বাংলাদেশ :হাজেরা খালার স্বামীটা যখন সড়ক দুর্ঘটনায়
পঙ্গু হয়ে গেলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল
মানুষটি তখন হয়ে গেলো অথর্ব। বলাই বাহুল্য
যে পরিবারের বোঝা বাধ্য হয়েই গিয়ে পড়লো হাজেরা খালার
উপর। তিন সন্তান, বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি আর পঙ্গু
স্বামীকে নিয়ে বেঁচে থাকার এক কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ
হলেন তিনি। মেস বাড়িতে রান্না করে যা উপার্জন করতেন
তা দিয়ে টেনেটুনে মাসের আধেক পর্যন্ত নেয়া যেত; তার
পরের দিনগুলো চেয়েচিন্তে কাটিয়ে দিতে হতো কষ্টের
ভেতর দিয়ে।
তবে ভাবলেন ভিন্ন কথা। বিদেশে যাবেন, ভাগ্য ফেরাবেন
নিজের পরিবারের। কত লোকই তো বিদেশ যাচ্ছে,
এমনকি যাচ্ছেন নারীরাও। তিনি কি পারবেন না? নিশ্চয়ই
পারবেন! একসময়ে পরিচিত খালেক সাহেবের
পরামর্শে হাজেরা খালা জুটলেন ভাগ্যের অন্বেষণে। বহু
চেষ্টার পর, বহু ত্যাগ সয়ে সেই সুদূর ওমানে পাড়ি জমালেন।
বাসাবাড়ির কাজ করতে গেলেন ভাগ্যের চাকাটা ঘুরিয়ে নিতে,
ফিরিয়ে আনতে সুখের দিনগুলোর সচ্ছলতা।
কিন্তু বিধিবাম! এক বাড়ির কাজের জন্য নিয়ে কাজ
করালো তিন বাড়ির। খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট, শারিরীক
নির্যাতন সহ্য করেও মাস শেষে মেটে না পাওনা টাকা।
খাবার ও জলের অভাবে পান করেছেন নিজের প্রস্রাবও।
এমনি মানবেতর অবস্থার ভেতর বিদেশ বিভুঁইয়ে অসহায়ের
মতো মুক্তির দিন গোনেন হাজেরা খালা।
না, এটা কোন গল্প নয়, নয় সিনেমার কাহিনী। বাস্তবেই
সচ্ছলতার স্বপ্নে মধ্যপ্রাচ্য সহ নানা দেশে কাজ
করতে যাওয়া আমাদের
খেটে খাওয়া মহিলা কর্মীরা অবর্ণনীয় নির্যাতন আর
দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে দিন যাপন করছেন। জমি,
বাড়ি বা একমাত্র সম্পদ
বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে ফিরে আসছেন শূন্য হাতে নির্যাতিত
হয়ে। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজারের
মতো মহিলা কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, দুবাই, ওমান,
জর্ডান সহ আরবের অন্যান্য দেশে কাজ করতে যান। আর
এখনো কর্মরত আছেন প্রায় দুইলক্ষাধিক মহিলা কর্মী।
যাওয়ার সময় পড়েন দালালের হাতে, আর বিদেশ গিয়ে পড়েন
নির্যাতনের মুখে। ফলে সব কিছু হারিয়ে,
নির্যাতনে হারিয়ে ফেলছেন মানসিক ভারসাম্য।
নিচের ডকুমেন্টারিটাতে রয়েছে নির্যাতনের এমন সব বর্ণনা-
যা শুনে গা শিউরে ওঠে। ভাগ্যসন্ধানি ভাগ্যবঞ্চিত এই মা-
বোনদের পাশে সরকারি-
অসরকারি মানবতাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো কখন সমস্ত
শক্তি নিয়ে দাঁড়াবে? এদেশে জন্ম নেয়াই কি হাজেরা খালার
মতো মানুষদের অপরাধ?
পঙ্গু হয়ে গেলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল
মানুষটি তখন হয়ে গেলো অথর্ব। বলাই বাহুল্য
যে পরিবারের বোঝা বাধ্য হয়েই গিয়ে পড়লো হাজেরা খালার
উপর। তিন সন্তান, বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি আর পঙ্গু
স্বামীকে নিয়ে বেঁচে থাকার এক কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ
হলেন তিনি। মেস বাড়িতে রান্না করে যা উপার্জন করতেন
তা দিয়ে টেনেটুনে মাসের আধেক পর্যন্ত নেয়া যেত; তার
পরের দিনগুলো চেয়েচিন্তে কাটিয়ে দিতে হতো কষ্টের
ভেতর দিয়ে।
তবে ভাবলেন ভিন্ন কথা। বিদেশে যাবেন, ভাগ্য ফেরাবেন
নিজের পরিবারের। কত লোকই তো বিদেশ যাচ্ছে,
এমনকি যাচ্ছেন নারীরাও। তিনি কি পারবেন না? নিশ্চয়ই
পারবেন! একসময়ে পরিচিত খালেক সাহেবের
পরামর্শে হাজেরা খালা জুটলেন ভাগ্যের অন্বেষণে। বহু
চেষ্টার পর, বহু ত্যাগ সয়ে সেই সুদূর ওমানে পাড়ি জমালেন।
বাসাবাড়ির কাজ করতে গেলেন ভাগ্যের চাকাটা ঘুরিয়ে নিতে,
ফিরিয়ে আনতে সুখের দিনগুলোর সচ্ছলতা।
কিন্তু বিধিবাম! এক বাড়ির কাজের জন্য নিয়ে কাজ
করালো তিন বাড়ির। খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট, শারিরীক
নির্যাতন সহ্য করেও মাস শেষে মেটে না পাওনা টাকা।
খাবার ও জলের অভাবে পান করেছেন নিজের প্রস্রাবও।
এমনি মানবেতর অবস্থার ভেতর বিদেশ বিভুঁইয়ে অসহায়ের
মতো মুক্তির দিন গোনেন হাজেরা খালা।
না, এটা কোন গল্প নয়, নয় সিনেমার কাহিনী। বাস্তবেই
সচ্ছলতার স্বপ্নে মধ্যপ্রাচ্য সহ নানা দেশে কাজ
করতে যাওয়া আমাদের
খেটে খাওয়া মহিলা কর্মীরা অবর্ণনীয় নির্যাতন আর
দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে দিন যাপন করছেন। জমি,
বাড়ি বা একমাত্র সম্পদ
বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে ফিরে আসছেন শূন্য হাতে নির্যাতিত
হয়ে। প্রতি বছর প্রায় আড়াই হাজারের
মতো মহিলা কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন, দুবাই, ওমান,
জর্ডান সহ আরবের অন্যান্য দেশে কাজ করতে যান। আর
এখনো কর্মরত আছেন প্রায় দুইলক্ষাধিক মহিলা কর্মী।
যাওয়ার সময় পড়েন দালালের হাতে, আর বিদেশ গিয়ে পড়েন
নির্যাতনের মুখে। ফলে সব কিছু হারিয়ে,
নির্যাতনে হারিয়ে ফেলছেন মানসিক ভারসাম্য।
নিচের ডকুমেন্টারিটাতে রয়েছে নির্যাতনের এমন সব বর্ণনা-
যা শুনে গা শিউরে ওঠে। ভাগ্যসন্ধানি ভাগ্যবঞ্চিত এই মা-
বোনদের পাশে সরকারি-
অসরকারি মানবতাবাদী প্রতিষ্ঠানগুলো কখন সমস্ত
শক্তি নিয়ে দাঁড়াবে? এদেশে জন্ম নেয়াই কি হাজেরা খালার
মতো মানুষদের অপরাধ?
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment