কারণেও কিন্তু
আপনার পেটের মেদ বাড়তে পারে।
পেটের মেদ কমাতে একটু সময় লাগবেই।
রাতারাতি ওজন কমাবার কোন উপায়
বেছে নিতে যাবেন না। ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ
নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। দেখবেন, পেটের মেদ
ঝরে গিয়ে আবার হয়ে উঠেছেন সুন্দর দেহের
অধিকারী। সুস্থ থাকুন!
-
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment