Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Wednesday, May 21, 2014

দুঃস্বপ্নের ৬টি কারণ চিহ্নিত

ডেস্ক: বিছানায় সাপ
অথবা আগুনে পুড়ে যাচ্ছেন সব আর
আপনি দৌড়াচ্ছেন এমন দুঃস্বপ্ন
দেখে গভীর ঘুম থেকে অকস্মাৎ
জেগে ওঠা নিশ্চয়ই খুব বিরক্তিকর।
এমন সব দুঃস্বপ্ন আপনার
ভালো ঘুমকে নষ্ট করতে পারে,
এমনকি বিষিয়ে তুলেতে পারে আপনার
জীবন। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মিস
করে ফেলা বা জনসম্মুক্ষে নগ্ন
দাঁড়িয়ে আছেন এমন সব বিরক্তিকর
বাজে স্বপ্নের অভিজ্ঞতা অনেকেরই
আছে। দুঃস্বপ্নের ছয়টি কারণ
মনোবিদগণ চিহ্নিত করেছেন।
১। উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ:
জীবনে চলার পথে নানা রকম ঘটনা-
দুর্ঘটনা মানসিক চাপ
এবং অস্থিরতা তৈরি করে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর
দ্য স্টাডি অব ড্রিমস এর মতে—
প্রিয়জনের প্রবঞ্চনা, লাঞ্চনা,
বিবাহবিচ্ছেদ কিংবা পেশাগত
বা আর্থিক সমস্যার উদ্বেগ
থেকে নানা রকম মানসিক অস্থিরতার
কারণে কেউ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু
করতে পারেন।
২। প্রচুর মসলাযুক্ত খাদ্য:
রাতের খাদ্যাভ্যাসও আপনার রাতের
ঘুমের স্বপ্নকে প্রভাবিত
করে দুঃস্বপ্নে রূপান্তর করতে পারে।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব
সাইকোফিজিওলজি’ একটি ছোট
সমীক্ষা চালায় কিছু সুস্বাস্থ্যের
অধিকারী পুরুষদের উপর। তাদের কোন
কোন সন্ধ্যায় খেতে দেয়া হয় প্রচুর
মসলাসমৃদ্ধ খাবার। আর কোন কোন দিন
স্বাভাবিক খাবার। তারপর
তুলনা করে দেখতে পায়যেদিন
মসলাসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয় সেদিন
তাদের ঠিকমতো ঘুম হয়
না এবং দুঃস্বপ্নের
মতো বাজে ব্যাপারগুলো ঘটে ঘুমের
মাঝে। কারণ মসলাযুক্ত খাবার
শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়,
খাদ্য হজমে সমস্যা করে,
এমনকি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক
ক্রিয়াতে বিঘœ ঘটায় ফলে দুঃস্বপ্ন
আসতেই পারে ঘুমের ভেতর।
৩। চর্বিযুক্ত খাবার:
দিনে প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ
করলে রাতে আপনার
সুনিদ্রাতে মারত্মক প্রভাব
ফেলতে পারে। ২০০৭ সালে প্রকাশিত
এক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবেদনে লেখক
বলেন যারা সুষম খাবার খায় তাদের
তুলনায় যারা চর্বিযুক্ত খাবার
(জাংক ফুড) গ্রহণ করে তাদের ঘুম ও
স্বপ্নে এর বাজে প্রভাব পরে।
৪। অ্যালকোহল:
অ্যালকোহল আপনাকে হয়তো দ্রুত
ঘুমিয়ে যেতে সাহায্য করবে কিন্তু
এর প্রভাব কেটে গেলে আপনার ঘুম
ভেঙ্গে যাবে পরিমিত ঘুম হওয়ার
আগেই। অ্যালকোহল সেবন দুঃস্বপ্ন
দেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
৫। ঔষধ ও মাদক:
মাদক সহ কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুঃস্বপ্ন
হতে পারে। মাদক সরাসরি আমাদের
চিত্তের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
আর কোন কোন ঔষধে ব্যবহৃত উপাদান
ঘুমের জন্য ক্ষতিকর।
দেখা গেছে সেসকল ঔষধ সেবনের
ফলে দুঃস্বপ্ন দেখার
প্রবনতা বেড়ে যায়।
৬। অসুস্থতা:
কথায় বলে ‘শরীর ঠিক তো সব ঠিক’।
শরীরই যদি অসুস্থ হয়, ঘুমে এর
প্রভাবতো পড়বেই। শারীরিক
অসুস্থতার কারণে দুঃস্বপ্ন
দেখতে পারেন। জ্বর কিংবা ঘুমের
বিভিন্ন অসুখ দুঃস্বপ্নের প্রকোপ
বৃদ্ধি করতে পারে।
দুঃস্বপ্নকে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ও
আচরণের স্বাভাবিক
প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হয়।
তবে এর তীব্রতা যদি আপনার
স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যহত
করে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের
পরামর্শ নেয়া উচিত।
তবে দুঃস্বপ্নের এই
ছয়টি কারণকে দূরে ঠেলে আপনি নিশ্চয়ই
সুনিদ্রা আনয়নে সক্ষম হবেন।


Posted via Blogaway

No comments: