Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Thursday, May 22, 2014

মোদির প্রথম সফর ‘ঢাকায়’

ভারতের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকায়ই
প্রথম সফর হতে পারে নরেন্দ্র
মোদির এবং তিস্তা চুক্তির জটও
খুলতে পারে বলে আভাস
পাওয়া গেছে।
আগামী ২৬ মে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ
নিতে যাওয়া মোদি ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ
সফরের দিনক্ষণ ঠিক করতে নির্দেশ
দিয়েছেন বলে নয়া দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়।
মোদির শপথ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত আট দেশের
সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে ওই সময়ে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে থাকবেন
বলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই
অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির কট্টর এই
নেতা ভোটের সময় কথিত বাংলাদেশিদের
ভারত থেকে বিতাড়নের ডাক দেয়ায়
বাংলাদেশের অনেক
মহলে তাকে নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
তবে মোদির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ
বিজেপি নেতা অমিত শাহ গত ১৬ মে ভোটের
ফল ঘোষণার পর জানিয়েছেন, মোদির
নেতৃত্বে সরকার ভারতের পররাষ্ট্র
নীতিতে তেমন পরিবর্তন আনবে না।
ভোটে বিজেপি একক
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন
বার্তা পাঠান মোদিকে।
পরে তিনি সরাসরি টেলিফোন
করে কথা বলেন প্রতিবেশী দেশটির হবু
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, আমন্ত্রণ জানান
ঢাকা আসার।
টেলিফোনে আলাপে হাসিনা তিস্তা চুক্তির
বিষয়টি তুললে মোদি ইতিবাচক মনোভাব
দেখান বলে বিজেপির এক নেতা বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারতের
বিদায়ী সরকারের সময়
তিস্তা চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে গেলেও
পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আপত্তিতে আটকে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির ওই
নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “শেখ হাসিনার
সঙ্গে টেলিফোন
আলাপে মোদি বাংলাদেশকে তার ‘সেকেন্ড
হোম’ বলে উল্লেখ করেন।”
ওই আলোচনার একটি বড় অংশজুড়ে তিস্তার
পানি বণ্টন চুক্তি ছিল বলে বিজেপির ওই
নেতা জানান।
img
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার
সঙ্গে কথা বলার পর মোদি দ্রুততম সময়ে এই
বিষয়টি (তিস্তা) নিষ্পন্ন করতে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলেছেন।”
পশ্চিমবঙ্গ
পানি সঙ্কটে পড়বে দাবি তুলে তিস্তা চুক্তিতে আপত্তি জানানো মমতা এক
সময় বিজেপির জোটসঙ্গী ছিল। তবে এখন
প্রচণ্ড রকম মোদিবিরোধী অবস্থান
নিয়ে আছেন মমতা।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন
মাত্রা উন্নীত করতে নিজের আগ্রহের
কথা শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন মোদি।
সন্ত্রাস
দমনে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের
পদক্ষেপের প্রশংসাও তিনি করেছেন
বলে বিজেপি নেতা জানান।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল সীমান্ত
চুক্তির বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের
উদ্যোগ নিলেও তা হওয়ার আগেই বিদায়
নিল মনমোহন সিংয়ের সরকার।
বিজেপি এক সময় স্থলসীমান্ত চুক্তির ঘোর
বিরোধিতা করলেও পরে তাদের সুর নরম
হয়। সর্বশেষ রাজ্যসভায় বিলটি উত্থাপিত
হলে বিজেপি তার বিরোধিতা করেনি।
তার আগে অবশ্য বাংলাদেশের তৎকালীন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি দেখা করেছিলেন
রাজ্যসভায় বিজেপির তখনকার নেতা অরুণ
জেটলির সঙ্গে।
নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার
তারেক এ করিম গুজরাট গিয়ে দেখা করেন
মোদির সঙ্গেও।


Posted via Blogaway

No comments: