নারীদেহের
সবচেয়ে স্পর্শকাতর
অঙ্গগুলো নির্ণীত
হলো গবেষণায়
শেয়ার - মন্তব্য (1 ) - প্রিন্ট
অ অ- অ+
নারীদেহের সবচেয়ে স্পর্শকাতর
অংশ কোনগুলো আর
এগুলোতে কোন ধরনের
স্পর্শেবেশিসংবেদনশীলতাপাওয়াযায়,
বিষয়টি চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি কানাডার
বিজ্ঞানীরা ‘নারীদেহের
স্পর্শকাতরতা’
নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ
গবেষণায় নির্ণয়
করা হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। এক
প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
গবেষণার জন্য বিজ্ঞানীদের
নির্ণয় করতে হয় নারীদেহের
সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গের
সংবেদনশীলতার ধরন। আর এ
সংবেদনশীলতা নির্ণয় করার জন্য
তারা হালকা স্পর্শ, চাপ ও
কম্পনের ব্যবহার করেন।
গবেষণায় পাওয়া যায়, নারীদেহ
হালকা স্পর্শের জন্য
সবচেয়ে সংবেদনশীল হলো ঘাড়,
চাপের জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল
হলো ভগাঙ্কুর ও স্তনবৃন্ত। এ
ছাড়াও গবেষণায়
উঠে এসেছে কম্পনের
ক্ষেত্রে ভগাঙ্কুর
সবচেয়ে সংবেদনশীল।
এ গবেষণার ফলাফল ব্যবহৃত
হবে যারা কৃত্রিম স্তন স্থাপন
করবেন তাদের কাজে। এ ছাড়াও
লিঙ্গ পরিবর্তনজনিত
সার্জারিতেও এ
গবেষণা কাজে লাগবে বলে জানান
বিজ্ঞানীরা।
এ গবেষণার জন্য কানাডার
ইউনিভার্সিটি অফ মন্ট্রিলের
একটি গবেষকদল কাজ করেন।
তারা এজন্য ১৮ থেকে ৩৫ বছর
বয়সি ৩০ জন স্বাস্থ্যবান নারীর
ওপর সমীক্ষা চালান।
সেখানে গবেষকরা জানিয়েছেন,
নারীদেহের অন্যান্য অঙ্গের
তুলনায়
জননেন্দ্রিয়গুলো বেশি সংবেদনশীল।
বিজ্ঞানীরা লিখেছেন,
‘জননেন্দ্রীয়ের মধ্যে যোনীর
প্রান্তভাগও হালকা স্পর্শের
জন্য যথেষ্ট সংবেদনশীল।’
এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরও
কিছু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করেন।
তবে স্পর্শের সঙ্গে স্তনের
আকারের সংবেদনশীলতা,
বডি ম্যাস ইনডেস্ক,
হরমোনজনিত কন্ট্রাসেপশন,
মাসিক চক্র ও যৌন আগ্রহের
ধরন (সমকামী-বিপরীতকামী)
ইত্যাদির কোনো সম্পর্ক
পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন
তারা।
তবে যৌনতায় যারা দীর্ঘদিন বিরত
ও স্পর্শে বিপরীত
অনুভূতিতে অভ্যস্ত নারীদের
ক্ষেত্রে এ
সংবেদনশীলতা কিছুটা ভিন্ন
হতে পারে বলে জানিয়েছেন
বিজ্ঞানীরা।
নারীদেহের ওপর এ ধরনের
গবেষণা এটাই প্রথম
বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর
এ গবেষণার ফলাফল লিপিবদ্ধ
হয়েছে জার্নাল অফ সেক্সুয়াল
মেডিসিনে।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment