Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Monday, December 8, 2014

বুধবার ভারতীয় মন্ত্রিসভার সিলমোহর পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল সীমান্ত চুক্তি

শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন
না হলে আগামী বুধবার বাংলাদেশের
সঙ্গে ভারতের স্থল সীমান্ত
চুক্তিটি ভারতীয় মন্ত্রিসভার সিলমোহর
পেতে চলেছে।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এরপরেই এই
চুক্তিটি সংসদীয় অনুমোদনের জন্য
রাজ্যসভায় আনা হবে। সব ঠিক
থাকলে এবং অন্য কোনও বিতর্কের
জেরে সংসদ অচল না হলে,
আগামী সপ্তাহেই বিলটি রাজ্যসভায় পাস
করিয়ে নেওয়া যাবে বলে আশা করছেন
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
ছিটমহল বিনিময়ে তৃণমূল নেত্রী তার অনড়
মনোভাব ত্যাগ করায় অনেকটাই
সুবিধা হয়েছে মোদি সরকারের। রাজ্যসভায়
এমনিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার
অভাবে ভুগছে বিজেপি সরকার।
সেখানে তৃণমূল সরকারের সমর্থন
পাওয়া বিজেপির জন্য স্বস্তিদায়ক। বস্তুত, এই
চুক্তিটি নিয়ে তৃণমূলের সমর্থন আদায়
করতে উঠেপড়ে লেগেছিল মনমোহন
সরকারও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তারা একাধিকবার মমতা এবং তার সংসদীয়
নেতাদের সঙ্গে এ
নিয়েআলোচনাকরেতাকেবোঝাতেচেষ্টাকরেন।
কিন্তু মমতা অনড় ছিলেন। তার বক্তব্য ছিল,
যেহেতু ভারতকে বেশি জনসংখ্যার চাপ
নিতে হবে বেশি জমি বাংলাদেশকে দিয়ে,
ফলে প্রকৃত পুনর্বাসনের প্যাকেজ স্থির
না হওয়া পর্যন্ত তিনি এতে রাজি নন। কিন্তু
সম্প্রতি এই জেদ
থেকে সরে এসেছেন মমতা। রাজনৈতিক
সূত্রগুলোর মতে, বর্তমান যে চাপ
সৃষ্টি হয়েছে তাতেই কিছুটা নরম হয়েছেন
তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে বাংলাদেশের
জামাতের যোগাযোগের
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ওঠায়, এবং এই
নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত বহাল থাকায় ঢাকার
সঙ্গে সুসম্পর্ক
কিছুটা জরুরি হয়ে পড়েছে তার জন্য। আর
সেই সুযোগটিই নিয়েছে কেন্দ্রীয়
সরকার।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের পাশাপাশি এই রাজ্যের
এবং আসামের বিজেপি ইউনিটের
বিরোধিতাকেও প্রশমিত করতে সক্ষম
হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরে গিয়ে অগ্রাধিকারের
ভিত্তিতে সেখানকার
বিজেপি শাখা নেতৃত্বের সঙ্গে ধারাবাহিক
বৈঠক করেন তিনি।
বিজেপি সূত্রের খবর, মোদি তাদের সাফ
জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও ভূ-
কৌশলগত পরিস্থিতি এমনই যে বাংলাদেশের
সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করাটা প্রয়োজন।
হাসিনা সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
ভারতের সীমান্ত এবং সন্ত্রাস দমনের
প্রশ্নে অত্যন্ত জরুরি।
সেক্ষেত্রে এখনই
তিস্তা চুক্তি করতে না পারলেও অন্তত ছিটমহল
হস্তান্তরের বিষয়টি করে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্কের একটি মাইলফলক গড়ে তুলতে চান
তিনি।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় পাশ
হয়ে যাওয়ার পর মোদি স্বয়ং বাংলাদেশ
সফরে আসতে পারেন। গত
মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর তিনি সার্কভুক্ত
দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
এবং যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ
করতে চেয়েছেন। তার অন্যতম
উদ্দেশ্য পাকিস্তানকে এই আঞ্চলিক
রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
সেই কৌশলেই তিনি বাকি সার্ক
রাষ্ট্রগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এগোচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশে মোদি শিগগিরই
আসতে চান। যদিও বাংলাদেশে ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রীই (মনমোহন সিং) শেষ সফর
করেছিলেন। সেই
অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবার
ভারতে আসার কথা। কিন্তু চিরকালই প্রচলিত ধ্যান
ধারণাকে উল্টে দিয়ে ‘আউট অব দ্য বক্স’
নীতি নিয়ে চলেন মোদি। এমনটাই বলেন
তার ঘনিষ্ঠ মহল। তাই স্থলসীমান্ত
চুক্তিটি পকেটে করে তিনি যদি বাংলাদেশের
যান, তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই বলেই
মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

No comments: