Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Showing posts with label tips football. Show all posts
Showing posts with label tips football. Show all posts

Monday, June 9, 2014

আজকের বিখ্যাত মেসি’র জীবনের যে অজানা তথ্যগুলো চমকে দিতে পারে আপনাকে !

ডেস্ক :আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার
মেসিকে কে না চেনে বলুন? আর্জেন্টিনা হোক
কিংবা বার্সেলোনারই হোক, মেসি ভক্তরা কখনই
মেসির খেলা মিস করেন না। মেসি মাঠে নামলেই
যেন খেলার মোর ঘুরে যায় মুহূর্তেই। আর তাই
মেসিকে ফুটবলের জাদুকর বলে থাকেন অনেকেই।
মেসির জীবন সম্পর্ককেও ভক্তদের জানার আগ্রহের
শেষ নেই। তাই মেসির জীবনের কিছু অজানা বিষয়
নিয়েই এই ফিচার। জেনে নিন মেসির জীবনের
অজানা ১২টি তথ্য সম্পর্কে।
১) মেসি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত একটি মধ্যবিত্ত
পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার
বাবা একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন আর
মা ছিলেন পার্ট টাইম ক্লিনার।
২) মেসি ছোটবেলায় এতোটাই লাজুক ছিলেন
যে প্রথম পরিচয়ে অনেকেই
তাকে বোবা কিংবা অটিস্টিক ভাবতেন।
এমনকি তার শিক্ষকরা তাকে মানসিক ডাক্তার
দেখানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন।
৩)১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে গ্রোথ হরমোন
জনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু তার
বাবা মায়ের সেটার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য
ছিলো না। এই চিকিৎসার খরচ
ছিলো প্রতিমাসে প্রায় ৯০০ ডলার।
৪)মেসি এবং আর্জেন্টিনার বিখ্যাত চে গুয়েভারার
জন্মস্থান একই। তাঁরা দুজনেই আর্জেন্টিনার
রোজারিওতে জন্মগ্রহন করেছিলেন।
৫) বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম
চুক্তি লেখা হয়েছিলো কিসে জানেন? একটি টিস্য
পেপারে! বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর
কার্লেস রেক্সাচ মেসির প্রতিভা দেখে এতোটাই
মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তখনই
চুক্তি করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। হাতের
কাছে কোনো কাগজ না পাওয়াতে টিস্যু পেপারেই
লিখিত চুক্তি করে ফেলেন তিনি।
৬) বার্সেলোনা মেসির ফুটবলের কারুকাজ
দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে ক্লাবে নেয় এবং তার
পারিশ্রমিক হিসেবে মেসির চিকিৎসার
পুরো ব্যয়ভার নিয়ে নেয়। মেসির বাবা মা এই
সময়ে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে আসে।
৭)মেসিকে স্পেনের জাতীয় দলের হয়ে খেলার
প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু মেসি সেই
প্রস্তাব নাকোচ করে দেয়। কারণ মেসির স্বপ্ন
ছিলো আর্জেন্টিনার নীল
সাদা জার্সি পরে খেলার। ২০০৪ সালে প্রথমবার
সেই সুযোগটা পেয়েছিলো মেসি।
৮)মেসির দুই দেশের দুটি পাসপোর্ট আছে।
একটি আর্জেন্টিনার ও একটি স্পেনের। ২০০৫
সালের সেপ্টেম্বরে স্পেনের নাগরিকত্ব পায় এই
তারকা।
৯)মেসির বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার জার্সির
নম্বর ১০। বার্সেলোনায় মেসির আগে ১০ নম্বর
জার্সিটি পরতেন আরেক কিংবদন্তী ব্রাজিলিয়ান
খেলোয়াড় রোনালদিনিও।
১০) মেসি তার প্রতিষ্ঠিত লিও
মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনেক চ্যারিটিতেই
অনুদান দেন। শুধু তাই নয় তিনি সাহায্য করেন
Fragile X Syndrome এ আক্রান্ত অটিস্টিক
শিশুদেরকেও। তিনি ইউনিসেফেরও একজন
অ্যাম্বেসেডর।
১১) প্রায় প্রতিটি গোল করেই তিনি আকাশের
দিকে আঙ্গুল উচু করেন কেন জানেন? কারণ
তিনি তার গোল গুলোকে উৎসর্গ করেন তার প্রয়াত
দাদীকে। তার দাদী তাকে ফুটবলের
অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন এবং মেসির যখন ১০ বছর
বয়স তখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন যা মেসির মনে আজও
দাগ কেটে আছে।
১২) ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দিয়ে যতই দ্বন্দ থাকুক,
মেসির সবচাইতে কাছের বন্ধুদের সবাই
ব্রাজিলিয়ান। বিশেষ করে বার্সেলোনায় আসার
পরে ডেকো এবং রোনালদিনিও ছিলেন তার
সবচাইতে কাছের বন্ধু। ডেকোর জার্সি ছিলো ২০
এবং রোনালদিনিও এর জার্সি ছিলো ১০। এই দুটির
যোগফল হয় ৩০। তাই তিনি প্রথমে ৩০ নম্বর
জার্সি বেছে নিয়েছিলেন।
সুত্র – গোল ডটকম


Posted via BN24Hour

Sunday, June 8, 2014

জেনে নিই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা এই মিত্র দুটি দেশ কিভাবে শত্রুতে পরিণত হল?

কার্লোস তেভেজ তখন সদ্যই করিন্থিয়াস
থেকে ইংল্যান্ডে এসে ওয়েস্টহ্যামে উঠেছেন।
চড়া মেজাজের জন্য খ্যাত এই আর্জেন্টাইন একদিন
অনুশীলনে দেরী করে আসায় কোচ
একটা শাস্তি দিলেন—আজ ব্রাজিলের
জার্সি পরে অনুশীলন করতে হবে! তেভেজ কোচের
নাকের সামনে আঙুল নেড়ে বলেছিলেন,
‘প্রয়োজনে এক্ষুণি ওয়েস্টহ্যাম ছেড়ে দেব,
প্রয়োজনে সারা বছরের বেতন জরিমানা দেব;
তাও ব্রাজিলের জার্সি পরবো না।’ হ্যাঁ, এটাই
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ফুটবল সম্পর্ক।
লাতিন আমেরিকার পাশাপাশি দুটি দেশ, ফুটবলের
দুই পরাশক্তি, সংস্কৃতিতে কম-বেশি মিল আছে;
কিন্তু প্রসঙ্গ যখন ফুটবল, তখন বিশ্বের
সবচেয়ে আলোচিত দুই শত্রুপক্ষের নাম—ব্রাজিল ও
আর্জেন্টিনা! বিশ্বকাপের সময় আমাদের এই
বাংলাদেশের অলি-গলি দেখলেও লাতিন এই দুই
পরাশক্তির দাপুটে শত্রুতাটা দিব্যি টের
পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, বিশ্বকাপ
বুঝি এই দুটি দেশের কোনো টুর্নামেন্ট;
বাকিরা থেকেও নেই। এটা শুধু বাংলাদেশের
চিত্র, এমন ভাবলে ভুল হবে। পুরীর সমুদ্রসৈকত
থেকে শুরু করে আফ্রিকার না চেনা কোনো গ্রাম;
সবখানে আজ উপকথার
মতো ছড়িয়ে গেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের এই
রেষারিষি। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলে এমন
দেশগুলো বাদে, বাকি প্রতিটা দেশই মূলত এই
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় মজে থাকে ফুটবলের
প্রসঙ্গে। কিন্তু কেন? কেন, কবে, কিভাবে এই
মিত্র দুটি দেশ শত্রুতে পরিণত হল?
এই ব্যাপারটা জানতে আমাদের একটু
ফিরে যেতে হবে বিংশ শতকের একেবারে গোড়ার
দিকে। তখন এই দুটি দেশ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক
দিক থেকে তো বটেই, ফুটবলেও দারুণ বন্ধু দেশ
ছিল।
১৯০৯ সালে পরবর্তীকালের আর্জেন্টাইন
রাষ্ট্রপতি রকি সায়েনস পিনা ব্রাজিল
সফরে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সব কিছুতেই
আমরা একত্রিত আছি। কোনো শক্তিই আমাদের
আলাদা করতে পারবে না।’ পরের অন্তত চারটি দশক
ধরে এই কথাটা ফুটবলেও সত্যি ছিল। তখন
আসলে লাতিন আমেরিকায় লড়াইটা ছিল
আর্জেন্টিনা বনাম উরুগুয়ে; পৃথিবীর শ্রেষ্ঠত্বেরই
লড়াই ছিল সেটা। অলিম্পিক থেকে বিশ্বকাপ
ফাইনাল; সব জায়গাতেই এই দু’ দলের লড়াই। এদের
মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা ছিল, যুদ্ধ ছিল।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বরং হাতে হাত
মিলিয়ে প্যারাগুইয়ান যুদ্ধে লড়েছে,
ব্যবসা করেছে এবং ফুটবলে পরস্পরের খেলোয়াড়
আদান-প্রদান করে সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রাজিলের
খেলোয়াড়রা আর্জেন্টাইন লিগে ছিলেন নিয়মিত।
কালক্রমে ব্রাজিল
অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং আর্জেন্টাইন
বন্ধুদের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফলে বিপুলসংখ্যায় আর্জেন্টাইন ফুটবলার সান্তোস
থেকে শুরু করে ভাস্কো, ফ্লামেঙ্গোতে খেলেছেন।
আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকদের জন্য
ব্রাজিলে সেটা তো স্বর্ণযুগ ছিল।
হ্যাঁ, এই সময়েও দু’ দলের খেলায় গণ্ডগোল হয়েছে,
পরস্পরের সমর্থকরা হাতাহাতি করেছেন; কিন্তু
সেগুলো বন্ধুদের মধ্যেও হয়। ব্রাজিল-
আর্জেন্টিনা ১৯১৩ সাল থেকে কোপা-
রোকা নামে একটি টুর্নামেন্ট খেলতো;
যাকে বলা যায়, সম্প্রীতির এক দারুণ উদাহরণ।
এখানে খেলাটা পরিণত হত যেন দুটি দেশের মিলন
মেলায়। দুই দেশের ভাই-
বন্ধুরা উত্সবে মেতে উঠতো তখন। কিন্তু হঠাত্
করেই চল্লিশের শেষ ও পঞ্চাশের শুরু
থেকে পরিস্থিতিটা একটু একটু করে বদলাতে শুরু
করলো। একদিকে আর্জেন্টিনা বিশ্ব শাসন
করা ফুটবল দল নিয়েও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে অংশই
নিচ্ছে না, অন্যদিকে ব্রাজিল তার সুন্দরতম
ফুটবলের পসরা দিয়ে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট
এবং বিশ্বের মানুষের মন জিতে নিচ্ছে।
ব্রাজিলিয়ান বিশ্লেষক নিউটন সিজার
ডি অলিভিয়েরা তার বইয়ে লিখেছেন, এই সময়
থেকেই আসলে আস্তে আস্তে শত্রুতার মেঘ
জমতে থাকে।
একদিকে ব্রাজিলিয়ানরা মনে করতে থাকে,
তারা তাদের প্রতিবেশী পুরোনো বন্ধুদের
চেয়ে শ্রেষ্ঠ দলে পরিণত হয়েছে। আর
আর্জেন্টাইনরা মানসিক অবদমনের মধ্যে পড়ে যে,
সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও
তারা স্বীকৃতি পাচ্ছে না। আর
বিস্ফোরণটা ঘটে ব্রাজিল তিন বিশ্বকাপ
জিতে ফেলার পর আর্জেন্টিনা প্রথম
একটি বিশ্বকাপ জিতলে। আর এর বহিঃপ্রকাশই
ঘটে ১৯৭৮ বিশ্বকাপের বিখ্যাত ‘ব্যাটল অব
রোসারিও’ ম্যাচে।
ডি অলিভিয়েরা লিখেছেন, ‘এটাকেই
আসলে আমরা ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট
বলতে পারি। এরপর আর্জেন্টিনা যখন
দুটো বিশ্বকাপ
জিতলো এবং বিশ্বজুড়ে একটা সম্মান
তৈরি করতে পারলো,
তারা জমে থাকা ক্ষোভটা প্রকাশ করলো। এই
সময় থেকেই আসলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বিস্ফোরিত
হল এবং ভয়ঙ্কর চেহারায় আবির্ভূত হল।’ এর
মধ্যে আবার ইউরো গঠন হয়ে যাওয়ায়
আরো একটা ঘটনা ঘটল। ইউরোপের ক্লাবগুলোর
বিদেশি খেলোয়াড় কোটায় আফ্রিকা, এশিয়া,
লাতিন আমেরিকা থেকে খেলোয়াড় বেশি নেয়ার
সুযোগ তৈরি হল। ফলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়ের
ব্রাজিলের ওপর নির্ভরশীলতা কমে গেল।
ফলে বন্ধুত্বের এই সুতোটাও ছিন্ন হতে বসলো।
এরপর আসলে দিনকে দিন এই সম্পর্কটা তেঁতোই
হয়েছে। আর্জেন্টিনা নতুন করে আর বিশ্বকাপ
জিততে পারেনি। ব্রাজিল আরো দুটি বিশ্বকাপ
জিতে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব
আরো ওপরে তুলে নিয়ে গেছে। ফলে ভারসাম্য
বলতে যা বোঝায়, সেটা আর ঠিক টিকে নেই।
আক্ষরিক অর্থে ব্রাজিল এখন ইতালি বা জার্মানির
কথা ভাবতে পারে; আর্জেন্টিনার কথা নয়। কিন্তু
ব্যাপারটা এখন আর এই ট্রফির সংখ্যাতেও
আটকে নেই। এটা এক বড় মনস্তাত্তিক লড়াইয়েও
পরিণত হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ আর্জেন্টিনা-
ব্রাজিল ম্যাচগুলোর শেষে হাতাহাতি,
গ্যালারিতে উত্তেজনা, কথার লড়াই দিয়েও
আপনি বুঝতে পারবেন।
হ্যাঁ, দুনিয়া অনেক পেশাদার হয়ে গেছে। হুয়ান
পাবলো সোরিন, কার্লোস তেভেজ থেকে শুরু
করে অনেকেই আবার ব্রাজিলে ফুটবল খেলছেন।
মেসি-নেইমাররা এক ক্লাবে বন্ধুও হচ্ছেন। কিন্তু
কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না। জাতীয় দলের খেলার
প্রশ্ন এলেই সেই
তিঁতকুটে অনুভূতি এসে দাঁড়াচ্ছে সামনে।
সে অনুভূতি নিয়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনা বলেছেন,
‘আমি ব্রাজিলিয়ানদের হারাতে পছন্দ করি।
যে কোনো ব্রাজিলিয়ানও
আর্জেন্টিনাকে হারাতে সবচেয়ে পছন্দ করে।
আমি বলি, পৃথিবীর সুন্দরতম অনুভূতি হল,
ব্রাজিলকে হারানো।’
চলতি বিশ্বকাপটা যখন সেই ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত
হবে এবং ঘটনাচক্রে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দুই
দলও এই দুটি; তখন এই শত্রুতা গন্ধ
যে বাতাসে আরো একবার ছড়াবে, তাতে আর
সন্দেহ কী! সে জন্যই কি না, লুই ফেলিপ
স্কলারি বলছেন—আমি চাই ব্রাজিল-
আর্জেন্টিনা ফাইনাল। তাহলেই তো কম্ম কাবার!
যুদ্ধটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আর কী!
তথ্যসূত্র: ফিফা ডট কম


Posted via BN24Hour

Friday, June 6, 2014

মোবাইলেই যেভাবে বিশ্বকাপ

মোবাইলে ফুটবল বিশ্বকাপের হালনাগাদ তথ্য
জেনে নিতে পারবেন
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ।
কীভাবে প্রতিটি খেলার খোঁজখবর রাখবেন? একজন
ফুটবলপ্রেমী হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই শুধু
টিভিতে খেলা দেখার আশায় বসে থাকবেন না! আপনার আরও
তথ্য জানার দরকার হতে পারে। খুঁটিনাটি ও হালনাগাদ তথ্য
জানতে চান আপনার কাছের বন্ধু হতে পারে স্মার্টফোন।
স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই আপনি হাতের
কাছে পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় সব তথ্যই।
গত চার বছর ধরেই যাঁরা ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য
অপেক্ষায় আছেন তাঁরা নিশ্চয়ই প্রিয় দল
বা তারকাকে ফেসবুক বা টুইটারে অনুসরণ করা শুরু করেছেন।
ভাগ্যবান কেউ হয়তো ব্রাজিলেও যাচ্ছেন। বিশ্বকাপ এখন
আর কেবল টিভিতে দেখার কোনো অনুষ্ঠান হিসেবেই
সীমাবদ্ধ নেই। আপনি স্মার্টফোন, ট্যাব
বা কম্পিউটারে খেলার বিভিন্ন তথ্য পেতে আগ্রহী আপনি।
মাল্টিটাস্কিংয়ের এই দুনিয়াতে খেলার খবর পড়া, খেলার
হালনাগাদ তথ্য জানতেও আপনার মন চাইবে।
খেলার দিনক্ষণ মনে রাখার জন্য প্রয়োজনীয়
একটি অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে ‘দ্য ক্যালেন্ডার’। ফুটবল
প্রেমী হলে ওয়ার্ল্ড কাপে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিন ক্ষণ
হয়তো অনেকেই স্মরণে রাখেন। তারপরও
মনে করিয়ে দিতে স্মার্টফোনের ‘পকেট ওয়ার্ল্ড কাপ
শিডিউল’ ( http://pocketworldcupschedule.info/
index.html ) ব্রাউজারে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।
এটি একটি ওয়েব পেজ যেখান থেকে আপনি সহজেই
বিশ্বকাপের শিডিউল জেনে নিতে পারবেন। মোবাইল ফোন
ও ট্যাবলেটের জন্য এটি ভালো একটি টুল। এর জন্য
আলাদাভাবে কোনো কিছু ইনস্টল করার প্রয়োজন পড়বে না।
খেলার ফল রিয়েল টাইমে জানার জন্য অনেক
অ্যাপ্লিকেশনই পাবেন। ওয়েব, অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ,
আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য ‘লাইভস্কোর’ ( https://
play.google.com/store/apps/details?
id=com.livescore ) ভালো একটি অ্যাপ্লিকেশন। এই
অ্যাপ্লিকেশনটি স্কোর জানানোর পাশাপাশি মাঠের খেলার
সব তথ্য সরবরাহ করবে। এ ছাড়াও খেলার বিভিন্ন উপাত্ত,
ক্যালেন্ডারসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আপনাকে আপডেট
রাখবে।
ওয়ার্ল্ড কাপের সময় অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন ও
আইপ্যাডের জন্য আরেকটি ভালো অ্যাপ্লিকেশন
হচ্ছে সোফা ২০১৪ ওয়ার্ল্ড কাপ লাইভ স্কোর ( https://
play.google.com/store/apps/details?
id=com.sofascore.android )। স্কোর জানানোর
পাশাপাশি সোফাস্কোর অ্যাপ্লিকেশনটি এই টুর্নামেন্ট
সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবে।
বিশ্বকাপের তথ্য জানতে ফিফার অফিশিয়াল অ্যান্ড্রয়েড,
আইপ্যাড ও আইফোন অ্যাপ্লিকেশনটির চেয়ে আর
কী ভালো হতে পারে? এই অ্যাপ্লিকেশনটি ( http://
www.fifa.com/mobile/ ) থেকে বিশ্বকাপের তথ্য,
খবর, বিশ্লেষণ এমনকি ভিডিও দেখতে পারবেন। শুধু
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য খেলার তথ্য জানার গুরুত্বপূর্ণ
একটি অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৪ ব্রাজিল (
https://play.google.com/store/apps/details?
id=com.jalvasco.football.worldcup )
ফিফা অ্যাপ্লিকেশনটির মতো এতে ছবি, ভিডিও ও খবরও
পড়া যাবে। এ ছাড়াও বিশ্বকাপের ইতিহাসও এই
অ্যাপ্লিকেশন থেকে জেনে নেওয়া যাবে। এবারের
বিশ্বকাপে ইএসপিএনও বসে নেই। এফসি সকার অ্যান্ড
ওয়ার্ল্ড কাপ অ্যাপ ( https://play.google.com/
store/apps/details?id=com.espn.fc )
প্রতিটি ম্যাচ ও খেলোয়াড়ের
খুঁটিনাটি জানতে আপনাকে সাহায্য করবে। এখানে ভিডিও
হাইলাইটসও দেখা যাবে। এ ছাড়া ইএসপিএনের খবর, লাইভ
আপডেট ও বিশ্লেষণ তো পাবেন। নিউজ ও খেলার লাইভ
আপডেট তো আছেই। স্মার্টফোনকে ফুটবলের
সাজে সাজানোর জন্য অ্যাডিডাস ২০১৪ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ
এলডব্লিউপি ( https://play.google.com/store/
apps/details?id=cellfish.adidas ) নামের
অ্যাপটি কাজে লাগানো যেতে পারে। এটি মূলত লাইভ
ওয়ালপেপার ও ক্লক উইজেট অ্যাপ।
সতর্ক থাকুন
অ্যান্টি-ভাইরাস নির্মাতা প্রতিসমান অ্যাভাস্টের
গবেষকেরা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ উপলক্ষে গুগল
প্লে স্টোরে সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশন দেখা যাচ্ছে। এসব
অ্যাপ্লিকেশনে ফুটবল বিশ্বকাপের নানা তথ্য দেওয়ার
কথা বলা হলেও আদতে অ্যাপ্লিকেশনগুলো মোটেও কাজের
নয়। এ ছাড়া এসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের কাছ
থেকে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত তথ্য চাইতে পারে। এমন
একটি অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে ‘কর্নার কিক ওয়ার্ল্ড কাপ
২০১৪’। অ্যাপ্লিকেশনটি শুধু বিজ্ঞাপন দেখানো ছাড়া আর
কোনো কাজ করে না। এ ছাড়া ‘ফিফা ২০১৪-ফ্রি ওয়ার্ল্ড
কাপ’ অ্যাপটিও সন্দেহজনক। যেসব অ্যাপ্লিকেশন
অতিরিক্ত তথ্য চাইবে সেগুলো ডাউনলোড না করার
পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফুটবল বিশ্বকাপের
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে অ্যাপ্লিকেশনের
রিভিউ পড়ে নেওয়ারও পরামর্শ অ্যাভাস্টের বিশেষজ্ঞদের।
ফুটবল বিশ্বকাপের আপডেট জানতে ফিফা অফিশিয়াল
অ্যাপ্লিকেশনটিই সবচেয়ে ভালো বলে তাঁদের মত।

Posted via BN24Hour

posted from Bloggeroid