Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Wednesday, September 17, 2014

জেনে নিন, যে ৭টি খাবার আপনাকে চিরতরুণ দেখাতে সাহায্য করবে !

ডেস্ক : এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো সত্যিই আপনার
বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে অনেকটাই ধীর করতে ও
আপনাকে চিরতরুণ দেখাতে সহায়ক।বয়স কম দেখাতে চায়
না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মানুষের খাদ্যাভাসের
উপরে বয়সের ছাপ চেহারায় পড়াটা অনেকাংশে নির্ভর
করে থাকে। এমন অনেকে আছেন যাদের বয়স কম হলেও
চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে। আবার অনেকে অনেক
বয়সে সত্ত্বেও দেখতে তরুণ। এসব কিছুই হয়ে থাকে খাবার
অভ্যাসের কারণে।
১. রসুন :
লন্ডনের কিংস কলেজের এক গবেষণায় উঠে আসে যে রসুন
মানবদেহের অস্টিওআর্থারাইটিস কমাতে বেশ সহায়ক
এবং রসুনের তেল হার্টের জন্য উপকারী। রসুন রক্তচাপ
কমাতেও সহায়তা করে। এছাড়া চীনের এক গবেষণায়
দেখা যায় যে রসুনে থাকা এক ধরনের উপাদান লিভারের জন্য
উপকারি যার ফলে বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর করে থাকে।
২. ঝিনুক :
বিভিন্ন দেশেই ঝিনুক খাওয়া বেশ প্রচলিত। ঝিনুক
খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুলে বেড়ে যায়। ঝিনুকে খনিজ
জিঙ্ক থাকে যা ত্বকের জন্য উপকারী। আপনার দেহের
কোনো ক্ষত যদি না শুকায় তাহলে দেহে জিঙ্কের পরিমাণ
বাড়িয়ে দিন। এটি শরীরে দ্রুত কাজ করবে। সুতরাং বলা যায়
যে বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করতে চাইলে প্রচুর
পরিমাণে ঝিনুক খান।
৩. বেরি ফল :
সব ধরনের বেরিফলেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
রয়েছে যেটি শরীরের কোষের স্বাস্থ্য
রক্ষা করে থাকে এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক
হিসেবে কাজ করে। ব্ল্যাকবেরি ক্যান্সার এবং ডায়বেটিস
প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। এমনকি বেরিফল যত
বেশি কালো হয়ে থাকে তাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ
বেশি হয়। ব্লুবেরি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, বিভিন্ন ব্যথা নিরসন
করে এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া সব ধরনের
বেরি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের জন্য
বেশ উপকারী। মেরীল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়
যে বেরিফলে থাকা ভিটামিন সি শুধু ত্বকের মরা কোষই ধ্বংস
করে না বরং ত্বকের ক্যান্সারও প্রতিরোধ
করে থাকে যা বয়সের ক্রমন্নতি ধীর করতে সহায়ক।
৪. টমেটো :
টমেটো সস বয়স বাড়ানোর
প্রক্রিয়াকে কমিয়ে আনতে সহায়ক। টমেটোতে প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা রান্না করার পরও বহাল
থাকে। গবেষণায় বলা হয় যে প্রচুর
পরিমাণে টমেটো খেলে হার্টের রোগ, ক্যান্সার,
অস্টিওপোরোসিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫. ডিম :
অনেকে মনে করেন যে ডিমে থাকা উচ্চ মাত্রার
কোলেস্টোরেলের জন্য ডিম স্বাস্থ্যপযোগী নয়। কিন্তু
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ বলেন, প্রতিদিন ১
টি করে ডিম খাওয়া হার্টের অসুখের জন্য বেশ ভালো।
ডিমে কখনোই কোলেস্টোরেল বাড়ে না বা কোনো ধরনের
ক্ষতি হয় না। বরং এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের যৌবন
ধরে রাখতে সহায়তা করে।
৬. কডফিশ :
কডফিশ বা স্যালমন ফিশে ওমেগা ৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড
রয়েছে যেগুলো দেহের ক্যান্সার এবং মানসিক চাপ
নিরসনে সহায়তা করে। এছাড়া এই ফিশে থাকা প্রাণীজ
প্রোটিন বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতিসম্পন্ন
করে থাকে।
৭. বাদাম :
ডিমের মত বাদামও ওজন বাড়াতে সক্ষম এমন ধারণা পোষণ
করা হয়ে থাকে। কিন্তু এর সত্যতা কিছুটা ভিত্তিহীন
কেননা যেকোনো খাবারই যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়
তবে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রতিদিন ৩/৪ টা বাদাম
খাওয়া স্বাস্থ্যপোযোগী। এটি দেহে সেলেনিয়ামের
চাহিদা পূরণ করে যা জিঙ্কের মত ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয় এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর
গতিসম্পন্ন করে দেয়।

posted from Bloggeroid

No comments: