Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Thursday, May 22, 2014

ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদেরের বিদায় সংবর্ধনা

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন
ডিসিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
আকরামুল কাদেরের বিদায়
সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত
২০ মে মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার
স্প্রিংফিল্ডস্থ
নিরালা রেস্টুরেন্টের ব্যাংকোয়েট
হলে এ বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠিত
হয়। চার বছর নয় মাস
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়
হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষে জুনের
শুরুতেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন
রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের।
গ্রেটার
ওয়াশিংটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের
একটি বলয়ের
আয়োজনে এতে কমিউনিটি সংগঠন-
বাংলাদেশ সেন্টার ফর
কমিউনিটি ডেভেলমেন্ট ইঙ্ক
(বিসিসিডিআই), গ্রুপ সংগঠন-
"ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি",
"গানের ছোঁয়ায় কবিতা",
"ওরা এগারো জন", একতারা,,
রাজনৈতিক সংগঠন
মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ,
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পিপল এন
টেক এবং বোস ল ফার্ম
এবং ব্যক্তি হিসাবে ড. নকিব
চৌধুরী এবং নুরুল আমীন নুরু এই
আয়োজনে শরিক হন।
বিদায়ের চিরাচরিত বেদনাদায়ক
পরিবেশে ভয়েস অব
আমেরিকা বাংলা বিভাগের প্রধন
রোকেয়া হায়দারের প্রাণবন্ত
উপস্থাপনায় আয়োজক
সংগঠনগুলি থেকে দুইজন
করে বক্তব্য দেন। তারা হলেন
বিসিসিডিআই-এর সাধারণ
সম্পাদক আমিনুল
হুদা ছুটি এবং পরিচালক দীপক
বড়ুয়া, ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলীর
আবু মোহম্মদ রুমি এবং আকতার
হোসেন, "গানের ছোয়ায় কবিতা"
গ্রুপের দস্তগীর জাহাংগীর,
সিলিকা কনা, "ওরা এগারো জন"
এর আব্দুস সাত্তার,
একতারা গ্রুপের শেখ
মাওলা মিলন, মোহম্মদ হোসেন
রাজীব, মেট্রো ওয়াশিংটন
আওয়ামী লীগের ড. শাহজাহান
মাহমুদ, মাহমুদুন্নবী বাকী, পিপল
এন টেকের আবু হানিপ
এবং ফারহানা হানিপ, বোস ল
ফার্মের এটর্নি সুদীপ বোস, ড.
নকিব চৌধুরী এবং নুরুল আমীন
নুরু। অনুষ্ঠানে বিশেষ
অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন
প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র
সচিব ফারুক সোবহান।
বক্তারা তাদের
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আকরামূল
কাদের এবং দূতাবাসে তাদের
সংগঠনের বেনিফিসিয়ারির গল্প
কৃতজ্ঞতা সহকারে যেমন
তুলে ধরেন তেমনি তাদের
ব্যক্তিগত সুখ
স্মৃতি নিয়ে আলোকপাত করেন।
অনেকেই একজন ঝানু কূটনীতিক
আকরামূল কাদের তাদের
কাছে কিভাবে প্রিয় "কাদের ভাই"
হয়ে উঠেন তা তুলে ধরেন।
কারো কারো ব্যক্তিগত
অভিজ্ঞতার বক্তব্যে তার কিছু
বিরল গুনাবলীর কথা প্রকাশ
পেয়েছে, তা সমাবেশ স্থলে জনাব
আকরামুল
কাদেরকে নিয়ে গেছে এক দারুন
উচ্চতায়। আব্দুস সাত্তারের টাই
ঠিক করে দেওয়া,
গুণী শিল্পী ডরথী বোসকে নিজের
প্ল্যাট থেকে মাছ তুলে দেওয়া তার
বিরল বৈশিষ্ট্যগুলিকে সমাবেশ
স্থলে আলোকিত হয়ে উঠে। জনাব
আকরামূল কাদের তার কর্মের
মধ্যে দিয়ে প্রবাসে নতুন
প্রজন্মকে
প্রেরণা জুগিয়েছে নানা ভাবে।
সভায়
বক্তরা অতি উৎসাহী হয়ে কিছু
ভূল তথ্য পরিবেশন করেন,
এটা সম্ভবত তাদের
অজ্ঞতা কিংবা অতি আবেগ
প্রবণতার কারণে বিচ্যুতি। সভায়
শুধু মাত্র আয়োজকদের
মধ্যে আলোচনা সীমাবদ্ধ করার
কারনে এই বিদায়
সংবর্ধনাটি যে সার্বজনীনতার
সুযোগ তৈরি করেছিল
তা আলোকিত হয়নি।
আয়োজকরা সংকীর্ণ
চিন্তা চেতনার
বাইরে নিজেরা একজন
করে বক্তব্য
দিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত
সুধীজনদের বক্তব্য প্রদানের
সুযোগ
তৈরি করলে আরো শোভনীয়
হতো বলেই অনুস্থানে উপস্থিত
অনেকেই মনে করেছেন।
তবে মঞ্চে বক্তাদের
বক্তব্যে এবং সাউড টেবিলের
আলোচনা থেকে একটি বিষয়
প্রতিয়মান হয়েছে মানুষ
হিসাবে তার সরলতা,
শ্রেণী চেতনা আর বৈষম্যের
অচলয়ায়নে ভেংগে জনাব কাদের
প্রবাসী বাঙালিদের আপন
করে নিতে পেরেছিল। এটা ছিল
তার এক অন্যন্য সাধারণ গুণ।
ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ
দূতাবাসের
সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের
যে নিবির এবং নৈকট্যের সম্পর্ক
তৈরিতে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন
কবির যে সূচনা করেছিলেন
এবং অবদান রেখে গিয়েছিলেন
জনাব আকরামুল কাদের সেই
ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এই
বন্ধন আরো নিবির
এবং শক্তিশালী করেছেন। আর
এর মধ্য দিয়ে তিনি বৃহত্তর
ওয়াশিংটনের
বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছে তিনি
গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব
হিসাবে নিজেকে
তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
শারিরিক অসুস্থতা সত্ত্বেয়
রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের তার
সংক্ষিপ্ত
ওয়াশিংটনেঅবস্থানকালেতাকেবিভিন্ন
ভাবে সহযোগীতা করার জন্য
ওয়াশিংটনবাসীর
প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য যে জনাব আকরামুল
কাদেরই ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের
প্রথম রাষ্ট্রদূত যিনি বরণ
সংবর্ধনা এবং বিদায়
সংবর্ধনা লাভ কররেন। ২০০৯
সালে মার্চে গ্রেটার ওয়াশিংটনের
বৃহত্তম এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুই
সংগঠন-বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন
অব আমেরিকা (বাই)
এবং বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অব
গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)
যৌথ আয়োজনে এই
সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদায়
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কিছু মান
অভিমানে এই বৃহত
দুটি কমিউনিটি সংগঠনসহ
আরো অনেক সংগঠন না থাকলেও
ব্যক্তি আকরামুল কাদেরের
প্রতি রয়েছে তাদের শ্রদ্ধা।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ধর্ম
বর্ণ গোত্র
নির্বিশেষে তিনি একজন
সার্বজনীন শ্রদ্বেয়
ব্যক্তি হিসাবে গ্রেটার ওয়াশিংটন
প্রবাসী মানুষের কাছে সমাদৃত
এবং স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত সাংষ্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন দিনার
জাহাঙ্গীর, আবু রুমি, ও কালাচাঁদ
সরকার। আবৃত্তি করেন
সিলিকা কনা।
নৈশভোজে আপ্যায়নের মধ্য
দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


Posted via Blogaway

No comments: