ঢাকা: স্বামীর লাশের দাবিদার দুই
ভিন্ন ধর্মাবলম্বী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়
টানাটানি।
লাশটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষও। তার কারো কাছে লাশটি হস্তান্তর
না করে রেখে দিয়েছে হিমাগারে।
অন্যদিকে পুলিশ শরণাপন্ন হয়েছে আদালতের।
জানা যায়, রাজধানীর ফার্মগেটের ক্যাপিটাল
সুপার মার্কেটের মালিক রাজীব
চৌধুরী ওরফে রণজিৎ নন্দী ওরফে খোকন নন্দী (৬৫)
গত ২৬ জুন রাজধানীর বারডেম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার মৃত্যুর পর মুসলিম ধর্মালম্বী উইলস লিটল
ফ্লাওয়ার স্কুলের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের
শিক্ষিকা হাবিবা আক্তার খানম বাবলি ও হিন্দু
ধর্মাবলম্বী মীরা নন্দী দুইজনই রাজীব
চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দীকে তাদের
স্বামী দাবি করেছেন।
এদের মধ্যে বাবলির দাবি, তার স্বামী হিন্দু
ধর্মাবলম্বী নয়, তিনি ১৯৮০ সালে ২ এপ্রিল
ঢাকার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের
কাছে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দুধর্ম ত্যাগ
করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১৫
জুলাই তাকে বিয়ে করেন। মুসলিম স্বামী-
স্ত্রী হিসেবে মৃত্যুর আগে প্রায় ১৮ বছর
রাজধানীর ৩৩১, উত্তর শাহজাহানপুর আতাউর
রহমানের বাসায় দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন।
তাকে বিয়ের আগে মীরা নন্দীকে ডিভোর্সও দেন
তার স্বামী।
অন্যদিকে মীরা নন্দীর দাবি, মৃত ব্যক্তি রাজীব
চৌধুরী নয়, তার নাম খোকন নন্দী। তিনি তার
স্বামী। তিনি হিন্দু, মোসলমান না। ৫২ বছর
তারা একসঙ্গে সংসার করেছেন। সনাতন হিন্দু
মতে জীবনযাপন করতেন তিনি। তাই হিন্দু মতেই
তাকে সমাহিত করা হবে।
বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর লাশের
দাবিদার নিয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ
হিমঘরে রেখে দেয়। পরে হাবিবা আক্তার খানম
বাবলি রমনা থানায় একটি জিডি করেন।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের
সুত্রে জানা যায় , এই জিডির
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ
বলেন, ‘দাবিদার দুই স্ত্রীর কাছ থেকে কাগজপত্র
পাওয়া গেছে। তবে মৃত ব্যক্তি ৭টি নাম ধারণ
করে ছদ্মবেশে রাজধানীতে চলাফেরা করতেন। তার
বিরুদ্ধে প্রতারণার
অভিযোগে ৫৬টি মামলা রয়েছে।
এমনকি ফার্মগেটে ক্যাপিটাল সুপার মার্কেটটিও
তিনি দখল সূত্রে মালিক হয়েছেন। এই
মার্কেটটি তার মালিকানায় রয়েছে বলেই দুই
স্ত্রীর মধ্যে লাশের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।’
তিনি বলেন, ‘জিডির এই তদন্ত রিপোর্ট
আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতই চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত দেবেন যে এই লাশের দাবিদার কে?’
রাজীব চৌধুরী মুসলিম ধর্মগ্রহণ ও বিয়ের সব
কাগজপত্র আদালতের কাছে জমা দিয়েছেন
স্ত্রী দাবিদার বাবলি। গত বছরের ২৩ অক্টোবর
স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই তারা ভারত ভ্রমণ
করেছেন- এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও
আদালতে জমা দিয়েছেন। সেখানে বাবলির স্বামীর
নাম হিসেবে খোকন চৌধুরী উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে মীরা নন্দী আদালতে বলেন, ‘আমার
স্বামীর পুরো নাম রণজিৎ নন্দী ওরফে খোকন
নন্দী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
আমরা একসঙ্গে মোহাম্মদপুরের ১৫ নম্বর রায়ের
বাজার এলাকায় বসবাস করেছি। ১৫ জুন অসুস্থ
হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে আমিই
ভর্তি করাই। হাসপাতালের সব টাকা পরিশোধের
পরও কর্তৃপক্ষ লাশ বুঝে দেয়নি।’
এই দুইজনের আইনজীবী জানান, বিচারক
বিষয়টি গভীর পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন,
নিহত ব্যক্তি আসলে রাজীব কিংবা খোকন হিন্দু
না মুসলমান। তিনি বাবলির না মীরার স্বামী। এ
বিষয়ে ১০ জুলাই আদালত আদেশ দেবেন।
উল্লেখ,এর আগে ২০১০ সালে খিলগাঁওয়ে স্কুল
শিক্ষক চন্দন চক্রবর্তী ওরফে সাজ্জাদ হোসেন
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলে তার
লাশ নিয়ে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর স্ত্রীর
মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে উভয়পক্ষ
মামলা দায়ের করে। সাড়ে ৩ বছর মামলা চলার পর
আদালত চন্দন চক্রবর্তী ওরফে সাজ্জাদের লাশ
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের
শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য হস্তান্তরের
নির্দেশ দেন।

ভিন্ন ধর্মাবলম্বী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়
টানাটানি।
লাশটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষও। তার কারো কাছে লাশটি হস্তান্তর
না করে রেখে দিয়েছে হিমাগারে।
অন্যদিকে পুলিশ শরণাপন্ন হয়েছে আদালতের।
জানা যায়, রাজধানীর ফার্মগেটের ক্যাপিটাল
সুপার মার্কেটের মালিক রাজীব
চৌধুরী ওরফে রণজিৎ নন্দী ওরফে খোকন নন্দী (৬৫)
গত ২৬ জুন রাজধানীর বারডেম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার মৃত্যুর পর মুসলিম ধর্মালম্বী উইলস লিটল
ফ্লাওয়ার স্কুলের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের
শিক্ষিকা হাবিবা আক্তার খানম বাবলি ও হিন্দু
ধর্মাবলম্বী মীরা নন্দী দুইজনই রাজীব
চৌধুরী ওরফে খোকন নন্দীকে তাদের
স্বামী দাবি করেছেন।
এদের মধ্যে বাবলির দাবি, তার স্বামী হিন্দু
ধর্মাবলম্বী নয়, তিনি ১৯৮০ সালে ২ এপ্রিল
ঢাকার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের
কাছে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দুধর্ম ত্যাগ
করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১৫
জুলাই তাকে বিয়ে করেন। মুসলিম স্বামী-
স্ত্রী হিসেবে মৃত্যুর আগে প্রায় ১৮ বছর
রাজধানীর ৩৩১, উত্তর শাহজাহানপুর আতাউর
রহমানের বাসায় দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন।
তাকে বিয়ের আগে মীরা নন্দীকে ডিভোর্সও দেন
তার স্বামী।
অন্যদিকে মীরা নন্দীর দাবি, মৃত ব্যক্তি রাজীব
চৌধুরী নয়, তার নাম খোকন নন্দী। তিনি তার
স্বামী। তিনি হিন্দু, মোসলমান না। ৫২ বছর
তারা একসঙ্গে সংসার করেছেন। সনাতন হিন্দু
মতে জীবনযাপন করতেন তিনি। তাই হিন্দু মতেই
তাকে সমাহিত করা হবে।
বারডেম হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর লাশের
দাবিদার নিয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ
হিমঘরে রেখে দেয়। পরে হাবিবা আক্তার খানম
বাবলি রমনা থানায় একটি জিডি করেন।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের
সুত্রে জানা যায় , এই জিডির
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ
বলেন, ‘দাবিদার দুই স্ত্রীর কাছ থেকে কাগজপত্র
পাওয়া গেছে। তবে মৃত ব্যক্তি ৭টি নাম ধারণ
করে ছদ্মবেশে রাজধানীতে চলাফেরা করতেন। তার
বিরুদ্ধে প্রতারণার
অভিযোগে ৫৬টি মামলা রয়েছে।
এমনকি ফার্মগেটে ক্যাপিটাল সুপার মার্কেটটিও
তিনি দখল সূত্রে মালিক হয়েছেন। এই
মার্কেটটি তার মালিকানায় রয়েছে বলেই দুই
স্ত্রীর মধ্যে লাশের দাবি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।’
তিনি বলেন, ‘জিডির এই তদন্ত রিপোর্ট
আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতই চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত দেবেন যে এই লাশের দাবিদার কে?’
রাজীব চৌধুরী মুসলিম ধর্মগ্রহণ ও বিয়ের সব
কাগজপত্র আদালতের কাছে জমা দিয়েছেন
স্ত্রী দাবিদার বাবলি। গত বছরের ২৩ অক্টোবর
স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই তারা ভারত ভ্রমণ
করেছেন- এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও
আদালতে জমা দিয়েছেন। সেখানে বাবলির স্বামীর
নাম হিসেবে খোকন চৌধুরী উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে মীরা নন্দী আদালতে বলেন, ‘আমার
স্বামীর পুরো নাম রণজিৎ নন্দী ওরফে খোকন
নন্দী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
আমরা একসঙ্গে মোহাম্মদপুরের ১৫ নম্বর রায়ের
বাজার এলাকায় বসবাস করেছি। ১৫ জুন অসুস্থ
হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে আমিই
ভর্তি করাই। হাসপাতালের সব টাকা পরিশোধের
পরও কর্তৃপক্ষ লাশ বুঝে দেয়নি।’
এই দুইজনের আইনজীবী জানান, বিচারক
বিষয়টি গভীর পর্যালোচনা করে আদেশ দেবেন,
নিহত ব্যক্তি আসলে রাজীব কিংবা খোকন হিন্দু
না মুসলমান। তিনি বাবলির না মীরার স্বামী। এ
বিষয়ে ১০ জুলাই আদালত আদেশ দেবেন।
উল্লেখ,এর আগে ২০১০ সালে খিলগাঁওয়ে স্কুল
শিক্ষক চন্দন চক্রবর্তী ওরফে সাজ্জাদ হোসেন
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হলে তার
লাশ নিয়ে দুই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর স্ত্রীর
মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে উভয়পক্ষ
মামলা দায়ের করে। সাড়ে ৩ বছর মামলা চলার পর
আদালত চন্দন চক্রবর্তী ওরফে সাজ্জাদের লাশ
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের
শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য হস্তান্তরের
নির্দেশ দেন।

posted from Bloggeroid