লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রেম ছিল, প্রেম আছে, প্রেম
থাকবে। আর যতদিন প্রেম থাকবে ততদিন
প্রেমে ধোঁকা, প্রতারণা বা সম্পর্ক ভাঙনটাও
থাকবে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, আজকাল
যেন প্রেমে প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতা অনেক
বেশি বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আসলে যত দিন
যাচ্ছে ততই যেন প্রেম
জিনিসটি হয়ে উঠছে কলুষিত। বিয়ের
আগে গর্ভবতী হয়ে যাওয়া, গর্ভপাত থেকে শুরু
করে ব্ল্যাক মেইলিং, প্রতিশোধ আর হরেক রকমের
প্রতারণার বাজার এখন প্রেম। আর সেই অন্ধকার
অংশেরই আরেকটা দিক হলো “রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি”।
নিজেকে নিরাপদ রাখতে প্রথমেই
জানতে হবে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি আসলে কী জিনিষ। একটু
মনে করে দেখুন, কিছু বছর আগেই আলোচিত-
সমালোচিত নায়িকা প্রভার একটি ভিডিও
ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। কথিত আছে যে নায়ক
অপূর্বের সাথে বিয়ে হবার পর প্রভার প্রাক্তন
প্রেমিক এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করেন।
আক্ষরিক অর্থে এটাই হচ্ছে রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফি।
অর্থাৎ, কারো সাথে প্রেম কিংবা বিয়ের সম্পর্ক
ভাঙার পর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিংবা আর্থিক
সুবিধা লাভের আশায় দুজনের ব্যক্তিগত যৌন
সম্পর্কের ভিডিও বা ছবি ইন্টারনেট কিংবা অন্য
কোন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া কিংবা বিক্রয় করা।
ভাবছেন এই বস্তু আমাদের সমাজে এখনো প্রবেশ
করেনি, কিংবা এগুলো শুধুই পশ্চিমা দেশের
ব্যাপার? তাহলে জেনে রাখুন, প্রতিদিন হু হু
করে বাড়ছে রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফির সংখ্যা।
আজকাল ইন্টারনেট ঘাঁটলেই মেলে এই জিনিসের
দেখা। সম্পর্ক ভাঙার পর অপর অপক্ষের দোষ থাকুক
বা না থাকুক, খুব সহজে প্রতিশোধ নিতে বা তাঁর
জীবন নষ্ট করে দিতে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি হয়ে উঠেছে ভয়ানক এক হাতিয়ার। আর
তাই, এখনোই সময় নিজে সচেতন হওয়ার ও
অন্যকে করার। এই ঘটনা আপনার সাথেও
ঘটতে পারে, ব্যবধান শুধু একটি মাত্র ক্লিকের!
মনে রাখবেন-
-জীবনে চলার পথে সম্পর্ক ভাঙতেই পারে, কিন্তু
সেটার অর্থ এই নয় যে নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত
মুহূর্ত আপনি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।
-কাউকে বদনাম করার জন্য আপনি নিজে কতটা ছোট
হলেন, সেটা একবার ভেবে দেখেছেন?
-পর্ণোগ্রাফি তৈরি করা, ছড়ানো বা ছড়ানোর
কাজে সহায়তা করা সবই দণ্ডনীয় অপরাধ।
-পর্ণোগ্রাফি একটি সামাজিক ব্যাধি তো বটেই,
সপবার আগে এটি একটি মানসিক ব্যাধি।
-ভাবছেন কেবল পুরুষেরাই রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফির
নোংরা কাজটি করে থাকে? তাহলে জেনে রাখুন,
আজকাল প্রচুর নারী এই কাজ করে। তাঁরা প্রেমের
ফাঁদে পুরুষদের জড়ায়, শারিরীক সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত
ভাবে জড়িয়ে ভিডিও তৈরি করে,
এবং পুরুষটি বিয়ে করতে বা অর্থ
দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাক
মেইল করে বা অর্থ উপার্জন করে।
-আপনার হয়তো অর্থ উপার্জন বা অন্য কোন উদ্দেশ্য
নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, ঝোঁকের মাথায়
করা একটি ভুল কাজ কেবল একজন মানুষকে নয়, সেই
সাথে তাঁর পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি না হয় আপনার সাথে প্রতারণা করেছেন,
কিন্তু তাঁর পরিবারের কী দোষ?
কী করবেন
নিজেকে বাঁচাতে?
