মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে দশম সংসদের বাজেট
অধিবেশন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীরর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটায় এ
অধিবেশন শুরু হবে। এটি বর্তমান সরকারের
প্রথম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৪তম
বাজেট।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
বৃহস্পতিবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত
বাজেট উপস্থাপন করবেন। দীর্ঘ
আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে।
সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজেট
অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য এ পর্যন্ত একটি বিল
সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়েছে।
‘দি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার
(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৪’ নামের এ
বিলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
থেকে জমা দেয়া হয়েছে।
সংসদে পাসের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৪,
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (সংশোধন)
বিল-২০১৪, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিল-২০১৪
এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড
বিল-২০১৪। এ ছাড়া সংসদে উত্থাপনের জন্য
বেশ কিছু নোটিশ ও লিখিত প্রশ্ন
জমা পড়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫
অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ
৫০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত এ বাজেট
ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছেন।
এডিপির আকার, রাজস্ব আয়, ব্যাংক ও
বিদেশি ঋণের হিসাব ধরে চূড়ান্ত হয়েছে।
বাজেটে সব মিলে আয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২
হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। ব্যয়ের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৫০
হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
ঘাটতি রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৭৭৩
কোটি টাকা। এ ঘাটতি ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক ঋণ
ও অনুদানের অর্থে মেটানোর
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)
নিয়ন্ত্রিত কর থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে এক
লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এনবিআর-
বহির্ভুত খাত থেকে আসবে পাঁচ হাজার ১৪০
কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভুত খাত
থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৬০
কোটি টাকা। আর বিদেশী ঋণ ও অনুদান
নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭০০
কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর
বাজেট ঘাটতি ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। আর
আগামী অর্থবছর ঘাটতি ধরা হয়েছে ৬৭ হাজার
৭৭৩ কোটি টাকা। জিডিপির হিসাবে এ
ঘাটতি দাঁড়াবে ৫.০৫ শতাংশ। যদিও
চলতি অর্থবছর লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ
না হওয়ায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট
করে তা নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ২৫ হাজার
কোটি টাকা।
এটার অর্জন নিয়েও সংশয়ে রয়েছে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ)
পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ৮৬ হাজার
৭০১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রাথমিক
হিসাবে আহরণ হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৩৩
কোটি টাকা।
এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত হাজার
৯৬৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
আয়করে ঘাটতি রয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৯ কোটি,
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটে দুই হাজার ১৫১
কোটি ও শুল্কে ২৩৮ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেটের আকার বড় হওয়ায়
তা বাস্তবায়ন সরকারের জন্য কঠিন হবে।
সরকার রাজস্ব প্রাপ্তির যেসব
লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তা অবাস্তব। এনবিআর
নিয়ন্ত্রিত কর এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার
বেশি আহরণ হবে না। অন্য খাত থেকে প্রাপ্তিও
গত বছরের চেয়ে খুব একটা বেশি হবে না।
এ পরিস্থিতিতে সরকারকে বাজেট বাস্তবায়ন
করতে হলে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অতিরিক্ত ঋণ
নিতে হবে। এর চাপ পড়বে মূল্যস্ফীতিতে।
তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগেও
এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার এ
ঝুঁকি না নিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির
(এডিপির) আকার কাটছাঁট করে বাজেট
সংশোধনের প্রয়োজন হবে।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, এবারও
অর্থমন্ত্রী প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাজেট
উপস্থাপন ও বক্তব্য দেবেন। বাজেট
অধিবেশনকে ঘিরে সংসদ গ্যালারির সাউন্ড
সিস্টেম ঠিক করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদকে ডিজিটাল করার অংশ
হিসেবে এর আগে এমপিদের
দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ। এবার বাজেট অধিবেশন
তারা ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেটের
মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য পাবেন।
অধিবেশন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীরর সভাপতিত্বে বিকেল পাঁচটায় এ
অধিবেশন শুরু হবে। এটি বর্তমান সরকারের
প্রথম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৪তম
বাজেট।অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
বৃহস্পতিবার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত
বাজেট উপস্থাপন করবেন। দীর্ঘ
আলোচনা শেষে আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হবে।
সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বাজেট
অধিবেশনে উত্থাপনের জন্য এ পর্যন্ত একটি বিল
সংসদ সচিবালয়ে জমা পড়েছে।
‘দি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ অর্ডার
(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৪’ নামের এ
বিলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
থেকে জমা দেয়া হয়েছে।
সংসদে পাসের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল-২০১৪,
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (সংশোধন)
বিল-২০১৪, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বিল-২০১৪
এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড
বিল-২০১৪। এ ছাড়া সংসদে উত্থাপনের জন্য
বেশ কিছু নোটিশ ও লিখিত প্রশ্ন
জমা পড়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫
অর্থবছরের বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ
৫০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত এ বাজেট
ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছেন।
এডিপির আকার, রাজস্ব আয়, ব্যাংক ও
বিদেশি ঋণের হিসাব ধরে চূড়ান্ত হয়েছে।
বাজেটে সব মিলে আয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৮২
হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। ব্যয়ের
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ৫০
হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
ঘাটতি রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৭৭৩
কোটি টাকা। এ ঘাটতি ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক ঋণ
ও অনুদানের অর্থে মেটানোর
লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)
নিয়ন্ত্রিত কর থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে এক
লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এনবিআর-
বহির্ভুত খাত থেকে আসবে পাঁচ হাজার ১৪০
কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভুত খাত
থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৬৬০
কোটি টাকা। আর বিদেশী ঋণ ও অনুদান
নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৭০০
কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর
বাজেট ঘাটতি ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। আর
আগামী অর্থবছর ঘাটতি ধরা হয়েছে ৬৭ হাজার
৭৭৩ কোটি টাকা। জিডিপির হিসাবে এ
ঘাটতি দাঁড়াবে ৫.০৫ শতাংশ। যদিও
চলতি অর্থবছর লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ
না হওয়ায় ১১ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট
করে তা নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ২৫ হাজার
কোটি টাকা।
এটার অর্জন নিয়েও সংশয়ে রয়েছে এনবিআর।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাস (জুলাই-মার্চ)
পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ৮৬ হাজার
৭০১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রাথমিক
হিসাবে আহরণ হয়েছে ৭৮ হাজার ৭৩৩
কোটি টাকা।
এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত হাজার
৯৬৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
আয়করে ঘাটতি রয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৯ কোটি,
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটে দুই হাজার ১৫১
কোটি ও শুল্কে ২৩৮ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজেটের আকার বড় হওয়ায়
তা বাস্তবায়ন সরকারের জন্য কঠিন হবে।
সরকার রাজস্ব প্রাপ্তির যেসব
লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তা অবাস্তব। এনবিআর
নিয়ন্ত্রিত কর এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার
বেশি আহরণ হবে না। অন্য খাত থেকে প্রাপ্তিও
গত বছরের চেয়ে খুব একটা বেশি হবে না।
এ পরিস্থিতিতে সরকারকে বাজেট বাস্তবায়ন
করতে হলে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অতিরিক্ত ঋণ
নিতে হবে। এর চাপ পড়বে মূল্যস্ফীতিতে।
তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগেও
এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকার এ
ঝুঁকি না নিলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির
(এডিপির) আকার কাটছাঁট করে বাজেট
সংশোধনের প্রয়োজন হবে।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, এবারও
অর্থমন্ত্রী প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাজেট
উপস্থাপন ও বক্তব্য দেবেন। বাজেট
অধিবেশনকে ঘিরে সংসদ গ্যালারির সাউন্ড
সিস্টেম ঠিক করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদকে ডিজিটাল করার অংশ
হিসেবে এর আগে এমপিদের
দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ। এবার বাজেট অধিবেশন
তারা ল্যাপটপ থেকে ইন্টারনেটের
মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য পাবেন।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment