আসলে এই ফেসবুক হচ্ছে একটা ফেস লেস বুক
এবং এটাতে
যদি বেশি মেতে থাকেন তাহলে আপনার ফেস
বলে আর কিছু থাকবেনা। মানে এর
চেয়ে সময়ের অপচয় আর কিছু নেই|
আসলে ফেসবুক নিয়ে বর্তমানে সমাজ
বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের
গবেষণা পরিচালনা করেছেন| তারা দেখেছেন
আধুনিক মানুষের অস্থিরতার একটা বড় কারন হল
ফেসবুক। বিশ্বের ৪০ কোটিরও বেশি লোক
ফেসবুকে একাউন্ট খুলেছে। এদের
মধ্যে কমপক্ষে ২০ কোটি প্রতিদিন
ফেসবুকে ঢোকে, এদের প্রত্যেকের গড়ে ১৩০
জনেরও বেশি বন্ধু আছে।মাসে এর সকল
ব্যাবহারকারীরা মিলে ৫০ হাজার কোটি মিনিট সময়
খরছ করে।
ধরুন আপনি ফেসবুকের অন্তর্ভুক্ত হলেন
আপনি কি করবেন? প্রতিদিন নিয়ম
করে আপনার বন্ধুর স্ট্যাটাস পড়তে শুরু করবেন,
তারপর আপনি দেখবেন এখানে স্কুল কলেজের
অনেক পুরাতন বন্ধু বান্ধব পেয়ে গেছেন। তাদের
ছবি দেখছেন, আপনি আপনার ছবিও
দিতে চাইবেন...
এখানেই শেষ নয়, আপনি চাইবেন এইখানে আপনার
সকল বন্ধুরা লাইক দিক, কমেন্ট করুক,
আপনি বেশি মেতে থাকবেন আপনার ফেসবুকের
গেম গুলো নিয়ে এবং পরিবারকে সময় দেয়ার
মতো যথেষ্ট সময় ও হয়তো আপনি পাবেন না।
এটা কি কোন অংশে আসক্তির
চেয়ে কম ???????
আসুন ফেসবুকের আরও কিছু ক্ষতির দিক
যেনে নেই...........................
এখানে আপনি উন্মক্ত, পৃথিবীর সব মানুষই
আপনাকে ইচ্ছা করলে দেখতে পাবে । আপনার
সকল গোপনীয় তথ্য সে অতি সহজেই পেয়ে যাবে।
এগুলো ব্যাবহার করে সে আপনাকে অনেক ধরনের
ভয় দেখাতে পারে ও বিশাল বড় ক্ষতিও
করে ফেলতে পারে।গত বছর আমার সাথে ঠিক এই
কাজটি ই করেছিল হয়তো আমার কোন ফেসবুক
বন্ধু।
আপনি হয়তো কোন চাকুরির জন্য আবেদন
করেছেন, নিয়োগকারীরা যদি চায় আপনার সকল
গোপনীয় তথ্য আপনার অ্যাকাউন্ট
থেকে নিতে পারে, যেটা আপনি তাদের
জানাতে চাননি, অথবা যেটা ওই প্রতিষ্ঠানে ঢোকার
ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে।
একটি মেয়ে তার নিজের ছবি ফেসবুকে দিয়ে লাইক
পেতে খুব পছন্দ করে কিন্তু সে জানেনা, এই
ছবিটিই তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে !
যেকোনো মানুষ তার ছবিটি ফটোশপের
মাধ্যমে পরিবর্তন করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার
চেষ্টা করতে পারে।
আজকাল আপনার ছবি দিয়ে আপনার শত্রু
অ্যাকাউন্ট খুলে আপনাকে অপদস্ত করার
চেষ্টা করতে পারে।
আপনাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে খুব সহজেই আপনার
কাছ থেকে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পারে।
আপনার কোন কথা যদি সরকার বিরোধী হয়,
তাহলে আপনাকে জেল হাজতেও সময়
কাটাতে হতে পারে।
সর্বোপরি যে ক্ষতিটা বেশি হবে সেটা হল সময়ের
অপচয়।
এবার আসুন যেনে নেই এর সাময়িক সমাধান
কি ........................
ফেসবুকে যত সম্ভব কম সময় দেয়া যায়, সেটাই
হবে আপনার জন্য কল্যাণকর।
অবশ্যই নিজের সম্পর্কে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
নিজেদের ছবি,বিশেষ করে মেয়েদের ছবি না দেয়াই
শ্রেয়
কোন ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয় যেটা অন্য
কোন মানুষের কিংবা কোন গুণীজনের
মানকে হানি করে।
অপরিচিত বিপরীত লিঙ্গের মানুষের
সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শুধুমাত্র পড়াশুনা সংক্রান্ত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়
কিংবা কলেজের গ্রুপ গুলোতে ও অন্যান্য
শিক্ষামূলক ব্যাপারগুলোর সাথে সম্পৃক্ত
থাকা যেতে পারে।
তরুন প্রজন্মকে দেখা যায়, তারা বেশির ভাগ
সময়ই মেয়েদের প্রোফাইল
কিংবা মেয়ে খুঁজে খুঁজে সময় নষ্ট করে, এটা বাদ
দিতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬০ ভাগ কর্পোরেট
অফিসে ফেসবুক চালানো
নিসিদ্ধ হয়েছে এ হার ব্রিটেনে প্রায় ৭০ শতাংশ
এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় 55
শতাংশ। ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, জার্মানিসহ দেশের
অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়।
ফেসবুক ব্যাবহার কারীদের অজুহাত
এখানে ছেলেবেলার বন্ধুবান্ধবদের
খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে আমার প্রশ্ন হল এটাই
কি ছাত্র জীবনের ব্রত ????
পড়াশুনা ও ক্যারিয়ারের মূল্যবান সময় নষ্ট
করে পারিবারিক জীবনে কলহ ডেকে এনে দিনের পর
দিন চলছে এই সামাজিক যোগাযোগ !!!!!!!!
একজন মানুষ দৈনিক তিন চার ঘণ্টা সময় নষ্ট
করছে এই হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজতে, সবার
প্রোফাইলে ঢোকে কমেন্ট লিখার এই সামাজিক
যোগাযোগ সবাইকে নিয়ে যাচ্ছে অজানা কোন
ঠিকানায়, যার মাধ্যমে আপনি আমি নষ্ট
করছি হাজারো মূল্যবান সময়!!!!!!!!!! এই সময়
গুলো আপনার সামনের জীবনটাকে অন্ধকার
করে দিবে !!!!!!!!!
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment