অর্থের জন্য অনৈতিক কাজ আমাদের দেশ নতুন নয়।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগও জানে এগুলো হচ্ছে। কিন্তু
দেখার কেও নেই। কোরবানীর ঈদ আসার কয়েক মাস
আগে থেকেই শুরু হয় গরুতে ‘স্টেরয়েড হরমোন’ ব্যবহার।
এটির
মাধ্যমে গরুকে মোটা তাজা করে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
বেশি টাকা আয়ের জন্য এমন অনৈতিক কাজ করছে দেশের
এক শ্রেণীর মানুষ। আমরা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবছর
দেখে থাকি এসব খবর কিন্তু বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ
নেওয়া হয় না। এ অবস্থা চলে আসছে বিগত কয়েক বছর
ধরে।
‘স্টেরয়েড হরমোন’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নিবন্ধন
ও নজরদারি না থাকার কারণে নীতি-নৈতিকতার
তোয়াক্কা করছে না গরুর খামারগুলো। খামারগুলোতে গরু
মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত
ক্ষতিকর ‘স্টেরয়েড হরমোন’। এই গরুর মাংস
খেলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন
অঙ্গপ্রতঙ্গ বিকল করে দিতে পারে।
আবার দেশে এ ধরনের খামারের সঠিক পরিসংখ্যান
এবং নিবন্ধন না থাকার কারণে কার্যকর কোনও
আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
আর সেই সুযোগে মুনাফালোভী চক্রটি এ ধরনের অনৈতিক
কাজ করে আসছে।
কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কয়েকমাস আগে থেকেই
এইসব ‘স্টেরয়েড হরমোন’ প্রয়োগ করে গরু
মোটাতাজা করণ প্রকল্প চালু করেছে কতিপয় অসাধু
ব্যবসায়ী।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনিমেল প্রোডাকশন
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন,
‘স্টেরয়েড হরমোন এতটাই মারাত্মক যে ওই গরুর মাংস
রান্না করার পরও নষ্ট হয় না। যা মানুষের শরীরে প্রবেশ
করে কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল
করে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক
ক্ষেত্রে এই হরমোন বন্ধ্যাত্ব, মেয়েদের অল্প
বয়সে পরিপক্কতা ও শিশুদের অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়ার
মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।’
প্রাণিবিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেছেন, মূলত
গরু বিক্রির অল্পদিন আগে স্টেরয়েড হরমোন জাতীয়
ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর ইনজেকশনের
কার্যকারিতা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই
ক্রেতারা গরুকে জবাই করেন। যে কারণে গরুর
শরীরে ক্ষতিকর ‘স্টেরয়েড’ বিপজ্জনক মাত্রায়
থেকে যায়। আর এভাবেই মাংসের মাধ্যমে মানুষের
শরীরে প্রবেশ করে থাকে এই ক্ষতিকারক পদার্থটি।
সংবাদ সূত্র ভেটেরিনারী চিকিৎসকের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছে,
‘দেশে কি পরিমাণ ভেটেরেনারি ট্যাবলেট আছে তার কোন
পরিসংখ্যান নেই। হরমোন জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার
পশুসম্পদ আইন ২০১০ এ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু তারপরও সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।
তিনি জানান, খামারিরা যদি ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডের
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করেন, তবুও
তাতে বাধা দেওয়া বা তা আইনের আওতায় নিয়ে আসার
ক্ষমতা নেই। এই সুযোগে অবাধে অবৈধভাবে এসব ওষুধ
অবাধে ব্যবহার করছেন খামারিরা।
উল্লেখ্য, গরুর শরীরে ডেক্সামিথাসন, হাইড্রোকর্টিসন,
কোর্টিসল, বিটামিথাসন, প্রেডনিসলোনসহ বিভিন্ন
স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশনগুলো প্রয়োজনের তুলনায় ৫
হতে ১০ গুণ বেশি প্রয়োগ করা হয়। যে কারণে গরুর
কোষে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে গরুর শরীর ফুলিয়ে এক
প্রকার তোলে। ফলে গরুকে অনেক মোটা দেখায়।
অতিরিক্ত স্টেরওয়েড খাওয়া গরু চিনবেন কিভাবে:
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এনিম্যাল
নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের সাবেক
চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসাইনকে উদ্বৃত করে সংবাদ
মাধ্যম জানিয়েছে, অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ
খাওয়ানো গরুর শরীর খুব দুর্বল থাকে। গরুগুলো সবসময়
নির্জীব-নীরব থাকে।
সঠিকভাবে চলাফেরা বা খাওয়া দাওয়া কতে পারে না।
একবার বসলে আর উঠতে পারে না। এসব গরুর পেছনের
দিকে উরুর পেশীবহুল জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ
দিলে সেখানে দেবে থাকে। কারণ বাইরে হতে মাংস
মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানে পানির পরিমােই
বেশি থাকে। কৃত্রিমভাবে মোটা করা এসব গরু নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্য জবাই না করলে মারাও যায় বলে জানিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা।
তাই এই বিষয়গুলো সামনে রেখে সকলকেই সচেতন
হতে হবে। যেহেতু সামনেই কোরবানীর ঈদ। তাই ওইসব
ব্যবসায়ীরা গরুর হাটে এসব গরু বিক্রির চেষ্টা করবে।
উপরের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল
রাখলে আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন ক্ষতিকর হরমোন
জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার করা গরু কোনটি।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগও জানে এগুলো হচ্ছে। কিন্তু
দেখার কেও নেই। কোরবানীর ঈদ আসার কয়েক মাস
আগে থেকেই শুরু হয় গরুতে ‘স্টেরয়েড হরমোন’ ব্যবহার।
এটির
মাধ্যমে গরুকে মোটা তাজা করে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
বেশি টাকা আয়ের জন্য এমন অনৈতিক কাজ করছে দেশের
এক শ্রেণীর মানুষ। আমরা সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবছর
দেখে থাকি এসব খবর কিন্তু বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ
নেওয়া হয় না। এ অবস্থা চলে আসছে বিগত কয়েক বছর
ধরে।
‘স্টেরয়েড হরমোন’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নিবন্ধন
ও নজরদারি না থাকার কারণে নীতি-নৈতিকতার
তোয়াক্কা করছে না গরুর খামারগুলো। খামারগুলোতে গরু
মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত
ক্ষতিকর ‘স্টেরয়েড হরমোন’। এই গরুর মাংস
খেলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন
অঙ্গপ্রতঙ্গ বিকল করে দিতে পারে।
আবার দেশে এ ধরনের খামারের সঠিক পরিসংখ্যান
এবং নিবন্ধন না থাকার কারণে কার্যকর কোনও
আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
আর সেই সুযোগে মুনাফালোভী চক্রটি এ ধরনের অনৈতিক
কাজ করে আসছে।
কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কয়েকমাস আগে থেকেই
এইসব ‘স্টেরয়েড হরমোন’ প্রয়োগ করে গরু
মোটাতাজা করণ প্রকল্প চালু করেছে কতিপয় অসাধু
ব্যবসায়ী।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এনিমেল প্রোডাকশন
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন,
‘স্টেরয়েড হরমোন এতটাই মারাত্মক যে ওই গরুর মাংস
রান্না করার পরও নষ্ট হয় না। যা মানুষের শরীরে প্রবেশ
করে কিডনি, লিভারসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিকল
করে দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক
ক্ষেত্রে এই হরমোন বন্ধ্যাত্ব, মেয়েদের অল্প
বয়সে পরিপক্কতা ও শিশুদের অল্প বয়সে মুটিয়ে যাওয়ার
মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।’
প্রাণিবিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেছেন, মূলত
গরু বিক্রির অল্পদিন আগে স্টেরয়েড হরমোন জাতীয়
ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর ইনজেকশনের
কার্যকারিতা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই
ক্রেতারা গরুকে জবাই করেন। যে কারণে গরুর
শরীরে ক্ষতিকর ‘স্টেরয়েড’ বিপজ্জনক মাত্রায়
থেকে যায়। আর এভাবেই মাংসের মাধ্যমে মানুষের
শরীরে প্রবেশ করে থাকে এই ক্ষতিকারক পদার্থটি।
সংবাদ সূত্র ভেটেরিনারী চিকিৎসকের উদ্বৃতি দিয়ে বলেছে,
‘দেশে কি পরিমাণ ভেটেরেনারি ট্যাবলেট আছে তার কোন
পরিসংখ্যান নেই। হরমোন জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার
পশুসম্পদ আইন ২০১০ এ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কিন্তু তারপরও সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।
তিনি জানান, খামারিরা যদি ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডের
মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করেন, তবুও
তাতে বাধা দেওয়া বা তা আইনের আওতায় নিয়ে আসার
ক্ষমতা নেই। এই সুযোগে অবাধে অবৈধভাবে এসব ওষুধ
অবাধে ব্যবহার করছেন খামারিরা।
উল্লেখ্য, গরুর শরীরে ডেক্সামিথাসন, হাইড্রোকর্টিসন,
কোর্টিসল, বিটামিথাসন, প্রেডনিসলোনসহ বিভিন্ন
স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশনগুলো প্রয়োজনের তুলনায় ৫
হতে ১০ গুণ বেশি প্রয়োগ করা হয়। যে কারণে গরুর
কোষে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে গরুর শরীর ফুলিয়ে এক
প্রকার তোলে। ফলে গরুকে অনেক মোটা দেখায়।
অতিরিক্ত স্টেরওয়েড খাওয়া গরু চিনবেন কিভাবে:
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও এনিম্যাল
নিউট্রিশন, জেনেটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের সাবেক
চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসাইনকে উদ্বৃত করে সংবাদ
মাধ্যম জানিয়েছে, অতিরিক্ত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ
খাওয়ানো গরুর শরীর খুব দুর্বল থাকে। গরুগুলো সবসময়
নির্জীব-নীরব থাকে।
সঠিকভাবে চলাফেরা বা খাওয়া দাওয়া কতে পারে না।
একবার বসলে আর উঠতে পারে না। এসব গরুর পেছনের
দিকে উরুর পেশীবহুল জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ
দিলে সেখানে দেবে থাকে। কারণ বাইরে হতে মাংস
মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানে পানির পরিমােই
বেশি থাকে। কৃত্রিমভাবে মোটা করা এসব গরু নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্য জবাই না করলে মারাও যায় বলে জানিয়েছেন
বিশেষজ্ঞরা।
তাই এই বিষয়গুলো সামনে রেখে সকলকেই সচেতন
হতে হবে। যেহেতু সামনেই কোরবানীর ঈদ। তাই ওইসব
ব্যবসায়ীরা গরুর হাটে এসব গরু বিক্রির চেষ্টা করবে।
উপরের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল
রাখলে আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন ক্ষতিকর হরমোন
জাতীয় স্টেরয়েড ব্যবহার করা গরু কোনটি।
No comments:
Post a Comment