-
সবচাইতে বড়
সত্যি কথা হলো,
এসবের
নোংরা থাবা থেকে নিজেকে রক্ষার
সবচাইতে বড়
হাতিয়ার
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ
করা।
শরীরের
আবেগে ভেসে গিয়ে বিয়ের
আগে শারীরিক
সম্পর্কে জড়াবার
লোভ
সংবরণ
করুন। পৃথিবীতে কার মনে কী আছে বলা যায় না,
তাই নিজেকে সামলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
শারীরিক ভালোবাসার জন্য বিয়ে পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন।
-যদি শারীরিক সম্পর্ক করেই ফেলে থাকেন,
তাহলে পরামর্শ থাকবে নিজেকে এখনোই
সামলে নেয়ার। কোন পরিস্থিতিতেই একান্ত
মুহূর্তে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে রাজি হবেন
না। যদি প্রেমিক
বা প্রেমিকা বিষয়টি নিয়ে জোর করে, বুঝবেন তাঁর
উদ্দেশ্য খারাপ। অবিলম্বে সম্পর্ক ত্যাগ করুন।
-আপনি যদি বিবাহিতও হয়ে থাকেন, তবুও নিজেদের
একান্ত মুহূর্তের ছবি ধারণ করা থেকে বিরত
থাকুন। রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফি প্রচুর বিবাহিত
বা ডিভোর্সড দম্পতিরাও ছড়িয়ে থাকেন। নিজের
ব্যক্তিগত যৌনজীবন ক্যামেরায় ধরে রাখার কিছু
না।
-একটি সম্পর্কে আছেন এবং একান্ত মুহূর্তের
ভিডিও/ছবি তোলা হয়ে গিয়েছে? নিজের
কাছে থাকলে সেগুলো নষ্ট করে ফেলুন, এবং তাঁর
কাছে থাকলে দুজনে মিলেই আলোচনার
মাধ্যমে সেগুলো ডিলিট করে দিন।
-আপনাদের ভিডিও কিংবা ছবি কি তাঁর কাছে?
আপনি বললেও সে ডিলিট করতে রাজি হচ্ছে না?
তাহলে কৌশলে একটি কপি নিজের কাছেও রাখুন।
যেন ভবিষ্যতে এগুলো দিয়ে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি ছড়াতে চাইলে তিনি নিজের
নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে পিছিয়ে যান।
-সম্পর্ক ভাঙার আগে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের
যাবতীয় ব্যক্তিগত জিনিস, বিশেষ করে ছবি ও
ভিডিও নষ্ট করুন। অপর মানুষটি যদি রাজি না হয়,
বুঝে নেবেন যে বিপদ আসন্ন।
সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পরিবার, বন্ধুদের সাহায্য নিন।
থাকবে। আর যতদিন প্রেম থাকবে ততদিন
প্রেমে ধোঁকা, প্রতারণা বা সম্পর্ক ভাঙনটাও
থাকবে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, আজকাল
যেন প্রেমে প্রতিশোধ নেয়ার প্রবণতা অনেক
বেশি বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয়, আসলে যত দিন
যাচ্ছে ততই যেন প্রেম
জিনিসটি হয়ে উঠছে কলুষিত। বিয়ের
আগে গর্ভবতী হয়ে যাওয়া, গর্ভপাত থেকে শুরু
করে ব্ল্যাক মেইলিং, প্রতিশোধ আর হরেক রকমের
প্রতারণার বাজার এখন প্রেম। আর সেই অন্ধকার
অংশেরই আরেকটা দিক হলো “রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি”।
নিজেকে নিরাপদ রাখতে প্রথমেই
জানতে হবে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি আসলে কী জিনিষ। একটু
মনে করে দেখুন, কিছু বছর আগেই আলোচিত-
সমালোচিত নায়িকা প্রভার একটি ভিডিও
ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। কথিত আছে যে নায়ক
অপূর্বের সাথে বিয়ে হবার পর প্রভার প্রাক্তন
প্রেমিক এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কাজটি করেন।
আক্ষরিক অর্থে এটাই হচ্ছে রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফি।
অর্থাৎ, কারো সাথে প্রেম কিংবা বিয়ের সম্পর্ক
ভাঙার পর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে কিংবা আর্থিক
সুবিধা লাভের আশায় দুজনের ব্যক্তিগত যৌন
সম্পর্কের ভিডিও বা ছবি ইন্টারনেট কিংবা অন্য
কোন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া কিংবা বিক্রয় করা।
ভাবছেন এই বস্তু আমাদের সমাজে এখনো প্রবেশ
করেনি, কিংবা এগুলো শুধুই পশ্চিমা দেশের
ব্যাপার? তাহলে জেনে রাখুন, প্রতিদিন হু হু
করে বাড়ছে রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফির সংখ্যা।
আজকাল ইন্টারনেট ঘাঁটলেই মেলে এই জিনিসের
দেখা। সম্পর্ক ভাঙার পর অপর অপক্ষের দোষ থাকুক
বা না থাকুক, খুব সহজে প্রতিশোধ নিতে বা তাঁর
জীবন নষ্ট করে দিতে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি হয়ে উঠেছে ভয়ানক এক হাতিয়ার। আর
তাই, এখনোই সময় নিজে সচেতন হওয়ার ও
অন্যকে করার। এই ঘটনা আপনার সাথেও
ঘটতে পারে, ব্যবধান শুধু একটি মাত্র ক্লিকের!
মনে রাখবেন-
-জীবনে চলার পথে সম্পর্ক ভাঙতেই পারে, কিন্তু
সেটার অর্থ এই নয় যে নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত
মুহূর্ত আপনি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন।
-কাউকে বদনাম করার জন্য আপনি নিজে কতটা ছোট
হলেন, সেটা একবার ভেবে দেখেছেন?
-পর্ণোগ্রাফি তৈরি করা, ছড়ানো বা ছড়ানোর
কাজে সহায়তা করা সবই দণ্ডনীয় অপরাধ।
-পর্ণোগ্রাফি একটি সামাজিক ব্যাধি তো বটেই,
সপবার আগে এটি একটি মানসিক ব্যাধি।
-ভাবছেন কেবল পুরুষেরাই রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফির
নোংরা কাজটি করে থাকে? তাহলে জেনে রাখুন,
আজকাল প্রচুর নারী এই কাজ করে। তাঁরা প্রেমের
ফাঁদে পুরুষদের জড়ায়, শারিরীক সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত
ভাবে জড়িয়ে ভিডিও তৈরি করে,
এবং পুরুষটি বিয়ে করতে বা অর্থ
দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেই ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাক
মেইল করে বা অর্থ উপার্জন করে।
-আপনার হয়তো অর্থ উপার্জন বা অন্য কোন উদ্দেশ্য
নেই। কিন্তু মনে রাখবেন, ঝোঁকের মাথায়
করা একটি ভুল কাজ কেবল একজন মানুষকে নয়, সেই
সাথে তাঁর পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি না হয় আপনার সাথে প্রতারণা করেছেন,
কিন্তু তাঁর পরিবারের কী দোষ?
কী করবেন
নিজেকে বাঁচাতে?
-
সবচাইতে বড়
সত্যি কথা হলো,
এসবের
নোংরা থাবা থেকে নিজেকে রক্ষার
সবচাইতে বড়
হাতিয়ার
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ
করা।
শরীরের
আবেগে ভেসে গিয়ে বিয়ের
আগে শারীরিক
সম্পর্কে জড়াবার
লোভ
সংবরণ
করুন। পৃথিবীতে কার মনে কী আছে বলা যায় না,
তাই নিজেকে সামলে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
শারীরিক ভালোবাসার জন্য বিয়ে পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন।
-যদি শারীরিক সম্পর্ক করেই ফেলে থাকেন,
তাহলে পরামর্শ থাকবে নিজেকে এখনোই
সামলে নেয়ার। কোন পরিস্থিতিতেই একান্ত
মুহূর্তে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে রাজি হবেন
না। যদি প্রেমিক
বা প্রেমিকা বিষয়টি নিয়ে জোর করে, বুঝবেন তাঁর
উদ্দেশ্য খারাপ। অবিলম্বে সম্পর্ক ত্যাগ করুন।
-আপনি যদি বিবাহিতও হয়ে থাকেন, তবুও নিজেদের
একান্ত মুহূর্তের ছবি ধারণ করা থেকে বিরত
থাকুন। রিভেঞ্জ পর্ণোগ্রাফি প্রচুর বিবাহিত
বা ডিভোর্সড দম্পতিরাও ছড়িয়ে থাকেন। নিজের
ব্যক্তিগত যৌনজীবন ক্যামেরায় ধরে রাখার কিছু
না।
-একটি সম্পর্কে আছেন এবং একান্ত মুহূর্তের
ভিডিও/ছবি তোলা হয়ে গিয়েছে? নিজের
কাছে থাকলে সেগুলো নষ্ট করে ফেলুন, এবং তাঁর
কাছে থাকলে দুজনে মিলেই আলোচনার
মাধ্যমে সেগুলো ডিলিট করে দিন।
-আপনাদের ভিডিও কিংবা ছবি কি তাঁর কাছে?
আপনি বললেও সে ডিলিট করতে রাজি হচ্ছে না?
তাহলে কৌশলে একটি কপি নিজের কাছেও রাখুন।
যেন ভবিষ্যতে এগুলো দিয়ে রিভেঞ্জ
পর্ণোগ্রাফি ছড়াতে চাইলে তিনি নিজের
নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে পিছিয়ে যান।
-সম্পর্ক ভাঙার আগে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের
যাবতীয় ব্যক্তিগত জিনিস, বিশেষ করে ছবি ও
ভিডিও নষ্ট করুন। অপর মানুষটি যদি রাজি না হয়,
বুঝে নেবেন যে বিপদ আসন্ন।
সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পরিবার, বন্ধুদের সাহায্য নিন।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment