Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Sunday, June 8, 2014

সীমান্তে পিছু হটছে মায়ানমার সেনা বাহিনী

মিয়ানমার সেনা সদস্যরা তাদের সীমান্তের
জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান প্রত্যাহার
করে পিছু হটেছে। তবে তাদের
যুদ্ধাংদেহি মনোভাব কমেনি। মিয়ানমার
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গাড পুলিশ
এখনো পর্যন্ত সীমান্তে অবস্থান
করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল অব্যাহত
রেখেছে বলে সীমান্তের বিভিন্ন
সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। মিয়ানমারের
ফকিরাবাজার, বলিবাজার ও
বুচিদং সেনা ক্যাম্পে প্রায় ৮ হাজার
সেনা সদস্য অবস্থান করছে। ওই সব ক্যাম্প
গুলোতে শতশত রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের
ব্যবহৃত মালামাল বহন সহ যেকোন
পরিস্থিতিতে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার
করার জন্য রাখা হয়েছে। এমন
পরিস্থিতিতে আগামী কাল মঙ্গলবার ১০ জুন
মিয়ানমার রাজধানী নেপিডো’তে বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমার
সীমান্তরক্ষী পুলিশ বিজিপির মহা-পরিচালক
পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত বৈঠক
১০ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত
চলবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।
তবে ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের
বিভিন্নস্থানে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলিম
ব্যবসায়ীদের দোকানপাট থেকে কোন কিছু খরিদ
না করা এবং একটি মোবাইল কোম্পানীর
কার্যক্রম স্থগিত করে রাখাইন
সম্প্রদায়েরা তাদের লোকজনদের
প্রতি যে বিধি নিষেধ আরোপ
করেছে তা নিয়ে ওই বৈঠক কতটুকু ফলপ্রসু হয়
তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়,
সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার
দৌছড়ি ইউনিয়নের পাইনছড়ির বিওপি ক্যাম্পের
নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের
নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্য নিয়মিত
টহলদানকালে বিনা উস্কানিতে মিয়ানমার
সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের লক্ষ্য
করে গুলি করলে ঘটনাস্থলে নায়েক মিজানুর
রহমানের মৃত্যু হয়। এসময়
বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ
করে নিহত বিজিবি’র লাশ ও তার অস্ত্র
গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয়
সীমান্তে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরে নিহত মিজানের লাশ বিজিবি’র হাতের
হস্তান্তর করলেও লুন্টিত অস্ত্র ফেরত
না দেওয়ায় বিজিবি’র পক্ষ
থেকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়। গত
৫ জুন বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মংডু
শহরে বিজিপি ও বিজিবি’র উচ্চ পর্যায়ের
কর্মকর্তাদের নিয়ে এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়। উক্ত বৈঠকে বিজিবি’র লুন্টিত অস্ত্র ও
গোলাবারুদ ফেরত
দিয়ে বিজিপি সীমান্তেশক্তিবৃদ্ধি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে মিয়ানমার সরকার পুরো সীমান্ত
এলাকা জুড়ে বিজিপি’র পাশাপাশি প্রায় ২০
হাজারের অধিক সেনা সদস্য মোতায়েন করে।
মিয়ানমার যুদ্ধাংদেহি মনোভাব
নিয়ে পুরো সীমান্ত এলাকায় বাংকার নির্মাণ
করে রণ প্রস্তুতি নেয় বলে জানা গেছে। বর্ডার
গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মহা-পরিচালক
আজিজ আহমদ মিয়ানমার চুক্তি লঙ্গণের
চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পাল্টা জবাব
দিতে প্রস্তুত রয়েছে ঘোষনা দেওয়ায়
বিজিবি সদস্যরা ও মনোবল
শক্তিবৃদ্ধি করে সীমান্ত এলাকায় কঠোর
নজরদারী রেখে অবস্থান নেয়।
বিজিবি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন
পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের
নিরাপত্তার
তাগিদে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব
ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। মিয়ানমারের
ওপার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রোববার
থেকে সেদেশের সেনা সদস্যরা জিরো পয়েন্ট
এলাকা ছেড়ে দুরবর্তি স্থানে অবস্থান নিলেও
মিয়ানমার বর্ডার গাড পুলিশ সীমান্তের
অভ্যন্তরে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল জোরদার
রেখেছে। এক পর্যায়ে মিয়ানমার সীমান্ত
এলাকা জুড়ে বিজিপি সন্ধ্যা আইন
জারী করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের চলাচলের
উপর কড়াকড়ি আরোপ করে।
সন্ধ্যার পর থেকে কোন লোকজনদের
বাড়ী থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ থাকায়
রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ-
উৎকন্ঠা। ঢাকাস্থ বিজিবি’র হেড
কোর্য়াটারের গণসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন
রেজা জানান, বিজিবি ও বিজিপি’র
মহাপরিচালক
পর্যায়ে মিয়ানমারে ন্যাপিডোতে এক বৈঠক
হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত বৈঠক ১০জুন থেকে শুরু
হয়ে ১৩জুন পর্যন্ত চলবে। ১৭ বিজিবি’র
অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম
বলেন, সীমান্ত
পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।
একই ভাবে ৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল
শফিকুর রহমান জানান, পরিস্থিতি শান্ত
হয়ে উঠতে শুরু করায় সীমান্ত এলাকায়
বসবাসকারী লোকজনের মাঝে আতংকের রেশ একটু
কমেছে।


Posted via BN24Hour

No comments: