Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Friday, August 29, 2014

না ফেরার দেশে চলে গেলেন পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষটি

ডেস্ক রিপোর্ট : পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষটির
মৃতদেহ কবরস্থানে নেওয়া হয়েছে ট্রাকে করে, কারণ
তার দেহ এত বিশাল যে শবযানে জায়গা হয়নি।
বিশাল আকৃতির এই মানবের নাম নিওনিড স্ট্যাডনিক।
তার বয়স হয়েছিল ৪৪। ধারণা করা হতো, তার
উচ্চতা ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি। কিন্তু
উচ্চতা মাপাকে অপমানজনক মনে করে তিনি গিনেজ
ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কর্মকর্তাদের প্রত্যাখ্যান
করেন।
১২ বছর বয়সে মস্তিকে অপারেশনের পর থেকে তার
উচ্চতা বাড়তে থাকে লিওনিডের। তিনি তখন
বুঝতে পেরেছিলেন যে এটা তার জন্য অভিশাপ।
অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে তিনি কখনো বাসে উঠতে পারতেন
না। তিনি বলেন, ‘গাড়ি আমার জন্য না।’
মৃত্যুর সময়ও একই সমস্যা, ইউক্রেনে যেভাবে শবদেহ
নেওয়া হয় কবরস্থানে, সেভাবে তার শবদেহটি নেওয়া যায়নি।
তার শবদেহটি খোলা ট্রাকে করে নেওয়া হয় কবরস্থানে,
ছোট গাড়িতে তার জায়গা হয়নি।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় স্থানীয় জিথমাইর
অঞ্চলের ধর্মযাজক দ্বারা। সে তাকে বলত ‘
সে একটা দৈত্য।’
শেষকৃত্যের সময় তার মাথাটি ছিল হলুদ ও নীল রংয়ের
ইউক্রেনি পতাকায় ঢাকা। আর হাতে ছিলে একটি মোমবাতি।
রোববার ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে তিনি মারা যান।
ধারণা করা হয়, সেরিব্রাল রক্তক্ষরণ থেকে তার মৃত্যু
হয়েছে।
তাকে বলা হতো ইউক্রেনের গর্ব। তিনি তার উচ্চতার জন্য
অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি।
দীর্ঘ দেহের জন্য তার অনেক সমস্যা হতো ইউক্রেনের এই
কৃষকের।
তিনি বলতেন, ‘আমার জন্য আমার উচ্চতা একটি অভিশাপ।
ঈশ্বরের পক্ষ থেকে একটি শাস্তি। আনন্দ করার কিছু নেই।
জানি না, আমি কী পাপ করেছি। আমি সবার মতো হওয়ার
স্বপ্ন দেখি। ইউক্রেনে আমার জন্য বেঁচে থাকাটাই জরুরি।’
নিওনিড স্ট্যাডনিকের চেয়ে ইঞ্চি খানেকের
মতো খাটো হওয়া সত্বেও বাও ইসহুন বিশ্বের
সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে স্বীকৃত।
গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মুখপাত্র বলেন
`আমরা স্ট্যাডনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু
তিনি খুব লাজুক লোক। তিনি আমাদের তার
চারপাশে দেখতে চাইতেন না।’
স্ট্যাডনিক তার স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল। তার ডাক
নাম ছিল টিটস। ১২ বছর বয়সে মস্তিস্কে টিউমার
অপারেশনের পর থেকে তার উচ্চতা বাড়তে থাকে। এক
ধরনের হরমোন তার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
এক পর্যায়ে তার উচ্চতা প্রতি তিন বছরে প্রায় এক ফুট
হারে বাড়তে থাকে।
তিনি ২৭ সাইজের জুতা পরতেন, যার দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ ইঞ্চি।
তার প্রকাণ্ড হাতের ব্যাস পা থেকে বেশি ছিল।
তিনি জানিয়েছেন, ‘উচ্চতা তার জীবনের সবচেয়ে বড়
প্রতিবন্ধকতা।’
স্ট্যাডনিক জানান যে, তিনি পশু চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ
নিয়েছেন। আর এই কাজকে তিনি অনেক ভালবাসেন।
‘আমি শীতকালে ঠান্ডা থেকে নিজেকে বাচাঁনোর জন্য আমার
সাইজের জুতো খুঁজে পাই না। তাই, আমি কাজও
করতে পারি না। আমি সবচেয়ে লম্বা মানুষ। কিন্তু একই
সময়ে আমি প্রায়ই সবচেয়ে অসহায় মানুষও। আমার
অসহায়ত্ব আমাকে রাগান্বিত করে। এবং আমি ঠাট্টা পছন্দ
করি না,’ বলেন তিনি।
তিনি দুটি বিছানা একসঙ্গে করে ঘুমান।
তিনি কখনো কারো বোঝা হতে চাননি। তিনি বলতেন,
‘আমি চাইনা আমার সমস্যায় আমার স্ত্রী হানা দিক।’
স্ট্যাডনিক বিয়ে না করেই মারা যান। তার প্রতিবেশীদের
সবসময় সবধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকতেন।
ব্রোনস্লেভ নামের এক ভদ্রলোক বলেন, ‘বিশুদ্ধ আত্মা,
নিঃস্বার্থ, পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন নিওনিড স্ট্যাডনিক। যদিও
তিনি তার উচ্চতার জন্য ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নেই, কিন্তু
তিনি ছিলেন অন্য ক্ষেত্রে বড় মাপের মানুষ, যেখানে তার
নাম লিপিবদ্ধ আছে।’
তথ্যসূত্র : ডেইলি মেইল।




posted from Bloggeroid

No comments: