আন্তর্জাতিক: পূর্ব এশিয়ায় রাশিয়ার
একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জঙ্গি বিমান একটি মার্কিন
সামরিক গোয়েন্দা বিমানকে হটিয়ে দিয়েছে। ওয়াশিংটন
মস্কোর কাছে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন এ খবর
জানিয়েছে।
গত ২৩ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের
মুখপপাত্র কর্নেল স্টেভ ওয়ারেন। তিনি গতকাল বলেন,
“রাশিয়ার একটি এসইউ-২৭ ফ্ল্যাঙ্কার জঙ্গি বিমান
মার্কিন বিমান বাহিনীর আরসি-১৩৫ইউ গোয়েন্দা বিমানের
১০০ মিটারের কাছাকাছি চলে আসে। মার্কিন
গোয়েন্দা বিমানটি এ সময় রাশিয়া ও জাপানের
মধ্যবর্তী ওখোত্স্ক সাগরের আকাশে একটি ‘নিয়মিত
মিশনে’ ছিল বলে তিনি দাবি করেন।”
কর্নেল ওয়ারেন বলেন, রুশ জঙ্গি বিমানটি মার্কিন পাইলটের
সঙ্গে কোনো ধরনের রেডিও যোগাযোগ না করেই এটির
গতিপথ আটকে দেয়। এমনকি এ সময় রুশ জঙ্গি বিমান
থেকে মার্কিন গোয়েন্দা বিমান তাক করে ক্ষেপণাস্ত্র
নিক্ষেপের প্রস্তুতি নেয়া হয়। ফলে মার্কিন পাইলট
নির্ধারিত গতিপথ বদলে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যান।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হ্যাগেল এবং মার্কিন
সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ মার্টিন
ডেম্পসি এ ব্যাপারে আমেরিকার উদ্বেগের
কথা সরাসরি রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে জানিয়েছেন
বলে পেন্টাগনের মুখপাত্র উল্লেখ করেন।
এর আগে এপ্রিলের গোড়ার দিকে কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন
ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ডোনাল্ড কুকের কাছে খুব নীচু
দিয়ে উড়ে যায় একটি রুশ ফাইটার জেট।
জঙ্গি বিমানটি কয়েকবার ডোনাল্ড কুকের উপর
দিয়ে ওড়াউড়ি করে। পেন্টাগন ওই ঘটনাকে ‘উস্কানিমূলক ও
অপেশাদারসুলভ’ বলে উল্লেখ করে।
গত ২৮ এপ্রিল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক
বিবৃতিতে জানায়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু
এবং তার মার্কিন প্রতিপক্ষ চাক হ্যাগেল এক
টেলিফোনালাপে ওই দু’টি ঘটনা নিয়েই কথা বলেছেন। কিন্তু
পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ওই টেলিফোনালাপের
ব্যাপারে প্রকাশিত বিবৃতিতে ওখোত্স্ক সাগরের আকাশের
ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়নি। ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র
করে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে যখন তীব্র
উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন এসব ঘটনা সংঘটিত হলো।
সূত্র: আইআরআইবি
Posted via BN24Hour
Posted via BN24Hour
No comments:
Post a Comment