'ভূমিকম্পের সময় ঘর থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক'
রবিবার এপ্রিল ২৬, ২০১৫, ১০:০৮ এএম.
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজন বিভিন্ন ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে হুড়োহুড়িতে বহু লোক আহত হয়েছেন।
শত শত মানুষ বাসা-বাড়ি এবং অফিস কার্যালয় থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বহুতল অনেক ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায় অনেককেই। কিন্তু ভূমিকম্প হলে আসলে কি করতে হবে সে সম্পর্কে সচেতন নন অনেকেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কারখানা গুলোয় কামাল বলেন, ভূমিকম্প যখন চলতে থাকে তখন কোনোভাবেই আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নামা যাবে না।
তিনি বলেন, বাড়ি ঘর কিংবা অফিস যে যেখানে আছে সেখানেই শক্ত কোনো কিছুর আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করতে হবে। যেমন কলাম কিংবা বিমের সংযোগস্থলে, টেবিল বা খাটের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। কিন্তু ওপর তলা থেকে নিচে নামা কিংবা রাস্তায় দাঁড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
তিনি আরাে বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে কম্পনে স্থাপনার কোনো ক্ষতি না হলেও লাফিয়ে পড়ে কিংবা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বড় ভূমিকম্প হলে কোনোভাবেই অবকাঠামো টিকবে না। কিন্তু মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলে কাঠামো টিকে যাবে এবং এভাবে আশ্রয় নিতে পারলে মাথা কিংবা শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রক্ষা পেতে পারে। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ চালাতে পারেন। কিন্তু ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা বিপজ্জ্নক বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক কামাল।
তবে ঢাকার মতো একটি জনবহুল এবং বহুতল ভবনে ঠাসা শহরে সে ধরনের সুযোগ কতটা?
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামাল বলেন, এখানে অফিস বা ভবন নির্মাণের সময় নগর দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে তৈরি করা হয় না। সেই দিক থেকে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী দেশ নেপালে ৮০ বছর পর এ ধরনের বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্প হলো। বাংলাদেশে ১০০ বছরের বেশি সময় আগে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ভূমিকম্প এখানেও হতে পারে বলে গবেষণায় জানা যাচ্ছে।
তার মতে, ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে গণমাধ্যমে সরকার ছোট ছোট তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সচেতন করতে পারে। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দিতে হবে
No comments:
Post a Comment