লালমনিরহাটে ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে শিক্ষকের নামে মামলা, পরীক্ষা বর্জন

৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের
অভিযোগে শিক্ষকের নামে লালমনিরহাটের
আদিতমারী থানায় মামলা দায়ের, ধর্ষক
শিক্ষকের বিচার দাবিতে পরীক্ষা বর্জন
করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল ১০ টার পরীক্ষা বর্জন
করেছে আদিতমারী উপজেলার
মহিষখোচা বহু মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও
কলেজের শিক্ষার্থীরা।
থানা পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান,
উপজেলার মহিষখোচা বহু মূখী উচ্চ বিদ্যালয়
ও কলেজের স্কুল শাখার ৭ম শ্রেনীর এক
ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন যাবত তার
বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন ওই
স্কুলের সহকারী শিক্ষক রেজাউল ইসলাম
মানিক(৩৫)। পড়াতে গিয়ে ছাত্রীর
বাড়ীতে কেউ না থাকায় সুযোগে গত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোর পূর্বক ধর্ষন
করেন ওই ছাত্রীকে শিক্ষক রেজাউল
ইসলাম।
ওই ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনাটি তার
দাদীকে জানালে দাদী ছাত্রীর
বাবা এবং পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি অবগত
করে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায়
জানা জানি হলে জেলা জুরে তোরপার শুর
হয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার সারাদিনে স্থানীয়
মাতাব্বরদের মাধ্যমে গোপনে আপোষ
মিমাংসার অপচেষ্টা চলে।
অবশেষে শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বড়
বোন আকলিমা আক্তার বাদি হয়ে ধর্ষক
শিক্ষক রেজাউল ইসলাম মানিকের
বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি ধর্ষনের
অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যাহার
মামলা নং ২১।
এ
দিকে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানে জানাজানি হলে শনিবার
সকাল ১০ টায় ওই প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখার
চলমান উচ্চ মাধ্যামিক নির্বাচনী ও প্রথম
বর্ষের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বর্জন
করে শিক্ষার্থীরা ধর্ষক শিক্ষকের বিচার
দাবি করেন। ওই শিক্ষক গ্রেফতার
না হওয়া পর্যন্ত সকল ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন
করার ঘোষনা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন
স্থানে পোষ্টা লাগিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মহিষখোচা বহু মূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও
কলেজের অধ্যক্ষ শরওয়ার আলম
সাংবাদিকদের জানান, গত রাতে (শুক্রবার) ওই
ছাত্রীর বাবা মোবাইল
ফোনে বিষয়টি অবগত করেন।
তিনি আরোও জানান, যদি আমার
সহকারী শিক্ষক প্রকৃত অপরাধেী হয়
তা হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থিÍ
দাবী করচ্ছি। উদ্ধৃত্য
পরিস্থিতি কারণে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
কফিল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,
মামলা হয়েছে, ধর্ষিতাকে পরীক্ষা করার
জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরন
করা হয়েছে। তবে ধর্ষক ওই
শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত
রয়েছে।