Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Tuesday, November 4, 2014

পীরের নির্দেশে কাফনের কাপড় পড়িয়ে জীবিত গৃহবধূর কবরবাস !

কিশোরগঞ্জ: কথিত পীরের নির্দেশে কাফনের কাপড়
পড়িয়ে জীবিত গৃহবধূকে কবরে দাফন করা হয়। আর
পীরের নির্দেশ এক বাক্যে মেনে নিয়েই টানা ১০
দিন কবরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ কয়েকদিন
পূরণ করেন সেই গৃহবধূ। এই সঙ্গে ‘রোজাও’ রাখেন।
কিন্তু তার এ কাজে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় সমাজ।
বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ চলে আসে ঐ
মহিলার বাড়িতে। আর তাকে কবর
থেকে উঠানো হয়। এ ঘটনায় দারুণ ক্ষুব্ধ হন
জীবিত লাশ হয়ে কবরে থাকা গৃহবধূর স্বামী।
তিনি সবার মাঝে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন আমার
স্ত্রী তার পীরের নির্দেশ অনুসরন করতেছে। আর
এর মাধ্যমে তিনি কার কি ক্ষতি করছেন যে সবাই
এজন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
ঊঠানে খোঁড়া হয় একটি কবর। সেখানে মৃত মানুষের
নিয়তে থাকেন ঐ গৃহবধূ। খাবার বলতে শুধু
ইফতারিতে এক পেয়ালা দুধ।
যা বাঁশচাপা দেয়া কবরের এক কর্নার
দিয়ে রাখা ছোট ফাঁকা দিয়ে কৌশলে পৌঁছে দিতেন
তার স্বামী। এভাবে কেটে যায় ৩ দিন।
লোকালয়ে কথিত ‘গোর চিলা’ দেওয়া ওই নারীর
নাম পেয়ারা বেগম (৩৬)। তিনি কিশোরগঞ্জের
হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামের
বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের রথানি গ্রামের মধু
মিয়ার স্ত্রী। পেয়ারা বেগমের
সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর স্বামী জানান,
স্ত্রীর পীরের আদেশেই সব কিছু করা হয়েছে। পীর
সাহেবকে তাঁর স্ত্রী খুবই ভক্তি করেন। পীর
কামরুল হাসানের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার
লাখাইয়ের গুদামবাড়ি গ্রামে।
গত বছরের মহররম মাসের প্রথম ১০ দিনও কথিত
পীরের নির্দেশে পেয়ারা বেগম রোজা রাখেন।
সে সময় পীর সাহেবের নির্দেশ ছিল,
পেয়ারাকে যেন আগুনে তৈরি কোনো কিছু
না খাওয়ানো হয়। সে কারণে তখন শুধু ফলমূল
খেতে দেওয়া হয় তাঁকে।
কথিত পীর কামরুল হাসানের বয়স ২৫ বছর।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি তাঁর শাগরেদ
পেয়ারা বেগমকে মহররমের ১০ দিন ‘গুর চিলা’র
(জীবিত থেকেও কবরবাস) নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে এ ধরনের নির্দেশের কারণ
সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন
করলে তিনি উল্টো জানিয়েছেন, আপনাদের এসব
জানান কোনো দরকার নেই।
আপনারা জেনে কি করবেন।

No comments: