Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Tuesday, November 4, 2014

যেভাবে পারবেন প্রানবন্ত মন নিয়ে দিন শুরু করতে

রাতের প্রশান্তির ঘুমে শক্তি সঞ্চার
করে সকালে তাজা প্রাণ নিয়ে দিনের কাজ শুরু
করতে সবাই চায় । সারাদিনের ক্লান্তিকর
পরিশ্রম ( শারীরিক ও মানষিক ) থেকে মুক্তির
উপাই একটানা প্রশান্তির ঘুম।
সমস্ত অবসাদ , ক্লান্তি দূর করে সকালে উঠতে বেগ
পেতে হয় অনেককে । বিশেষ করে যারা বেশী রাত
করে ঘুমতে যায় । ঘুম ভাঙলেও রাজ্যের
ক্লান্তি অবসাদ বিছানা ত্যাগের অন্তরায়
হয়ে দাঁড়ায় । নেয়াহেত বাধ্য হয়ে উঠতে হয়
ক্লান্তি ও বিরক্তি সহকারে । আবার
যদি শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতে পারলেই যেন
বেচে যায় । এই সমস্যা শুধু লাল সবুজের
বাংলাদেশেই সীমাবন্ধ নায় । দুনিয়ার সবত্র এই
সমস্যা প্রকট ।আমেরিকার নিদ্রা বিশেষজ্ঞ
ডাঃ জেরন্ড ম্যাক্সম্যান তার বই ‘এ গুড নাইটস
স্লিপ ‘ এ লিখেছেন ; ঘুম থেকে জাগার
সমস্যা একটি সাধারন অসুখ । ছয়শত আমেরিকানের
উপর জরিপ লাচিয়ে দেখা গেছে যে , তাদের
মধ্যে এক তৃতীয়াংশের ও কম লোক সকাল
বেলা তাজা অনুভুতি নিয়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেন
। আর শতকরা সতেরো জনেরেও মানুষ বলেছেন
তাদের সকাল ঘুম থেকে উঠে কাজে মনোযোগ
দিয়ে এক ঘন্ঠারো বেশী সময় লেগে যায় ।
আগে একটা প্রবাদ খুবই প্রচলিত ছিল , সকালের
হাওয়া লাখ টাকার দাওয়া । ফজরের
পরে সে নির্মল বাতাস তা ইসলাম ও স্বাস্থ্য
বিজ্ঞানের দৃস্টিতে খুবই উপকারী । তখন
বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ খুব কম
থাকে আর অক্সিজেন এর পরিমাণ খুব বেশী থাকায়
প্রতিটি কোষ নতুন করে উজ্জিবিত হওয়ার সু্যোগ
পায় । আর এত বড় সুযোগ এখন অনেকেরই হাত
ছাড়া । রাতে আড্ডা দিয়ে , যোগাযোগ
মাধ্যমে সময় দিতে দিতে প্রায় মধ্যরাত পার
হয়ে ঘুমাতে যায় । তাই ফজরের আগে উঠা রীতিমত
কস্টকর হয় । তার পরেও কিছু বিষয়ে একটু সচেতন
থাকলে আপনার প্রশান্তির ঘুম ও সকালে প্রানবন্ত ,
তরতাজা মন নিয়ে দিন শুরু করা অনেক সহজ হবে।
১। বিকালের চা কফি পরিহার করা: সাধারনত
ক্যাফেইনের উত্তেজক প্রভাব শুধুহয় এ থেকে ৪
ঘন্ঠার মধ্যে । কখনও কখনও তা থেকে যায় ৭- ২০
ঘন্ঠা পর্যন্ত । তাই অন্তত ঘুমাতে যাওয়ার ৬
ঘন্ঠা আগ থেকেই চা কফি থেকে বিরত
থাকা উচিত।
২। নিকোটিনের প্রভাব সরাসরি পড়ে সেন্ট্রাল
নার্ভাস সিস্টেমের উপর । নিকোটিন
স্নায়ুকে উত্তেজিত অবস্থায় রাখে । তাই ধুমপান
বর্জন গভীর নিদ্রা ও
তরতাজা অনুভুতি নিয়ে জেগে ওঠার একটি প্রধান
পদক্ষেপ হতে পারে ।
দখা গেছে ধুম্পায়ীরা ধুমপান ত্যাগ করার তিন
দিনের মাথায় চমৎকার ঘুম,আতে পারে।
৩। মদ বা মদক দ্রব্য পরিহার করাঃ মাত্র এক পেগ
এ্যলকহল ঘুমের স্বপ্ন স্তরকে ধং করে দিয়ে পারে।
৪। ঘুমতে যাওয়া ও ঘুম থেকে অঠার
একটা নির্দিস্ট রুটিন তৈরি করে তা মেনে চলা।
৫। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করুন ।
এটা ঘুমের ডেলটা স্তরকে বাড়িয়ে দিবে । বিশেষ
করে রাতে খাওয়ার পরে হাটা গুমের জন্যে বেশ
সহায়ক।
৬। রাতে হালকা খাবার গ্রহন করা।
৭। সম্ভব হলে প্রতি রাতে এক গ্লাস দুধ পান
করে । এতে আপনার ঘুমের পরিমাণ বাড়তে পারে।
৮। ঘুমাতে যাওয়ার সময় শিথিলায়ন করা ।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে জোরে জোরে দম
নিয়ে আস্তে আস্তে দম ছাড়া । এত্যে শরীরের
অক্সিজেনের অরিমান বেড়ি গিয়ে শিথিল
হয়ে সহয়তা করে ।
৯। প্রথম চেতন পাওয়া মাত্র
বিছানা ছেড়ে উঠা । এতে আপনার অলসতা দূর
হবে।
১০। ঘুম ভাঙআর সাথে সাথে জোরে জোরে দম
নিয়ে শরীরটা শিথিল করে ফেলুন ।এতে আপনার
প্রনবন্ততা ফিয়ে আসবে , আলসতা দূর হবে।
১১ । সকালের রাস্তায় হাটা উভয় দিক
থেকে আপনাকে সহয়তা করবে।
১২ । সকালে সাধ্যমত ভালো মানের নাস্তা করা।

1 comment:

Unknown said...

Why did you use the photo without any prior permission from the photographer(me) or the person in the photograph?

This is quite unacceptable.