Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Thursday, October 30, 2014

আশুরার গুরুত্ত ,ফযিলত ,করনীয় বর্জনীয়

দিন যায় রাত আসে রাত শেষে আবার
ফিরে আসে দিন । এই দিন ও রাতের অবর্তনে মাস
আসে , মাস পেরিয়ে আবার আসে নতুন বছর । জীবনের
জন্যে প্রত্যেক টা দিনই গুরুত্তপুর্ন । একটা দিনের
সুর্য উঠলে সে বলতে থাকে আমি কেয়ামতের
আগে আর আসবো না , তাই আমকে সর্বোচ্চ ব্যাবহার
করো । মহান আল্লাহ দিয়েছেন আমাদের কিছু
তাৎপর্যপুর্ন দিন। । যেগুলো আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন নির্ধারণ করেছেন ইবাদত-
বন্দেগী বা নেক আমল করার জন্য।
এমনি একটা দিবসের নাম আশুরা। হিজরী সনের
প্রথম মাস মুহাররমের দশতারিখ। মুসলিম উম্মাহর
দ্বারে কড়া নাড়ে প্রতি বছর।
এ মাস আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয় আমাদের প্রিয়
নবী মুহাম্মাদ(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর হিজরত ও তার দাওয়াতী জিন্দেগী শুরু ও
ইসলামপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের কথা। এ
মাসে রয়েছে এমন একটি দিন, দীর্ঘ সংগ্রাম
শেষে যে দিনে নবী মুসা আ. এর বিজয় হয়েছিল।
পতন হয়েছিল তখনকার সবচেয়ে শক্তিশালী জালেম
সম্রাট ফেরআউন ও তার সম্রাজ্যের।
সে দিনটিই হল আশুরা, মুহাররম মাসের দশ তারিখ।
এ দিনটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে খুবই
প্রিয়। তাই তিনি এ দিনে সওম পালনের সওয়াব
প্রদানকরে থাকেন বহুগুণে। “আবু হুরাইরাহ রা.
থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন: রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: রমজানের পর
সর্বোত্তম সওম হল আল্লাহর প্রিয় মুহাররম মাসের
সওম। এবং ফরজ সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল
রাতের সালাত” (মুসলিম)
আশুরার বৈশিষ্টের মধ্যে রয়েছে এ দিনে আল্লাহ
তায়ালা তার নবী মুছা আ. ও তার
অনুসারী ঈমানদারদের ফেরআউনের জুলুম
থেকে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফেরআউনকে তার
বাহিনী সহ সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরেছেন।
“ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় এসে দেখলেন যে,
ইহুদীরা আশুরার দিনে সওম পালন করছে।
তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন “এটা কোন দিন
যে তোমরা সওম পালন করছ? তারা বললঃ এটা এমন
এক মহান দিবস যেদিন আল্লাহ মুছা আ. ও তার
সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন
এবং ফেরআউনকে তার দলবলসহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
মুছা আ. শুকরিয়া হিসেবে এ দিনে সওম
পালনকরেছেন। এ কারণে আমরাও সওম পালন
করে থাকি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ “তোমাদের
চেয়ে আমরা মুছা আ. এর অধিকতর ঘনিষ্ট ও
নিকটবর্তী।” অতঃপর রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন করলেন ও
অন্যদেরকে সওম পালনের নির্দেশ দিলেন।
বর্ণনায়ঃ বুখারী ও মুসলিমরসূলে কারীম
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদীদের
কথা বিশ্বাস করে সওম পালন করেছেন এমন নয়।
সম্ভবত আল্লাহ তায়ালা অহীর মাধ্যমে ইহুদীদের এ
বক্তব্যের সত্যতা জানিয়েছিলেন
অথবা তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে এর
সত্যতা উপলদ্ধি করেছিলেন। এ দিনে সওম পালনের
ফজীলত সম্পর্কে হাদীস আবু কাতাদাহ রা.
থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আশুরার সওম
সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল, তিনি বললেনঃ “ বিগত এক
বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গৃহীত হয়।”
বর্ণনায় মুসলিম, তিরমিজী
অন্য বর্ণনায় এসেছে আবু কাতাদাহ রা.
থেকে বর্ণিত যে রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ . . . . . . . .
আশুরার দিনের সওমকে আল্লাহ তায়ালা বিগত এক
বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ
করে থাকেন।” বর্ণনায় মুসলিম
হাদীসে আরো এসেছে “যে আশুরার সওম পালন
করবে আল্লাহ তার এক বছরের
গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।”বর্ণনায়ঃ বাযযার ইমাম
বায়হাকী (রহঃ) বলেনঃ “এ হাদীসের
ব্যাখ্যা হলঃ যে সওম
পালনকারীর গুনাহ রয়েছে তার গুনাহের
কাফফারা হবে আর যার গুনাহ নেই আশুরার সওম তার
মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।” (ফাযায়েলুল আওকাত:
বায়হাকী) রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ
সওমকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করতেন।
ইবনে আব্বাস রা. বলেনঃ “আমি রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ সওম
ছাড়া অন্য কোন সওমকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি।
আর তা হল আশুরার সওম
ও এই রমজান মাসের সওম।” বর্ণনায় বুখারী ও
মুসলিম আমাদের সালফে সালেহীন এ সওমকে গুরুত্ব
দিয়ে পালন করতেন। এমনকি সফরে থাকাকালীন
সময়েও তারা এ সওমকে পরিত্যাগ করতেন না।
যেমন ইমাম ইবনে রজব (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে,
ইবনে আব্বাস রা., আবু ইসহাক আস-সাবেয়ী, ইমাম
যুহরী (রহঃ) প্রমুখ বলতেনঃ “রমজানের সওম কোন
কারণে ছুটে গেলে অন্য সময়ে আদায় করার সুযোগ
থাকে কিন্তু
আশুরার সওম ছুটে গেলে আর রাখা যায়
না।” (লাতায়েফুল মাআ‘রিফ : ইবনে রজব) তাই
তারা সফরে থাকা অবস্থায়ও আশুরার সওম আদায়
করতেন। নেক কাজে অগ্রণী হওয়ার ব্যাপারে এ
ছিল আমাদের পূর্বসূরী ওলামায়ে কেরামের আদর্শ।
আশুরার রোজার বিধান আশুরার সওম পালন সুন্নাত।
আর তার সংখ্যা হবে দুটি। মুহাররম মাসের নবম ও
দশম তারিখে অথবা দশম ও একাদশ তারিখে।
‘আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন জাহেলী যুগে কুরাইশরা আশুরার সওম
পালন করত এবং রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সওম পালন করতেন। যখন
তিনি মদীনায় হিজরত করলেন তখন তিনি এ সওম
পালন করলেন ও অন্যদের পালন করতে আদেশ
দিলেন। যখন রমজান মাসের সওম ফরজ হল তখন
তিনি আশুরার সওম সম্পর্কে বললেনঃ “যার
ইচ্ছা আশুরার সওম পালন করবে, আর যার
ইচ্ছা ছেড়ে দিবে।” বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম
‘মহিলা সাহাবী রবী বিনতে মুয়াওয়াজ রা.
থেকে বর্ণিত
যে তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার
দিনে ভোরে মদীনার নিকটবর্তী আনসারদের
মহল্লায় খবর পাঠালেন যে, তোমাদের
মধ্যে যে সওম শুরু করেছে সে যেন তা পূর্ণ করে। আর
যে সওম শুরু না করে খাওয়া-
দাওয়া করেছে সে যেন দিনের
বাকী সময়টা পানাহার থেকে বিরত থাকে।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শোনার পর আমরা সওম
পালন করলাম এবং আল্লাহর ইচ্ছায় ছোট ছেলে-
মেয়েদের দিয়ে সওম পালন করালাম।
আমরা তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যেতাম। বাজার
থেকে খেলনা কিনে নিতাম। যখন খাবার চাইত
তখন হাতে খেলনা তুলে দিতাম, যেন
তারা খাবারের কথা ভুলে গিয়ে সওম পূর্ণ
করতে পারে। বর্ণনায়ঃ মুসলিম মুয়াবিয়া রা.
বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
কে বলতে শুনেছি তিনি বলেনঃ “এটা হল আশুরার
দিন। এর সওম আল্লাহ তোমাদের উপর ফরজ করেননি।
কিন্তু আমি সওম পালন করছি। তোমাদের যার
কাছে ভাল লাগে সে যেন সওম পালন করে। আর যার
খেতে মনে চায় সে খাওয়া- দাওয়া করতে পারে।”
বর্ণনায় বুখারী ওমুসলিম সাহাবী জাবের
ইবনে সামুরা রা.
বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার দিনে সওম পালনের
জন্য আমাদের হুকুম
দিতেন, উৎসাহিত করতেন, আমাদের ওয়াদা নিতেন।
কিন্তু যখন রমজানের সওম ফরজ হল তখন
তিনি আমাদের আদেশ দিতেন না আর আশুরার সওম
পালন করতে নিষেধও করতেন না। বর্ণনায়
মুসলিম
আশুরার সওম মুস্তাহাব ইবনে আব্দুল বারর (রহঃ)
বলেছেনঃ আশুরার সওম মুস্তাহাব
হওয়ার ব্যাপারে উলামায়ে উম্মাতের
ইজমা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই
এটা মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
ইবনে আব্বাস রা. বলেনঃ “আমি রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ সওম
ছাড়া অন্য কোন সওমকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি।
আর তা হল আশুরার সওম ও এই রমজান মাসের সওম।”
বর্ণনায় ঃ বুখারী ও মুসলিম ইবনে আব্বাস রা.
আরো বলেনঃ যারা বলে যে, আশুরার সওম তেমন
গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব নয়, সাধারণ মুস্তাহাব।
তাদের এ কথা ঠিক নয়। আসল কথা হল
এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব আমল।
তাইতো আমরা দেখতে পাই আল্লাহর রসূল
(সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেকআশুরাতে সওম পালন
করতেন। এমনকি ইন্তেকালের বছরও
তিনি বলেছিলেনঃ যদি আমি বেঁচে থাকি তাহলে অবশ্যই
আগামী বছর মুহাররম মাসের নবম ও দশম
তারিখে সওম পালন করব।”বর্ণনায়ঃ মুসলিম আশুরার
সওমের ব্যাপারে ইহুদীদের
বিরোধীতা করার নির্দেশ যে সকল বিষয়ে কোন
শরয়ী হুকুম অবতীর্ণ হয়নি মদীনায় আসার পর
সে সকল
বিষয়ে নবী কারীম (সল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদীদের অনুরূপ আমল
করা পছন্দ করতেন। যেমন
তিনি মসজিদুল আকসাকে কিবলা হিসেবে গ্রহণ
করলেন। উদ্দেশ্য ছিল ইহুদীরা যেন
ইসলামকে নিজেদের ধর্মের মতই মনে করে,
ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করে।
পরে যখন সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণের
পরিবর্তে ইহুদীদের অবাধ্যতা, হিংসা, কপটতা,
বিশ্বাসঘাতকতা,বর্ণবাদী নীতি ও চরম
সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশ পেল তখন সকল
ব্যাপারে তাদের বিরোধীতা করার নির্দেশ
দেয়া হল এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক
ব্যাপারে তাদের সাথে সাদৃশ্যতাপূর্ণ সকল আমল ও
আচরণ করতে নিষেধ করা হল। তাই রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সংকল্প করলেন
আশুরার দিনে তিনি ইহুদীদের মত আর
একটি করে সওম পালন করবেন না। বরং এ সওমের
সাথে মুহাররম মাসের নবম তারিখে একটি সওম
বাড়িয়ে রাখার মাধ্যমে ইহুদীদের ধর্ম ও
সাংস্কৃতিরবিরোধীতা করবেন। এর
প্রমাণহিসেবে বহু হাদীস এসেছে।
ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যখন রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার সওম
পালন করলেন ও অন্যকে পালন করার নির্দেশ
দিলেন তখন সাহাবায়ে কেরাম
রা.বললেনঃ “এটা তো এমন এক দিন যাকে ইহুদী ও
খৃষ্টানরা সম্মান করে থাকে।” তখন রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বললেনঃ “আগামী বছর আসলে ইনশাআল্লাহ
আমরা নবম তারিখে সওম পালন করব।” ইবনে আব্বাস
রা. বলেনঃ “পরবর্তী বছর আসার পূর্বেই
রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
ইন্তেকাল করলেন।” বর্ণনায়ঃ মুসলিম “যখন
মুহাররম মাসের চাঁদ দেখবে তখন থেকে হিসেব
করবে এবং নবম তারিখের সকাল থেকে সওম পালন
করবে।” বর্ণনায়ঃ মুসলিম ও
তিরমিজী ইবনে আব্বাস রা.
থেকে বর্ণিততিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
বলেছেনঃ “তোমরা আশুরা দিবসে সওম পালন কর ও এ
ক্ষেত্রে ইহুদীদের বিরোধীতা কর। তাই
তোমরা আশুরার একদিন পূর্বে অথবা একদিন
পরে সওম পালন করবে। বর্ণনায় আহমদ এ
হাদীসে কয়েকটি বিষয়স্পষ্টভাবে প্রমাণিত
হয়ঃ (১) রসূলুল্লাহ
(সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার
দিনে সওম পালন করতে বলেছেন। তাই আশুরার
দিনকে বাদ দিয়ে সওম পালন করলে তা আশুরার
সওম হবে না।
(২) আশুরার সওম পালনের ক্ষেত্রে ইহুদীদের
বিরোধীতা করতে হবে। তাই ইহুদীদের মত দশম
তারিখে একটি মাত্র সওম পালনকরা যাবে না।
(৩) আশুরার একদিন পূর্বে সওম পালন করতে হবে।
(৪) যদি আশুরার পূর্বের দিন সওম পালন করা কোন
কারণে সম্ভব না হয় তাহলে আশুরা ও তার পরের
দিন সওম পালন করতে হবে। কিভাবে পালন করবেন
আশুরার সওম আশুরার সওম পালন সম্পর্কিত
হাদীসসমূহ একত্র করলে আশুরার সওম পালনের
পদ্ধতি সম্পর্কে কয়েকটি সিদ্ধান্তে আসা যায়ঃ
(ক) মুহাররম মাসের নবম ও দশম তারিখে সওম
পালন করা। এ পদ্ধতি অতি উত্তম। কারণ
রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এভাবেই আশুরার সওম পালনের সংকল্প করেছিলেন।
যেমন ইতিপূর্বে আলোচিত ইবনে আব্বাস রা. এর
হাদীস এর প্রমাণ বহন করে।
(খ) মুহাররম মাসের দশম ও একাদশ দিবসে সওম
পালন করা। এ পদ্ধতিও হাদীস দ্বারা সমর্থিত।
(গ) শুধু মুহাররম মাসের দশম তারিখে সওম পালন
করা। এ পদ্ধতি মাকরূহ। কারণ এটা ইহুদীদের
আমলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। (ইকতেজাউ সিরাতিল
মুস্তাকীম: ইমাম তাইমিয়া) ও (রদ্দুল মুহতার :
ইবনে আবেদীন) কোন কোন আলেমের
মতে আশুরা উপলক্ষে নবম, দশম ও একাদশ
তারিখে মোট তিনটি সওম পালন করা ভাল।
এতে আশুরার ফজীলত লাভ করার ক্ষেত্রে কোন
সন্দেহ থাকে না।
তবে সর্বাবস্থায় এ রকম আমল করা ঠিক হবে না।
এভাবে আমল তখনই করা যেতে পারে যখন আশুরার
তারিখনিয়ে সন্দেহ দেখা যায়যেমন মুহাম্মাবিন
সীরিন (রহঃ)থেকে বর্ণিত আছে যে,
একবারমুহাররমের
তারিখনিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিলে তিনি উপরোক্তনিয়মে তিনটি সওম
পালন করেন।(ফাতহুল বারী : ইবনে হাজার) ও
(যাদুল মাআ’দ : ইবনুল কায়্যিম)
( বই, আশুরা: করনীয় ও বর্জনীয় : আব্দুল্লাহ শহীদ
আব্দুর রহমান )

No comments: