ঢাকা: রাজধানী ঢাকা,
বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা,
দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, সিলেট,
গাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ
শনিবার দুপুর সোয়া
১২টার পর ভূমিকম্প অনুভূত
হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৪ দশমিক ৫। ভূমিকম্প বেশ কয়েক সেকেন্ড ধরে স্থায়ী হয়। এ সময় আতঙ্কে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
উৎপত্তিস্থল
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরে নেপালে। নেপালের পার্বত্য এলাকায় শনিবার দুপুরে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৯ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল রাজধানী কাঠমাণ্ডুর অদূরে পোখরার কাছে লামজুনে। নেপালের মতো এই কম্পন বাংলাদেশের সর্বত্র ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে ৮২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পর সেখানে ভবন ধস ও আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আবারো ভূমিকম্প, মাত্রা ৫.৪
ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মাত্রা ছিলো ৫.৪। ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে তা অনুভূত হয়। প্রথম ভূমিকম্পের প্রায় ৪০ মিনিট পর মৃদুকম্পন অনুভূত হয় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে এই ভূমিকম্পেরও কেন্দ্রস্থল ছিলো নেপালে। সারাদেশে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ ঘরের বাইরে অবস্থান করছে।
ভূমিকম্পে দিল্লিতে মেট্রো সার্ভিস বন্ধ
দিল্লি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম পাঞ্জাব, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন অংশও কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ৭.৫ মাত্রার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তীব্র এ ভূমিকম্প এক মিনিট স্থায়ী হয়। দিল্লিতে এর প্রভাবে মেট্রো রেল সার্ভিস সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় নেপালের পোখারার কাছে। নিমিষেই তা ভারত ও বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে যায়।
শনিবার ভারতীয় সময় বেলা ১১.৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া বারটায়) প্রথম এ কম্পন অনুভূত হয়।
গোটা কলকাতা শহরের প্রায় সব জায়গাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কলকাতার জলাশয়গুলোতে এ সময় জলে যথেষ্ট আলোড়ন পড়েছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন রাস্তায় বের হয়ে আসে। তবে কোনো হতাহতের খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment