Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Monday, June 2, 2014

বিছানায় যে সাতটি কাজ করবেন না

বিছানায় যে সাতটি কাজ করবেন না
বলা হয়ে থাকে, ঘুম ও যৌনতা- এ দুটো কাজের জন্য
আপনার বিছানাটি তৈরি হয়েছে। বিছানায় আরামের
ঘুমের জন্য বৈজ্ঞানীক পদ্ধতি নিয়ে আমরা খুব কমই
জানি। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব স্লিপ
মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ড. এম সাফওয়ান ভদ্র
বলেন, আমার মতে, বিছানায় মানুষের দুটি কাজ হয়
ইংরেজিতে যার শুরু ‘এস’ অক্ষর দিয়ে। তবে এর
মধ্যে স্ট্রাগলিং বা সাফারিংয়ের মতো কাজ নেই।
বিশেষজ্ঞরা সাতটি কাজের ফিরিস্তি দিয়েছেন
যা বিছানায় করা উচিত নয়। কাজেই জেনে নিন
কাজগুলো কী কী।
১. টেক্সট
মোবাইলে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেজ
চালাচালির বিষয়টি বিছানায়
বসে বা শুয়ে করা উচিত নয়। এসব প্রযুক্তির যন্ত্র
থেকে যে আলো বের হয় তা আমাদের ঘুমের জন্য
প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোন
নিঃস্বরণে সমস্যা হয়। দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ
মানুষ ইলেকট্রনিক পণ্য বিছানায় শুয়ে ব্যবহার
করেন। ২০১১ সালে ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন
জানায়, সুস্থ্য ঘুমের জন্য বিছানায়
উঠে ইলেকট্রনিক পণ্যে আলোর ওপর কারফিউ
জারি করা উচিত।
২. টিভি দেখা
এটা অতি সাধারণ একটি ঘটনা। কিন্তু এতে আপনার
আরাম করা হয় না। কারণ আরাম করা আর আরামের
ব্যাঘাত আসলে ভিন্ন বিষয়। ইউনিভার্সিটি অব
পেনসিলভেনিয়ার ব্যবহারিক ঘুম বিষয়ক মেডিসিন
প্রোগ্রামের সদস্য মাইকেল গ্র্যান্ডনার জানান,
বিছানায় শুয়ে ঘুমের
আগে টিভিতে নানা উত্তেজনাকর
সিনেমা এবং নাটকীয় ঘটনা দেখলে ঘুমের
অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়। দেখা গেছে এ সময়
হৃদযন্ত্রের স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের
মাত্রা বেড়ে যায়। অথচ ঘুমের সময় এগুলোর
মাত্রা কম থাকে।
৩. এপাশ-ওপাশ করা
ঘুম না আসলে এপাশ-ওপাশ করা হয়। মনে হয়, একটু
হেঁটে আসলে ঘুমটা জাঁকিয়ে আসবে। এতে মূলত আপনার
ঘুমের ভাবটি আরো দূরে চলে যাবে। ঘুম না আসলেও
বিছানায় শুয়ে থাকলে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়বেন
এবং ঘুমিয়ে যাবেন।
৪. অফিস এবং অন্যান্য কাজ
বিছানায় শুয়ে-বসে অফিস বা অন্যান্য কাজ নিয়মিত
করতে থাকলে এক সময় আপনার মাথায়
এটা ঢুকে যাবে যে, বিছানাটি ঘুমের জন্য নয়।
হার্ভার্ডের স্লিপ মেডিসিন বিভাগের মতে,
নানা পেশায় নিযুক্ত প্রতি দশজন যারা বিছানায়
কাজ করেন, তাদের মধ্যে আটজন
ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না।
৫. লোমশ কুকুর বা বেড়লটি নিয়ে খুনসুটি
ঘুমানোর আগে পোষা বেড়াল
বা কুকুরটি নিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি করাটা ঠিক নয়।
এদের লোমে আপনার অ্যালার্জি থাকলে ঘুমের
বারোটা বাজবে। তা ছাড়া এদের
নিয়ে খেলাধুলো করলে ঘুমের নিশানা চোখ
থেকে উবে যাবে।
৬. ঘাম
বিছানাটি উষ্ণ হলে তা কিন্তু আরামদায়ক নয়।
এতে গা এলিয়ে দিলে পিঠ ঘেমে যাবে। এতে ঘুমের
ব্যাঘাত ঘটবে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ৬০ থেকে ৬৭
ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় সবচেয়ে গভীর
ঘুমের জন্য প্রয়োজন।
যদি ঘরে এসি থেকে থাকে এবং তা যদি সঠিক
তাপমাত্রায় দিতে পারেন তবে ভালো ঘুম হবে।
৭. ঝিমানো
ঘুম থেকে উঠে আবার একটু ঝিমুনোর চেষ্ট করলেন।
অ্যালার্ম দেওয়া থাকলে আরো পাঁচ মিনিটের জন্য
ঘুমানোর চেষ্টা করা ঠিক পদ্ধতি নয়। এতে র্যাপিড
আই মুভমেন্ট বা রেম (আরইএম) এর ক্ষেত্রে ব্যাপক
ব্যাঘাত ঘটে। এই অবস্থায় ঘুমানোর সময় কিন্তু
মস্তিষ্ক কাজ করতে থাকে। এতে মস্কিষ্কের
ক্ষতি হয়। কাজেই
অ্যালার্মটি আরো পিছিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে নিন। তবুও
ঝিমানোর কাজটি করবেন না। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

posted from Bloggeroid

No comments: