প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নবতর শিক্ষা ধারণায় পরিচালিত
হচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্যামব্রিয়ান
স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যার শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত
ধারণা থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম। বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের
প্লে থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর এই কলেজটিতে রয়েছে ক্রিয়েটিভ
ট্রেনিংপ্রাপ্ত, ডিজিটাল কনটেম্লট ডেভেলপমেন্ট ও
আইসিটি পারদর্শী ৬৫০ জন শিক্ষক এবং ৬০০ জন
কর্মকর্তা-কর্মচারী। যারা ডিজিটাল লার্নিং প্রোগ্রাম
থেকে হোম ভিজিট অবধি সব কিছুই পরিচালনা করেন অত্যন্ত
দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের
আদলে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল শিক্ষা বাস্তবায়নের মধ্য
দিয়ে প্রকৃত ডিজিটাল শিক্ষা ও এর ব্যাপকতা তুলে ধরার
প্রয়াস রেখেছে ক্যামব্রিয়ান। ডিজিটাল
শিক্ষা বলতে শিক্ষার্থীদের হাতে শুধু কম্পিউটার, ল্যাপটপ
ধরিয়ে দিয়েই শেষ করেনি ক্যামব্রিয়ান, এ জন্য প্রথমেই
তৈরি করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল ভার্সন ডিভিডি ও
তা সাবলীলভাবে রান করার জন্য ‘ক্যামব্রিয়ান’ নামক
একটি সাবলীল সফটওয়্যার। এবং এরপরই ক্যামব্রিয়ান
তাদের প্রাক-প্রাথমিক থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর
শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে ল্যাপটপ ও আইপ্যাড।
উল্লেখ্য, শ্রেণীকক্ষে বইয়ের পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহার
ও পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল ভার্সনের ওপর সর্ব প্রথম
প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ক্যামব্রিয়ানের শিক্ষকদেরকে।
সেজন্য সর্ব প্রথম ক্যামব্রিয়ানের ২০০
শিক্ষককে দেয়া হয়েছিল ল্যাপটপ এবং সেই
সঙ্গে অব্যাহতভাবে চলছে ডিজিটাল কনটেম্লট তৈরির
গবেষণা। যে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দেশের
প্রথম শিক্ষামূলক টেলিভিশন—ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশন
(সিটিভি) যেখানে সম্প্রচারের জন্য তৈরি হচ্ছে অডিও
ভিজুয়াল ল্যাকচার, যা স্যাটেলাইট ও
অনলাইনে একসঙ্গে প্রচারিত হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের
প্রতিটি ড্রইং বা বেডরুম হবে শ্রেণীকক্ষ। অর্থাত্ এতদিন
তারা যে টিভি সেটে দেখতো অসুস্থ ও পাশ্চাত্য বিনোদন,
রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি তথা ব্যাংক জালিয়াতির খবর,
সেখানে তারা এখন ক্যামব্রিয়ান টেলিভিশনের
মাধ্যমে দেখবে শিক্ষামূলক বিনোদন ও পড়াশোনার ডিজিটাল
কনটেইন্ট ও সারা দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের সরাসরি ও
ধারণকৃত দামি লেকচার, ব্যবহারিক ক্লাস। যার জন্য
তাদেরকে শিক্ষকদের
পেছনে ঘুরতে হতো অথবা অপেক্ষা করতে হতো অনেক
সময়।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment