Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Showing posts with label probashi. Show all posts
Showing posts with label probashi. Show all posts

Monday, August 18, 2014

মালয়েশিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান
করা বিদেশি শ্রমিক আটক অভিযানে গতকাল
সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। ২৪
ঘণ্টার যৌথ অভিযানে দেশটির
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জহুরবারুসহ বিভিন্ন
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরিতে অভিযান
চালিয়ে কয়েক হাজার বিদেশীকে আটক
করে পাশের থানা ও ডিটেনশন
ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশির
সংখ্যা দুই হাজার ৯০০। যাদের
কারো কাছে পাসপোর্ট বা কাজের পারমিট
ছিল না।
আটক হওয়া বাংলাদেশিদের কেউ কেউ
ইমিগ্রেশন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের
পায়ে ধরে আকুতি করে বলেছেন, ‘স্যার
আমাদের জেলে পাঠিয়ে দেন, তবু
দেশে ফেরত পাঠাবেন না’। এমন খবর
মালয়েশিয়ার টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার
হওয়ার পর হাজার হাজার
বাংলাদেশী নিরাপদ আশ্রয়ের
খোঁজে পালাতে শুরু করেন বলে মালয়েশিয়ায়
অবস্থান করা একাধিক বাংলাদেশি রবিবার
টেলিফোনে জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শনিবার
মালয়েশিয়া সময় বেলা ২টা থেকে জহুরবারুর
৭০০ ফ্যাক্টরিতে একযোগে অভিযান
চালানো হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ইন্দোনেশিয়া,
ফিলিপাইন, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও
বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়ে।
জহুরবারু থেকে রবিবার হাসান রাজা,
মেহেদী হাসান ও উজ্জ্বল
নামে বাংলাদেশি টেলিফোনে জানান,
মালয়েশিয়ায় প্রতিদিনই অবৈধ শ্রমিক
ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডিটেনশন
ক্যাম্পগুলো ভরে যাওয়ায় অভিযান
কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। তবে গত ২৪
ঘণ্টায় দেশটিতে পুলিশ, রেলা, ইমিগ্রেশন
ও জিপিজে বড় ধরনের ধরপাকড় অভিযান
চালিয়েছে। এই সংবাদ রবিবার
বেলা দেড়টায় মালয়েশিয়ার শীর্ষ
টিভি চ্যানেল টিগা-৩ তে সম্প্রচার
করা হয়েছে।
তারা বলেন, টিভিতে অন্যান্য দেশের
নাগরিকদের দেখানো না হলেও শুধু
বাংলাদেশের দুই হাজার ৯০০ নাগরিক
আটকের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে দেখা গেছে,
কোনো কোনো বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন
কর্মকর্তার পা-হাত জড়িয়ে কান্না করছেন।
আর বলছেন, ‘স্যার আমরা দেশ
থেকে সুদে টাকা নিয়ে এ দেশে এসেছি।
আমাদের এখানে মেরে ফেলেন।
নতুবা জেলে পাঠান। তবু আমাদের
দেশে ফেরত পাঠাবেন না।
খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশি যারা ধরা পড়
কারো পাসপোর্টে ওয়ার্ক পারমিট ছিল না।
এ বিষয়টি জানার জন্য গত
রাতে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের
হাইকমিশনার এ কে এম আতিকুর রহমানের
সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও
তিনি টেলিফোন ধরেননি। এর আগে অবশ্য
হাইকমিশনার বলেছিলেন, মালয়েশিয়ায়
যারা অবৈধভাবে অবস্থান করছে তাদের
আউট পাস অথবা ট্রাভেল
পাসে দেশে ফিরে যেতেই হবে। এ ছাড়া আর
বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
এ দিকে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের
ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হলেও
থেমে নেই আদম পাচার সিন্ডিকেটের
তৎপরতা। এই অভিযানের মধ্যেও প্রতিদিন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, রিজেন্ট,
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সে আদম
পাঠানো অব্যাহত রয়েছে।
তবে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ট্যুরিস্ট ও
ভিজিট ভিসাধারীদের মধ্যে সন্দেহজনক
ব্যক্তিদের ফিরতি ফাইটে দেশে ফেরত
পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে বিমানবন্দর
সূত্রে জানা যায়।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, গত এক
মাসে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর থেকে প্রায়
দুই হাজার সন্দেহজনক ট্যুরিস্টকে ফেরত
পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বিমান ও
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের যাত্রীই বেশি।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা এ
প্রতিবেদককে বলেন, প্রতিদিন বিমানের
ফাইটে গড়ে ২০ জন
করে ফিরতি ফাইটে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
ওই হিসাবে গড়ে মাসে ৬০০ জন। রিজেন্ট ও
ইউনাইটেডের সংখ্যা মাসে ২০০।
আর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের প্রতিদিনের
তিনটি ফাইটের হিসাবে মাসে এক হাজার
যাত্রী ফেরত এসেছে। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট
১৩ জন ও ১৬ আগস্ট ১৬
জনকে ফিরতি ফাইটে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে একই ফাইটে ৬৫ জনও ফেরত এসেছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মূলত
ঢাকা এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট করেই এসব আদম
মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করে।
তবে অধিকাংশই
নিরাপদে ঢুকে পড়তে পারছে। এদের কারণেই
এখন মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিকে গিজগিজ
করছে। এই
অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ
হবে।
রবিবার রাতে হজরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের
ওসি আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ
করা হলে তিনি বলেন, যেসব
যাত্রীকে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ফেরত
পাঠাচ্ছে তাদের সবার পাসপোর্ট ভিসা ঠিক
আছে। তারপরও কেন তাদের ফেরত
পাঠাচ্ছে তা আর আমরা বলতে পারছি না।
তবে ইমিগ্রেশন অথরিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত
নিতে পারেন। এটা আমাদের ক্ষেত্রেও
হয়ে থাকে।

posted from Bloggeroid

Wednesday, June 25, 2014

প্রবাসে বাংলাদেশী নারীদের ভয়ানক দুর্দশার কথা জানেন কী ? (ভিডিও সহ )

বাংলাদেশ :হাজেরা খালার স্বামীটা যখন সড়ক দুর্ঘটনায়
পঙ্গু হয়ে গেলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল
মানুষটি তখন হয়ে গেলো অথর্ব। বলাই বাহুল্য
যে পরিবারের বোঝা বাধ্য হয়েই গিয়ে পড়লো হাজেরা খালার
উপর। তিন সন্তান, বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি আর পঙ্গু
স্বামীকে নিয়ে বেঁচে থাকার এক কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ
হলেন তিনি। মেস বাড়িতে রান্না করে যা উপার্জন করতেন
তা দিয়ে টেনেটুনে মাসের আধেক পর্যন্ত নেয়া যেত; তার
পরের দিনগুলো চেয়েচিন্তে কাটিয়ে দিতে হতো কষ্টের
ভেতর দিয়ে।
তবে ভাবলেন ভিন্ন কথা। বিদেশে যাবেন, ভাগ্য ফেরাবেন
নিজের পরিবারের। কত লোকই তো বিদেশ যাচ্ছে,
এমনকি যাচ্ছেন নারীরাও। তিনি কি পারবেন না? নিশ্চয়ই
পারবেন! একসময়ে পরিচিত খালেক সাহেবের
পরামর্শে হাজেরা খালা জুটলেন ভাগ্যের অন্বেষণে। বহু
চেষ্টার পর, বহু ত্যাগ সয়ে সেই সুদূর ওমানে পাড়ি জমালেন।
বাসাবাড়ির কাজ করতে গেলেন ভাগ্যের চাকাটা ঘুরিয়ে নিতে,
ফিরিয়ে আনতে সুখের দিনগুলোর সচ্ছলতা।
কিন্তু বিধিবাম! এক বাড়ির কাজের জন্য নিয়ে কাজ
করালো তিন বাড়ির। খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট, শারিরীক
নির্যাতন সহ্য করেও মাস শেষে মেটে না পাওনা টাকা।
খাবার ও জলের অভাবে পান করেছেন নিজের প্রস্রাবও।
এমনি মানবেতর অবস্থার ভেতর বিদেশ বিভুঁইয়ে অসহায়ের
মতো মুক্তির দিন গোনেন হাজেরা খালা।
না, এটা কোন গল্প নয়, নয় সিনেমার কাহিনী। বাস্তবেই
সচ্ছলতার স্বপ্নে মধ্যপ্রাচ্য সহ নানা দেশে কাজ
করতে যাওয়া আমাদের
খেটে খাওয়া মহিলা কর্মীরা অবর্ণনীয় নির্যাতন আর
দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে দিন যাপন করছেন। জমি,
বাড়ি বা একমাত্র সম্পদ
বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে ফিরে আসছেন শূন্য হাতে নির্যাতিত
হয়ে। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজারের
মতো মহিলা কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, দুবাই, ওমান,
জর্ডান সহ আরবের অন্যান্য দেশে কাজ করতে যান। আর
এখনো কর্মরত আছেন প্রায় দুইলক্ষাধিক মহিলা কর্মী।
যাওয়ার সময় পড়েন দালালের হাতে, আর বিদেশ গিয়ে পড়েন
নির্যাতনের মুখে। ফলে সব কিছু হারিয়ে,
নির্যাতনে হারিয়ে ফেলছেন মানসিক ভারসাম্য।
নিচের ডকুমেন্টারিটাতে রয়েছে নির্যাতনের এমন সব বর্ণনা-
যা শুনে গা শিউরে ওঠে। ভাগ্যসন্ধানি ভাগ্যবঞ্চিত এই মা-
বোনদের পাশে সরকারি-
অসরকারি মানবতাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো কখন সমস্ত
শক্তি নিয়ে দাঁড়াবে? এদেশে জন্ম নেয়াই কি হাজেরা খালার
মতো মানুষদের অপরাধ?

posted from Bloggeroid