Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Friday, June 13, 2014

নতুন এক সুপারস্টারের উত্থান দেখছেন ম্যারাডোনা

স্পোর্টস ডেস্ক : এবার বিশ্বকাপে নতুন এক
সুপারস্টারের জন্ম হবে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন
বিশ্ব ফুটবলের বরপুত্র, বিশ শতকের
ফিফা প্লেয়ার দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা।
কে হবেন সেই নতুন সুপারস্টার! নিজেই এমন
প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ম্যারাডোনা। তার মতে,
নতুন ওই সুপারস্টার হতে পারেন আর্জেন্টিনার
লিওনেল মেসি, পর্তুগালের
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ব্রাজিলের নেইমার,
ইতালির আঁন্দ্রে পিরলো প্রমুখ। ‘গ্রেটেস্ট শো অন
আর্থ’ শুরু হয়ে গেছে।
এতে বিভিন্ন দলের পারফরমেন্স, খেলোয়াড় ও কোচ
হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে টাইমস অব
ইন্ডিয়ায় তিনি লিখেছেন একটি কলাম।
তাতে তিনি লিখেছেন, ফুটবল একটি টিম গেম।
পুরো টিমকে এক হয়ে খেলতে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও
এমন কিছু খেলোয়াড় থাকেন যিনি নিজের
ব্যতিক্রমী দক্ষতা দিয়ে অন্যদের
থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেন।
আলাদা উচ্চতায় নিয়ে যান। এমন ব্যবধান
মাঝে মধ্যেই প্রয়োজন হয়। একজন
ম্যানেজারকে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত
করতে হয় যেখানে টিমের লক্ষ্য কখনও ত্যাগ
করতে না হয়।
একই সময়ে কোন খেলোয়াড় যদি ব্যতিক্রম উপহার
দেন তাহলে তাকে তার মতো করে উন্মেষ ঘটানোর
সুযোগ করে দিতে হবে। এমনটা নিশ্চিত করতে হয়
একজন কোচকে। যদি এমন কোন খেলোয়াড় তার
মেধা দিয়ে টিমকে উদ্বুদ্ধ করেন তাহলে তা ভীষণ
উপকারে আসে। এ জন্যই আমি বিশ্বাস করি যে,
মেসি ও রোনালদোর উপস্থিতি আর্জেন্টিনা ও
পর্তুগালকে ভাল খেলতে সহায়তা করবে। এ
প্রজন্মের মধ্যে এই দুই খেলোয়াড়ই সেরা।
সবচেয়ে এই ক্রীড়াযজ্ঞে তাদের সবচেয়ে ভাল
খেলাটা উপহার দেয়ারও সামর্থ্য আছে।
তারা ক্লাবের হয়ে যেমনটা ম্যাজিক দেখিয়েছেন
সেই ম্যাজিক এখানে সৃষ্টি করা কঠিন। কিন্তু
তা করার সক্ষমতা তাদের রয়েছে। অসাধারণ
মেধাবী তরুণ খেলোয়াড় নেইমার।
কনফেডারেশন
কাপে তিনি যা করেছেন
তা এক
কথায়
অসাধারণ।
কিন্তু
বিশ্বকাপে তার
নিজের
আলোয়
জ্বলে ওঠার
মতো তারুণ্য
আছে তার।
তিনি এই
সক্ষমতা দেখানোর
পর
ব্রাজিল তার ওপর ভরসা করতেই পারে।
নেদারল্যান্ডস সব সময়ই চমৎকার ফুটবল খেলে।
তাদের মধ্যে অবশ্যই আরজেন রব্বেন অন্যতম। লুইস
ভ্যান গালের অধীনে রবিন ভ্যান পারসি বেশ ভাল
খেলেছেন। কিন্তু ২০১০ সালের
ফাইনালে ডাচ্রা যে ফুটবল
খেলেছে তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই।
আমি প্রত্যাশা করেছিলাম
তারা দক্ষতাকে প্রাধান্য দেবে। তার
পরিবর্তে তারা শারীরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।
ম্যারাডোনা আরও লিখেছেন, ফ্রান্সের জন্য কারিম
বেনজেমা অত্যন্ত ভাল ফর্মে আছেন। দিদিয়ের
ডেচ্যাম্পস ড্রেসিং রুমকে ইগো ক্লাসে উন্নীত
করেছেন। ড্রেসিং রুম তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন।
যদি আপনি সেই ড্রেসিং রুমের কারও নাগাল
পেতে চান তাহলে তার সেই কন্ট্রোল
বাটনে চাপতে হবে আগে। তবে আমার
অভিজ্ঞতা বলে যে, প্রতিটি কোচের জন্যই রয়েছেন
তার ক্যাপ্টেন। এরপরই ম্যারাডোনা ফিরে যান
অতীতে। তিনি লিখেছেন, লুইস সিজার
মেনোত্তি ছিলেন আর্জেন্টিনার দায়িত্বে।
তখনকার দিনগুলোর কথা আমার স্মরণ আছে।
দানিয়েল পাসারেলার নাগাল পাওয়ার কোন উপায়
ছিল না। এল ফ্লাকো এটা হতে দিতেন না কখনও।
কার্লোস বিলার্ডোর অধীনে আমিও একই
অবস্থানে থেকেছি। যখন আমি কোচ ছিলাম, তখন
ক্যাপ্টেন জাভিয়ের মাচসচেরানোর সঙ্গে ছিল খুবই
ভাল সম্পর্ক। তিনি একজন চিন্তাশীল ফুটবলার।
তিনি মধ্য মাঠ থেকে খেলায় নেতৃত্ব দিতেন।
মেসির মতো মেধাবী তিনি নন। কিন্তু
তিনি সম্মান দিতে জানেন। আমাদের ছিল সুস্থ
একটি ড্রেসিং রুম।
এরপরই ম্যারাডোনা ফিরে আসেন বর্তমানে। এ
নিয়ে তিনি লিখেছেন, বর্তমানের একজন কোচ ও
ক্যাপ্টেনের মধ্যে এমন সম্পর্ক খুঁজে দেখুন।
আমি তো পাই না বললেই চলে। অবশ্যই এ
বিষয়টি নির্ভর করে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের ওপর।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কোচ ও ক্যাপ্টেনের
মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত দরকার। এজন্যই
আলাদা করা যেত না রাইনাস মাইকেলস ও জন
ক্রুইফকে। এখনকার সময়ে এ
বিষয়টি খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
ম্যারাডোনা লিখেছেন, ইতালি আঁদ্রেয়া পিরলোর
ওপর খুব বেশি ভরসা করে আছে। তার প্রজন্মের
মধ্যে তিনি মধ্যমাঠের খুব ভাল একজন খেলোয়াড়।
তিনি জুভেন্টাসকে এবার আরেকটি সিরি-এ
শিরোপা এনে দিয়েছেন। ইংল্যান্ড বেশি ভর
করে থাকবে স্টিফেন জেরার্ড ও ফ্রাঙ্ক
ল্যাম্পার্ডের ওপর। কিন্তু বাস্তব হলো তাদের
অনেকটা বয়স হয়েছে। আলেসান্দ্রো সাবিলা তিন
বছরের বেশি সময় আর্জেন্টিনার দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি একটি কেন্দ্রীয় গ্রুপ গড়ে তুলেছিলেন,
সেখানে মেসি ছিলেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে একজন
নেতৃস্থানীয় খেলোয়াড়।
তারা যখন একই ক্লাবে খেলেছেন তখন
তাকে সমর্থন করতে কোন সমস্যা ছিল
না মাসকারেনোর। বারসেলোনা ভক্তরা যখন
সমস্যা দেখতে পেল তখন অ্যানজেল
ডি মারিয়া সমর্থন করছেন
মেসিকে এটা দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে।
এটা তাদের মধ্যকার একটি সুস্থ সম্পর্কের
বহিঃপ্রকাশ, যদিও তারা এখন প্রচ-
ঘোরবিরোধী দু’টি ফুটবল ক্লাবের। আমি বিস্মিত
হবো না যদি সার্জিও আগুয়েরো আরও
সামনে এগিয়ে যান।
বেলজিয়ামের তারকা এরডেন হ্যাজার্ড ও
ব্রাজিলের অস্কারের মতো তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত
তারকার দিকে চোখ রাখতে হবে। তাদেরও
সক্ষমতা আছে। তাদেরও আছে সবুজ ঘাসের ওপর
আগুনে ঝড় তোলার।

posted from Bloggeroid

No comments: