দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাবার
পথে বগুড়ার আমবাবু
নামে একজনকে সাগরে ফেলে হত্যা।
দু’টি পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
দালালের দাবি জীবিত।
মামলার প্রস্তুতি।
সাঈদ নিখোঁজ।
দালালের
মাধ্যমে অবৈধভাবে নদীপথে স্বপ্নের
দেশ মালয়েশিয়া যাবার সময় বগুড়ার
শিবগঞ্জের পীরবের মুগোইল গ্রামের
শহিদুল ইসলাম ওরফে আম বাবু নামে এক
কৃষককে হত্যার খবর পাওয়া গেলেও ৫২
দিনেও সাঈদ নামে অপরজনের সন্ধান
পাওয়া যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত,
না জেলে আছেন সে সম্পর্কে কিছু
জানা সম্ভব হচ্ছেনা।
দুটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের
মাতম চলছে। পাচারকারি দালাল মেহেরুল ইসলাম
গতকাল শুক্রবারের মধ্যে তাদের সন্ধান
দিতে চাইলেও তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ
করে গাঢাকা দিয়েছেন। আম বাবুর পরিবার
রোববার বগুড়া স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে তার
মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ভিকটিম আম বাবুর আত্মীয় মাহফুজার রহমান
জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার মুগোইল
গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল
ইসলাম আম বাবু পেশায় কৃষক।
পার্শ্ববর্তী আশরাফপুর পানিকান্দা গ্রামের
দেলবর হোসেনের ছেলে মেহেরুল
ইসলাম আদম ব্যবসা করেন। তিনি আম
বাবুকে মোটা অংকের
বেতনে মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য পাঠানোর
প্রস্তাব দেন। আম বাবু ছাড়াও একই গ্রামের
আবদুস সামাদের ছেলে সাঈদ ও
মালয়েশিয়া প্রবাসী মোড়াইল গ্রামের
মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান
আলীসহ ৫ জন তার ফাঁদে পা দেন।
মেহেরুল প্রত্যেকের কাছে তিন লাখ ৮০
হাজার টাকা করে নেন। তিনি গত ১২ অক্টোবর
এদের চট্টগ্রামের দালালদের
হাতে তুলে দেন। তারা এ পাঁচজন ছাড়াও
অনেককে টেকনাফ থেকে পাসপোর্ট-
ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার
তুলে দেন। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও
স্বজনরা আম বাবুর সন্ধান পাননি। এ
ব্যাপারে মেহেরুলকে বললে তিনি বলেন,
সবাই মালয়েশিয়া গেছেন। ব্যস্ততার
কারণে ফোন করতে পারছেন না।
এদিকে ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায়
সহযাত্রী এমরান ফোনে আম বাবুর
পরিবারের সদস্যদের জানান,
তারা ট্রলারে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে পানি পান করার নিয়ে আম বাবুর
সাথে ট্রলারের লোকজনের হাতাহাতি হয়।
মায়ানমারের জলসীমা পার হবার পর তারা আম
বাবুকে মারপিটের পর সাগরে নিক্ষেপ
করে। এ খবরে বাবা, মা, স্ত্রী ও
সন্তানদের মধ্যে শোকের
ছায়া নেমে আসে। এমরান, বনমোড়াই
গ্রামের ভোলাসহ তিনজন
মালয়েশিয়া যেতে পারলেও সাঈদের সন্ধান
পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি কোথায় আছেন
তা কেউ জানেনা।
অন্যদিকে ভিকটিম আম বাবু ও সাঈদের পরিবার
দালাল মেহেরুলের বাড়িতে গিয়ে তাদের
সন্ধান চান। তখন মেহেরুল তাদের জানান,
সকলে মালয়েশিয়ায় আছে; কয়েকদিনের
মধ্যে কাজে লেগে দেয়া হবে। ৫
ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের
সাথে কথা বলিয়ে দেবার আশ্বাস দেন।
গতকাল শুক্রবার এ সময়সীমা অতিবাহিত হবার
আগেই দালাল মেহেরুল তার মোবাইল
ফোন বন্ধ করে গাঢাকা দেন।
এর আগে তিনি বিরক্ত হয়ে সাংবাদিকদের
বলেন, আম বাবু, সাঈদসহ
অন্যরা মালয়েশিয়া পৌঁছে গেছেন।
ফোন করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত
হতে হবে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বগুড়ার
শিবগঞ্জের পীরব ইউনিয়নের মুগোইল
গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আম বাবুর মৃত্যু
সংবাদ আসায় ও সাঈদের কোন সন্ধান না পাওয়ায়
দু’টি পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
তারা তাদের একমাত্র আয়ক্ষম
ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর
জীবন কাটাচ্ছেন।
আত্মীয় মাহফুজার রহমান আরও জানান,
বিষয়টি পীরব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
করিম ও মেম্বর মঞ্জুকে অবহিত
করা হয়েছে। আগামী রোববার
বগুড়া স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে।
ভুক্তভোগীরাঅবিলম্বেবিদেশীপাচারকারীদালাল
চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার ও তাদের
কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

পথে বগুড়ার আমবাবু
নামে একজনকে সাগরে ফেলে হত্যা।
দু’টি পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
দালালের দাবি জীবিত।
মামলার প্রস্তুতি।
সাঈদ নিখোঁজ।
দালালের
মাধ্যমে অবৈধভাবে নদীপথে স্বপ্নের
দেশ মালয়েশিয়া যাবার সময় বগুড়ার
শিবগঞ্জের পীরবের মুগোইল গ্রামের
শহিদুল ইসলাম ওরফে আম বাবু নামে এক
কৃষককে হত্যার খবর পাওয়া গেলেও ৫২
দিনেও সাঈদ নামে অপরজনের সন্ধান
পাওয়া যায়নি। তিনি জীবিত না মৃত,
না জেলে আছেন সে সম্পর্কে কিছু
জানা সম্ভব হচ্ছেনা।
দুটি পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের
মাতম চলছে। পাচারকারি দালাল মেহেরুল ইসলাম
গতকাল শুক্রবারের মধ্যে তাদের সন্ধান
দিতে চাইলেও তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ
করে গাঢাকা দিয়েছেন। আম বাবুর পরিবার
রোববার বগুড়া স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে তার
মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ভিকটিম আম বাবুর আত্মীয় মাহফুজার রহমান
জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার মুগোইল
গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল
ইসলাম আম বাবু পেশায় কৃষক।
পার্শ্ববর্তী আশরাফপুর পানিকান্দা গ্রামের
দেলবর হোসেনের ছেলে মেহেরুল
ইসলাম আদম ব্যবসা করেন। তিনি আম
বাবুকে মোটা অংকের
বেতনে মালয়েশিয়ায় চাকরির জন্য পাঠানোর
প্রস্তাব দেন। আম বাবু ছাড়াও একই গ্রামের
আবদুস সামাদের ছেলে সাঈদ ও
মালয়েশিয়া প্রবাসী মোড়াইল গ্রামের
মোহাম্মদ আলীর ছেলে এমরান
আলীসহ ৫ জন তার ফাঁদে পা দেন।
মেহেরুল প্রত্যেকের কাছে তিন লাখ ৮০
হাজার টাকা করে নেন। তিনি গত ১২ অক্টোবর
এদের চট্টগ্রামের দালালদের
হাতে তুলে দেন। তারা এ পাঁচজন ছাড়াও
অনেককে টেকনাফ থেকে পাসপোর্ট-
ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার
তুলে দেন। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও
স্বজনরা আম বাবুর সন্ধান পাননি। এ
ব্যাপারে মেহেরুলকে বললে তিনি বলেন,
সবাই মালয়েশিয়া গেছেন। ব্যস্ততার
কারণে ফোন করতে পারছেন না।
এদিকে ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায়
সহযাত্রী এমরান ফোনে আম বাবুর
পরিবারের সদস্যদের জানান,
তারা ট্রলারে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে পানি পান করার নিয়ে আম বাবুর
সাথে ট্রলারের লোকজনের হাতাহাতি হয়।
মায়ানমারের জলসীমা পার হবার পর তারা আম
বাবুকে মারপিটের পর সাগরে নিক্ষেপ
করে। এ খবরে বাবা, মা, স্ত্রী ও
সন্তানদের মধ্যে শোকের
ছায়া নেমে আসে। এমরান, বনমোড়াই
গ্রামের ভোলাসহ তিনজন
মালয়েশিয়া যেতে পারলেও সাঈদের সন্ধান
পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি কোথায় আছেন
তা কেউ জানেনা।
অন্যদিকে ভিকটিম আম বাবু ও সাঈদের পরিবার
দালাল মেহেরুলের বাড়িতে গিয়ে তাদের
সন্ধান চান। তখন মেহেরুল তাদের জানান,
সকলে মালয়েশিয়ায় আছে; কয়েকদিনের
মধ্যে কাজে লেগে দেয়া হবে। ৫
ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের
সাথে কথা বলিয়ে দেবার আশ্বাস দেন।
গতকাল শুক্রবার এ সময়সীমা অতিবাহিত হবার
আগেই দালাল মেহেরুল তার মোবাইল
ফোন বন্ধ করে গাঢাকা দেন।
এর আগে তিনি বিরক্ত হয়ে সাংবাদিকদের
বলেন, আম বাবু, সাঈদসহ
অন্যরা মালয়েশিয়া পৌঁছে গেছেন।
ফোন করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত
হতে হবে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বগুড়ার
শিবগঞ্জের পীরব ইউনিয়নের মুগোইল
গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আম বাবুর মৃত্যু
সংবাদ আসায় ও সাঈদের কোন সন্ধান না পাওয়ায়
দু’টি পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
তারা তাদের একমাত্র আয়ক্ষম
ব্যক্তিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর
জীবন কাটাচ্ছেন।
আত্মীয় মাহফুজার রহমান আরও জানান,
বিষয়টি পীরব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
করিম ও মেম্বর মঞ্জুকে অবহিত
করা হয়েছে। আগামী রোববার
বগুড়া স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে।
ভুক্তভোগীরাঅবিলম্বেবিদেশীপাচারকারীদালাল
চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার ও তাদের
কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

No comments:
Post a Comment