দাল্লা বাংলাবাজার মদিনার অদূরে যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।
মদিনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার
দূরে দাল্লা বাংলাবাজারের অবস্থান।
দাল্লা বাংলাবাজারকে শুধু বাজার বললে ভুল হবে। বাংলাদেশের
মানুষে এলাকাটি ঠাসা।
এখানে আশার পর মনে হবে বাংলাদেশের
কোনো একটি বাজারে আপনি অবস্থান করছেন। কাঁচা বাজার
থেকে শুরু করে পানের দোকান, চায়ের দোকান, আখের রসের
দোকান, দরজির দোকান, সেলুন দোকানসহ সবই
বাংলাদেশিদের দোকান। বাংলাতেই চলে দরদাম কেনাকাটা।
সবজির দোকানগুলোতে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
সৌদি আরবের আর দশটি বাজারে নানা দেশের
শাকসবজি থাকলেও এখানে সব বাংলাদেশি শাকসবজি।
এই বাজারে তমিজ উদ্দিনের পানের খুব সুনাম আছে, যেমন
সুনাম কুমিল্লার রসমালাইয়ের। পানের দোকানি তমিজ উদ্দিন
লোক হিসেবেও খুব রসিক। দাল্লা বাজারে এসে তমিজ
উদ্দিনের দোকানের পান না খেলে যেন এই বাজারে আসাই
বৃথা। বাংলাদেশি এই তমিজ উদ্দিনের পানের
দোকানে নাকি ৩০ আইটেমের পানের মসল্লা আছে। যার
মধ্যে আজমেরি মিষ্টি, গোলাপ চাটনি, পান পরাগ, বাগদাদ
ক্লার্ক, হিরামতি, নারিকেল জর্দা, কাসুন্দি, পোস্টার
ক্লার্ক, তাম্বুল বাহার, বাদাম চাটনি, কাজু
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মোবাইলের দোকানে বাংলায় স্টিকারে লেখা রয়েছে ‘গ্রামীণ,
রবি, বাংলালিংকের সিম কার্ড ও লোড পাওয়া যায়। বিকাশ
করা হয়।’ কাপড়ের দোকানে রয়েছে লুঙ্গি, গামছাসহ
বাংলাদেশি অনেক পণ্য, যা সৌদি আরবে সাধারণত
পাওয়া যায় না।
এই বাজারে প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার গানের আসর জমে।
এই এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশিরা সবান্ধবে অংশ নেয় এই
আসরে এবং খুব উপভোগ করে।
বাংলা গানে গানে মাতিয়ে তোলা হয় পুরো আসর। আসরে অংশ
গ্রহণকারী প্রবাসীরা ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলে যায়
আপনজনদের থেকে দূরে থাকার সকল বেদনা।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বাংলাদেশি ছাত্র মাসুম বিল্লাহ
এ বাজার সম্পর্কে বলেন, ‘এটি তো মিনি বাংলাদেশ।’
দাল্লা বাংলাবাজারে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অনেক ইন্ডিয়ান,
পাকিস্তানি, শ্রীলংকান ও নেপালিরাও বাজার করতে আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাল্লা একটি কোম্পানির নাম। এই
কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রায় ৯০ শতাংশ
বাংলাদেশী। যারা সবাই সৌদি আরবের শোভা বর্ধনের
কাজে নিয়োজিত। দাল্লা বাংলাবাজারের পাশে এই কোম্পানির
একটি বিশাল ক্যাম্প রয়েছে যেখানে প্রায় ৬ হাজার
বাংলাদেশির বসবাস। এসব বাংলাদেশি শ্রমিকদের কেন্দ্র
করেই এই বাজার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশিদের কেন্দ্র
করে গড়ে উঠলেও এখন মদীনার পশ্চিম ও দক্ষিনাঞ্চলের
মানুষ বাজার করতে এখানেই ছুটে আসেন। বিশেষ
করে বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, শ্রীলংকান ও নেপালি প্রবাসীরা।
মদিনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার
দূরে দাল্লা বাংলাবাজারের অবস্থান।
দাল্লা বাংলাবাজারকে শুধু বাজার বললে ভুল হবে। বাংলাদেশের
মানুষে এলাকাটি ঠাসা।
এখানে আশার পর মনে হবে বাংলাদেশের
কোনো একটি বাজারে আপনি অবস্থান করছেন। কাঁচা বাজার
থেকে শুরু করে পানের দোকান, চায়ের দোকান, আখের রসের
দোকান, দরজির দোকান, সেলুন দোকানসহ সবই
বাংলাদেশিদের দোকান। বাংলাতেই চলে দরদাম কেনাকাটা।
সবজির দোকানগুলোতে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
সৌদি আরবের আর দশটি বাজারে নানা দেশের
শাকসবজি থাকলেও এখানে সব বাংলাদেশি শাকসবজি।
এই বাজারে তমিজ উদ্দিনের পানের খুব সুনাম আছে, যেমন
সুনাম কুমিল্লার রসমালাইয়ের। পানের দোকানি তমিজ উদ্দিন
লোক হিসেবেও খুব রসিক। দাল্লা বাজারে এসে তমিজ
উদ্দিনের দোকানের পান না খেলে যেন এই বাজারে আসাই
বৃথা। বাংলাদেশি এই তমিজ উদ্দিনের পানের
দোকানে নাকি ৩০ আইটেমের পানের মসল্লা আছে। যার
মধ্যে আজমেরি মিষ্টি, গোলাপ চাটনি, পান পরাগ, বাগদাদ
ক্লার্ক, হিরামতি, নারিকেল জর্দা, কাসুন্দি, পোস্টার
ক্লার্ক, তাম্বুল বাহার, বাদাম চাটনি, কাজু
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মোবাইলের দোকানে বাংলায় স্টিকারে লেখা রয়েছে ‘গ্রামীণ,
রবি, বাংলালিংকের সিম কার্ড ও লোড পাওয়া যায়। বিকাশ
করা হয়।’ কাপড়ের দোকানে রয়েছে লুঙ্গি, গামছাসহ
বাংলাদেশি অনেক পণ্য, যা সৌদি আরবে সাধারণত
পাওয়া যায় না।
এই বাজারে প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার গানের আসর জমে।
এই এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশিরা সবান্ধবে অংশ নেয় এই
আসরে এবং খুব উপভোগ করে।
বাংলা গানে গানে মাতিয়ে তোলা হয় পুরো আসর। আসরে অংশ
গ্রহণকারী প্রবাসীরা ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলে যায়
আপনজনদের থেকে দূরে থাকার সকল বেদনা।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বাংলাদেশি ছাত্র মাসুম বিল্লাহ
এ বাজার সম্পর্কে বলেন, ‘এটি তো মিনি বাংলাদেশ।’
দাল্লা বাংলাবাজারে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অনেক ইন্ডিয়ান,
পাকিস্তানি, শ্রীলংকান ও নেপালিরাও বাজার করতে আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাল্লা একটি কোম্পানির নাম। এই
কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের প্রায় ৯০ শতাংশ
বাংলাদেশী। যারা সবাই সৌদি আরবের শোভা বর্ধনের
কাজে নিয়োজিত। দাল্লা বাংলাবাজারের পাশে এই কোম্পানির
একটি বিশাল ক্যাম্প রয়েছে যেখানে প্রায় ৬ হাজার
বাংলাদেশির বসবাস। এসব বাংলাদেশি শ্রমিকদের কেন্দ্র
করেই এই বাজার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশিদের কেন্দ্র
করে গড়ে উঠলেও এখন মদীনার পশ্চিম ও দক্ষিনাঞ্চলের
মানুষ বাজার করতে এখানেই ছুটে আসেন। বিশেষ
করে বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, শ্রীলংকান ও নেপালি প্রবাসীরা।
No comments:
Post a Comment