মোবাইল ফোনে প্রেম
ভালোবাসা করে সরাসরি দেখা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে সোহেল
রানা নামের এক কলেজছাত্র। ধরা খাওয়ার পর
মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের বাড়ির
একটি ঘরে ওই ছাত্রকে গতকাল শনিবার রাত
১১টা থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায়
১৯ ঘণ্টা ধরে বন্দী করে রেখেছে। কুড়িগ্রামের
রাজীবপুর উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের গ্রামবাসিদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজছাত্র সোহেল
রানা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার
দিকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে মেয়ের
বাড়িতে হাজির হয়। এ সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন
টের পেয়ে তাকে আটক করে।
বন্দী সোহেল রানা বলেন, এর আগে আমি মোবাইল
ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা বলি এবং মেয়ের ইচ্ছায়
তার বাড়িতে হাজির হই দেখা করার জন্য। কিন্তু
দেখা করার আগেই তাদের বাড়ির লোকজন
আমাকে আটক করে। বাইর থেকে দরজা তালাবদ্ধ
করে আমাকে রাখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন,
আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে। রাতের অন্ধকারে অসৎ
উদ্দেশে আমার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আইছে। এ
কারণে তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার পিতা-
মাতাকে খবর দেওয়া হয়েছে।
একটা ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত
তাকে ছাড়া হবে না। সোহেল রানাকে আইন
অনুযায়ী থানা পুলিশে সোর্পদ করা হচ্ছে না কেন
জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার
ফয়সালা তো পুলিশ দিতে পারবে না। ছেলের
অভিভাবক এসে এক
সমঝোতা করলে তাকে ছাড়া হবে।
এদিকে সোহেল রানার চাচা সাবেক ইউপি মেম্বার
সুরমান আলী অভিযোগ করেন, ছেলেকে বন্দী রাখার
বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ
কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে রাজীবপুর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন
বলেন, শুনেছি মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনায় এক
ছেলেকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের
কাছে কেউ অভিযোগ না করায় কোনো উদ্যোগ
নেওয়া যাচ্ছে না।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment