‘বিতর্কিত মন্ত্রী’ লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত দিলেন প্রধানমন্ত্রী

:’বিতর্কিত মন্তব্যের
দায়ে মন্ত্রী আবদুল লতিফকে অপসারনের
যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। হযরত মোহাম্মদ (সা.), হজ, তাবলীগ
জামাত ও প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ
জয়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ
সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দেয়ার
সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ সিদ্ধান্ত হয়
বলে মন্ত্রি পরিষদ সচিবালয় সূত্র
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত
নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বেশ
কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশের
পরই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও
ব্লগে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে যুগোপোযুগি ও
সঠিক সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্তব্য
করেছেন অনেকেই ।
এদিকে মহানবী, হজ, তাবলিক জামাত আর সজিব
ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যে ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘পবিত্র হজ ও
তাবলিক জামাত সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রীর এ ধরণের বক্তব্য দেয়া উচিৎ নয়।
এছাড়াও সজিব ওয়াজেদ জয় আমাদের দলের ভবিষ্যৎ
নেতা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও
প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
তাকে নিয়ে মন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেয়া ঠিক
হয়নি। জাতিসংঘের অধিবেশন
শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসার পর এ
ব্যাপারে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের
একটি হোটেলে রোববার
বিকেলে নিউইয়র্কে বসবাসরত টাঙ্গাইলবাসীদের
সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী নবীকে নিয়ে কটূক্তিসহ
অন্যদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ
চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের
লোকেরা কীভাবে চলবে? তারাতো ছিল ডাকাত।
তখন সে একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার
অনুসারীরা প্রতিবছর একবার একসঙ্গে মিলিত
হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের
ব্যবস্থা হবে।’
মতবিনিময় কালে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি হজ আর
তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী,
জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী, তবে তার চেয়েও
বেশি হজ ও তাবলীগ জামাতের।’
হজ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ
নেতা বলেন, ‘হজের জন্য ২০ লাখ লোক
সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই।
এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।
শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।
গড়ে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজে যায়
প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০
কোটি টাকা খরচ হয়।’
এসময় তাবলীগ জামাতের
সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাবলীগ জামায়াত
প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে।
নিজেদেরতো কোনো কাজ নেই। সারা দেশের
গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।’