Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Wednesday, November 12, 2014

পঞ্চগড়ে কমলা এখন বাজারে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে

একেকটি গাছে ২০০ থেকে ১ হাজার কমলা ধরেছে।
রসে, গন্ধে এবং স্বাদে অন্যান্য এলাকার কমলার
চেয়ে আলাদা এ কমলা যারাই খাচ্ছেন তারাই
বলছেন এটি পঞ্চগড়ের কমলা। নভেম্বর
থেকে পঞ্চগড়ে উৎপাদিত কমলা বাজারে আসতে শুরু
করেছে। জেলার শতাধিক কমলা বাগান আর বাড়ির
আঙিনায় লাগানো গাছের শাখা-
প্রশাখা ভরে গেছে পাকা কমলায়। অনেকেই
পঞ্চগড়ের কমলাকে ভারতের দার্জিলিংয়ের কমলার
সঙ্গে তুলনা করছেন। এক যুগ আগেও
পঞ্চগড়ে কমলা একটি দুর্মূল্যের ফল হিসেবেই
ধরা হতো। বর্তমানে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এখন
অধিকাংশ বাড়িতেই একটি দুটি কমলা গাছ আছে।
বাড়ির ছোট শিশুটি নিজের হাতে গাছ
থেকে কমলা পেরে খাচ্ছে এমন দৃশ্য প্রায়ই
দেখা যায়। তবে শুরুতে গৃহস্থরা শখের বশেই
একটি দুটি গাছ লাগাতেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলার ডিমাগজ গ্রামের দেলোয়ার
হোসেন, কাটাপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান,
ডাঙ্গাপাড়ার মখলেছার রহমান, সিপাইপাড়ার
তৌহিদুল ইসলাম, বোদা উপজেলার
সর্দারপাড়া গ্রামের, বানিয়াপাড়ার বাচ্চু মিয়া,
অচিন্ত্য কুমার চছপাড়ার মহিরউদ্দিন, আমবাড়ির
হামিদুল ইসলাম কারকুন সদরের
কাহারপাড়া গ্রামের জিতেন চন্দ্র, খোলাপাড়ার
আবদুল জলিল, , বোয়ালমারীর আবদুল মতিন,
কমলাপুরের সাইফুল ইসলাম, আটোয়ারীর জুগিকাটার
সাজেদুর রহমানসহ জেলায় শতাধিক সফল
কমলা চাষি রয়েছেন। এখন বাণিজ্যিক
আকারে কমলা চাষ হচ্ছে।
সদর উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের
শেফালী প্রধানের বাগানে এবার ৪০০
গাছে কমলা ধরেছে। ২০১১ সাল
থেকে তিনি কমলা বিক্রি করছেন। গত বছর ৫৪
হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। এ বছর
শুরুতেই বাড়িতে বসে ১০ হাজার টাকার
কমলা বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন এবার
কমপক্ষে এক লাখ টাকার কমলা বিক্রি করবেন।
তারা ৭ থেকে ১০ বছর ধরে কমলার চাষ করছেন। এ
বছর কমলা ফলনে চাষিরা খুশি হলেও কমলা উন্নয়ন
প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়
অজানা আতঙ্কে আছেন তারা। কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদফতর ২০০৬-১১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর
মেয়াদি প্রকল্পের অধীনে ২২৩টি বাগানে ৩৪
হাজার ৮৮৮টি কমলার চারা রোপণ করে। এ
ছাড়া বসতবাড়ির আশপাশে রোপণ করা হয় এক লাখ
৫৬ হাজার চারা। এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার
কমলা চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১৫০ মেট্রিক টন
এবং আগামী মৌসুমে ৫০০ মেট্রিক টন
কমলা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১৫
থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত স্থিতিশীল
থাকে এবং ২৫-৫০ বছর পর্যন্ত ফলন
আস্তে আস্তে কমে আসে।
পঞ্চগড়ের জন্য কমলা নতুন ধরনের ফসল। এ জন্য
সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং কৃষকদের
কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখা দরকার। ২০১১
সালের জুনে কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ
হয়েছে। এতে কমলা চাষিদের
কারিগরি নানা সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই
ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শীত
বেশি হওয়ায় পঞ্চগড়ের মাটি ও পরিবেশ
কমলা চাষের জন্য উপযোগী। অনেকে বলছেন,
পঞ্চগড়ের কমলা সিলেটের কমলার চেয়ে ভালো।
কমলার ফলন ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত
ধীরে ধীরে বাড়ে।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক
সহিরউদ্দিন বলেন, কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়
গড়ে ওঠা বাগানগুলোতে কয়েক বছর ধরেই
কমলা ধরছে। প্রতি বছর কমলার উৎপাদন বাড়ছে।
এসব কমলা আকার, রং ও স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়।

No comments: