Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Monday, September 29, 2014

১লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতনভুক্ত ভূয়া মহিলা ডাক্তারের চাঞ্চল্যকর তথ্যে কুমিল্লায় তোলপাড়

এই মাদকাসক্ত
আয়া কি করে কুমিল্লার মত
সচেতন জেলায়
একটি নান্দনিক অট্টালিকার
হাসপাতালের প্রধান
ডাক্তার ‘আবাসিক মেডিকেল
অফিসার’ হিসেবে মাসিক ১
লক্ষ ২০ হাজার
টাকা বেতনে চাকুরি নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের
এক বছর ধরে সিজারিয়ান
অপারেশন করেছে? এ
নিয়ে সারা কুমিল্লায়
তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে -এটাই
এখন কুমিল্লার চিকিৎসকদের
কাছে ও সচেতন মহলের
কাছে বড় প্রশ্ন?
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়
আসমানিয়া মুক্তি হাসপাতালে ১লক্ষ ২০ হাজার
টাকা মাসিক বেতনভুক্ত
ভূয়া মহিলা ডাক্তারকে গ্রেফতার করার পর
থেকে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়েছে।
তিনি আরো তিন জন ভূয়া মহিলা ডাক্তারের তথ্য
দেন যাদের নাম বর্ষা, তাহমিনা ও
পিসি সাহা নামে । তিনি চান তার মতো ঐ সকল
ভূয়া ডাক্তাররা ও যেন শাস্তি পায় । যেন
কেঁচো খুড়তেই সাপ বেড়িয়ে আসছে। তার
দেওয়া তথ্যে কুমিল্লার সচেতন মানুষ ও
ডাক্তারদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ও জেলা বিএমএ,র সাধারন
সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
সিদ্দিকী জানান এ সকল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক
ডা. হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, কুমিল্লার সিভিল
সার্জন ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান জেনে হতবাক
হয়ে যান এবং তিনি আরও ভাবছেন দেশের স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা এভাবেই কি চলেছে? কুমিল্লা সিভিল
সার্জন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন
বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ
হিসেবে নিয়ে মুক্তি হাসপাতালের
মালিককে হাসপাতালে কর্মরত সকল ডাক্তারদের
কাগজপত্র নিয়ে আজ মঙ্গল দুপুর ২টার
মধ্যে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসার
নির্দেশ দেন।
এদিকে এক বছরের জেল প্রাপ্ত
ভূয়া মহিলা ডাক্তার শাহনাজ আক্তার
মুন্নীকে গতকাল
জেলখানা থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের
কারা ওয়ার্ডে ভর্তি করলে সেখানে কর্তব্যরত
চিকিৎসকদের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
বিশ্বস্থ চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, তারা তার
বাম হাতে বেন্ডেজ কেন
জানতে চাইলে সে প্রথমে বলে আগুনে পুড়ে গেছে।
পরে বেন্ডেজ খুলে দেখা যায়, সেখানে চামড়ায়
ক্ষত হয়ে আছে এবং অসংখ্য ইনজেকশনের সুইয়ের
ঘাঁই। চিকিৎসকদের অনেক জিজ্ঞাসাবাদের এক
পর্যায়ে সত্যি কথা জানান
যে তিনি (ভূয়া মহিলা ডাক্তার) দীর্ঘদিন যাবৎ
প্যাথিডিন আসক্ত। প্রতিদিন
৮টি করে মাসে ২৪০টি প্যাথিডিন ইনজেকশন দিত
। এতে করে তার হাতে ক্ষত হয়ে পঁচন লেগেছে।
সে অকপটে স্বীকার করে, সে অন্যায় করেছে, তার
শাস্তি হওয়া উচিত। সে মূলত নার্সও নয়
বলে জানায়, নার্সদের সাথে আয়ার কাজ করেছে।
অথচ এই মাদকাসক্ত আয়া কি করে কুমিল্লার মত
সচেতন জেলায় একটি নান্দনিক অট্টালিকার
হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার ‘আবাসিক মেডিকেল
অফিসার’ হিসেবে মাসিক ১ লক্ষ ২০ হাজার
টাকা বেতনে চাকুরি নিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের এক
বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন করেছে? এ
নিয়ে সারা কুমিল্লায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে -
এটাই এখন কুমিল্লার চিকিৎসকদের কাছে ও সচেতন
মহলের কাছে বড় প্রশ্ন?
তিনি (ভূয়া মহিলা ডাক্তার) আরো জানান,
আসমানিয়া মুক্তি হাসপাতালে এখনো মালিক
পক্ষের গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে রাতে রাতে এসে ভূয়া ডাক্তার
পিসি সাহা অপারেশন করে যায়। ওই ভূয়া ডাক্তার
পিসি সাহা ৮ম শ্রেণি পাস, এক সময়ে ঢাকার
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. রোকসানা আনোয়ারের
চেম্বারে রোগীদের সিরিয়ালের লিস্ট করত। অথচ
সেই এখন মুরাদনগর, হোমনা, তিতাস, গোরীপুর
এলাকায় বড় সার্জন হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয়
পিসি সাহা একাই অপারেশন
থিয়েটারে রোগীকে নিজেই অজ্ঞান করে নিজেই
অপারেশন করে, তার কোন এনেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞ
লাগে না এবং ওই হাসপাতালের বর্ষা ও
তাহমিনা নামে দুই বোন রয়েছে তারাও ডাক্তারীর
কিছুই জানে না এবং প্রশিক্ষণ বা লেখাপড়াও নাই
অথচ এপ্রোন পরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
সেজে রোগীদের ঠকাচ্ছে। ভূয়া ডাক্তার শাহনাজ
আক্তার মুন্নী কুমেক হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডের
ডাক্তারদের মাধ্যমে অনুরোধ জানায় তার
বিরুদ্ধে যেমনি শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তেমনি সেখানের সকল
ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক।
উল্লেখ্য ফেইসবুক স্টেটাস অনুসন্ধান করে ১লক্ষ ২০
হাজার টাকা মাসিক বেতনভুক্ত ডা.
সাদিয়া চৌধুরী সিম্মি নামে ভুয়া মহিলা ডাক্তাকে গত
শনিবার রাতে কুমিল্লার তিতাসের আসমানিয়ায়
মুক্তি হাসপাতালে ইউএনও সামিহা ফেরদৌসির
নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ডা.
সাদিয়া চৌধুরী সিম্মি নামে এক
ভূয়া মহিলা ডাক্তার আটক করে এক বছরের জেল
প্রদান করেন।ভুয়া মহিলা ডাক্তার
সাদিয়া চৌধুরী সিম্মি’র অরিজিনাল নাম শাহনাজ
আক্তার মুন্নী তার বাড়ী মাদারীপরে।
এর আগে……
কুমিল্লায় ১লক্ষ ২০
হাজার টাকা মাসিক
বেতনভুক্ত
ভুয়া মহিলা ডাক্তার
আটক!

No comments: