আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের
মহাসচিব বান কি মুনের
ভাষ্যমতে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের
অর্ধেক মানুষ বিশুদ্ধ পানির চরম
সংকটে পড়তে যাচ্ছে।
সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এখন
থেকেই দূষিত পানি থেকে পরিশোধিত
বিশুদ্ধ পানি বের করে আনার
বিশেষায়িত প্লান্টস্থাপন
করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই
ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ
কাউন্টিতে স্থপিত হয়েছে বৃহৎ
পানি বিশোধনকারী প্রকল্প অরেঞ্জ
কাউন্টি ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট
প্লান্ট, যেখানে প্রতিদিন প্রায়
সাড়ে ৮ লাখ মানুষের জন্যে সুপেয়
পানি প্রস্তুত করা হয়।
এখানে নর্দমা থেকে বেরিয়া আসা পানিকে উত্তম
প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে নিয়ে আসার
মাধ্যমে সুপেয় পানিতে পরিণত
করা হয়। এ
প্রক্রিয়াটি প্রথমদিকে দারুণ
ব্যয়বহুল ছিল। বর্তমানে খরচ
কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে,
বেড়েছে উৎপাদনের পরিমাণও।
যে কারণে গ্রাহকের ব্যবহারের
জন্যে এ পানি সুবিধেজনক মূল্যমান
অর্জন করেছে, গ্রহণযোগ্যতাও
বাড়ছে।
বিশ্ব পানি সংস্থা (WWC) জানায়,
নর্দমা থেকে পরিশোধিত
পানি সারা বিশ্বে আগামি ৩০
বছরের মধ্যে পানির স্বাভাবিক ও
সাধারণ গ্রহণযোগ্য উৎস হয়ে উঠবে।
ভবিষ্যত বিপুল চাহিদার কথা মাথায়
রেখে এ ধরনের প্রকল্প আরও বৃহৎ
পরিসরে গ্রহণ
করা হবে বলে সংস্থাটি জানায়।
যেভাবে অরেঞ্জ কাউন্টির
প্রকল্পটি কাজ করে:
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রায় ১৩০
কোটি গ্যালন দূষিত, ব্যবহৃত
পানি সংগ্রহ
করে প্রথমে মাইক্রোফিলট্রেশন
প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে নেয়া হয়,
যেখানে পানির
সঙ্গে মিশে থাকা কঠিন পদার্থ,
তেল,
ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি আলাদা করে ফেলা হয়।
এরপর পানিগুলোকে রিভার্স
ওসমোসিস এর আওতায় আনা হয়। এ
অবস্থায় পানিকে বিশেষায়িত
প্লাস্টিকের পর্দার ভেতর
দিয়ে নেয়া হয় যে পর্দা অবশিষ্ট
ভাইরাস এবং রাসায়নিক শুষে। এরপর
পানিতে অতিবেগুণী রশ্মি চালনা করা হয়,
যে রশ্মি শেষ জৈব যৌগটিকেও
দুরীভূত করে। এভাবে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ
পানি পরবর্তীতে মূল সরবারহের
সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়।
Posted via Blogaway