মজা করেই বাংলাদেশি তিন তরুণ ফেসবুকে ইভেন্ট
খুলেছিলেন ‘উই আর ক্রেজি ফ্যানস অব হন্ডুরাস
ফুটবল টিম ফ্রম বাংলাদেশ৷’ এরপর ঘটে গেল কত
মজাদার কাণ্ড! তা নিয়েই এই ফিচার৷
রুয়েটের এই তিন শিক্ষার্থীর হাতেই
গড়ে ওঠে এই ইভেন্ট
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা ফ্রান্স, জার্মানি—
পছন্দের দলগুলোর সমর্থনে এখন
চলছে রীতিমতো তর্ক-বিতর্ক। আর
এদিকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর
মধ্যে তলানিতে পড়ে থাকা হন্ডুরাস দলকে সমর্থন
দিয়ে রীতিমতো ইতিহাস করে ফেলেছেন
বাংলাদেশি কয়েকজন তরুণ।
ঘটনাটি খোলাসা করেই বলি, নিতান্ত মজা করেই
হন্ডুরাস দলের সমর্থনে ‘উই আর ক্রেজি ফ্যানস অব
হন্ডুরাস ফুটবল টিম ফ্রম বাংলাদেশ’
নামে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেছিলেন
বাংলাদেশি তিন তরুণ। এঁরা হলেন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(রুয়েট) তিন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, ফয়সাল
আহমেদ ও সাব্বির আহমেদ। দিন গড়াতেই সেই
ইভেন্টে সমর্থন দিতে যোগ দেন অনেকেই। এত দল
থাকতে হন্ডুরাস কেন? জানাচ্ছিলেন আশিকুর
রহমান, ‘বড় দলগুলোর সমর্থন
নিয়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, কখনো নষ্ট
হয় বন্ধুত্বও। সেই ভাবনা থেকেই
একটি অগুরুত্বপূর্ণ দলকে সমর্থন করি আমরা,
যাকে নিয়ে বিতর্ক হবে না।’
.
ঘটনা কিন্তু এই পর্যন্তই নয়।
পরবর্তী সময়ে সাতপাঁচ
না ভেবে খোলা ইভেন্টটি নজরে আসে হন্ডুরাসের
শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকার।
হন্ডুরাসের প্রতি বাংলাদেশি তরুণদের
ভালোবাসার খবর প্রকাশ হয় সেই পত্রিকায়। আর
তাতেই ইভেন্টটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন
হন্ডুরাসের তরুণেরা। আর অচেনা ভক্তদের এমন
ভালোবাসার খবর পৌঁছে যায় হন্ডুরাস
ফুটবলারদের কানেও। শুরু হয়ে যায় অন্য এক
গল্পের। সে গল্প ফুটবল ছাড়িয়ে চলে যায় অন্য
দুনিয়ায়। সে দুনিয়া বন্ধুত্বের। দুই দেশের
তরুণেরা তুলে ধরতে থাকেন নিজ দেশের সংস্কৃতি,
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বিখ্যাত মানুষগুলোকে। আর
ভাষার দূরত্ব ঘোচাতে অনেকে গুগলে অনুবাদ
করে পোস্টগুলো করছেন দুই দেশের মাতৃভাষায়।
সে গল্পের কিছুটা আঁচ করা যায় সাব্বির আহমেদের
মন্তব্যে, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের
যে সম্পর্কটা তৈরি হলো,
সেটাকে আমরা দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে চাই।
একসময় হয়তো বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু
আমাদের হৃদ্যতার সম্পর্ক থেকে যাবে। এটাই
ইভেন্টের বড় পাওয়া।’ আবার ইভেন্টে যোগ
দিয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ঘোরতর সমর্থকও
যেন প্রেমে পড়ে যান হন্ডুরাসের।
যেমনটি বাংলাদেশের সাদিয়া সাবরিনা, ‘এমন
নয় যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন ছেড়ে দেব।
কিন্তু আমাদের প্রতি হন্ডুরাসদের
ভালোবাসা দেখে মনেপ্রাণে তাঁদের জয়
চাওয়া কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে!’ আর
বাংলাদেশি তরুণদের এমন ভালোবাসায়
রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হন্ডুরাসের তরুণেরাও।
হন্ডুরাসের
নরমা মন্টেনেগরো যেমনটি লিখেছেন, ‘প্রিয়
বাংলাদেশি বন্ধুরা, আপনাদের ভালোবাসায়
আমরা পুলকিত!
আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে একদিন যাবই।’
এই ইভেন্ট থেকে হন্ডুরাসকে সমর্থন
জানাতে করা হচ্ছে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও
ক্লিপস। আর যা সম্পাদনা করে দেওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে ছবিয়াল। বর্তমানে প্রায় ৩০
হাজার জন যুক্ত হয়েছেন এই ইভেন্টে। ইভেন্ট ঢঁু
মারা যাবে এই লিংকে গিয়ে— (fb.com/
events/326137370870354)।
খুলেছিলেন ‘উই আর ক্রেজি ফ্যানস অব হন্ডুরাস
ফুটবল টিম ফ্রম বাংলাদেশ৷’ এরপর ঘটে গেল কত
মজাদার কাণ্ড! তা নিয়েই এই ফিচার৷
রুয়েটের এই তিন শিক্ষার্থীর হাতেই
গড়ে ওঠে এই ইভেন্ট
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা ফ্রান্স, জার্মানি—
পছন্দের দলগুলোর সমর্থনে এখন
চলছে রীতিমতো তর্ক-বিতর্ক। আর
এদিকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর
মধ্যে তলানিতে পড়ে থাকা হন্ডুরাস দলকে সমর্থন
দিয়ে রীতিমতো ইতিহাস করে ফেলেছেন
বাংলাদেশি কয়েকজন তরুণ।
ঘটনাটি খোলাসা করেই বলি, নিতান্ত মজা করেই
হন্ডুরাস দলের সমর্থনে ‘উই আর ক্রেজি ফ্যানস অব
হন্ডুরাস ফুটবল টিম ফ্রম বাংলাদেশ’
নামে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেছিলেন
বাংলাদেশি তিন তরুণ। এঁরা হলেন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(রুয়েট) তিন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, ফয়সাল
আহমেদ ও সাব্বির আহমেদ। দিন গড়াতেই সেই
ইভেন্টে সমর্থন দিতে যোগ দেন অনেকেই। এত দল
থাকতে হন্ডুরাস কেন? জানাচ্ছিলেন আশিকুর
রহমান, ‘বড় দলগুলোর সমর্থন
নিয়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, কখনো নষ্ট
হয় বন্ধুত্বও। সেই ভাবনা থেকেই
একটি অগুরুত্বপূর্ণ দলকে সমর্থন করি আমরা,
যাকে নিয়ে বিতর্ক হবে না।’
.
ঘটনা কিন্তু এই পর্যন্তই নয়।
পরবর্তী সময়ে সাতপাঁচ
না ভেবে খোলা ইভেন্টটি নজরে আসে হন্ডুরাসের
শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকার।
হন্ডুরাসের প্রতি বাংলাদেশি তরুণদের
ভালোবাসার খবর প্রকাশ হয় সেই পত্রিকায়। আর
তাতেই ইভেন্টটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন
হন্ডুরাসের তরুণেরা। আর অচেনা ভক্তদের এমন
ভালোবাসার খবর পৌঁছে যায় হন্ডুরাস
ফুটবলারদের কানেও। শুরু হয়ে যায় অন্য এক
গল্পের। সে গল্প ফুটবল ছাড়িয়ে চলে যায় অন্য
দুনিয়ায়। সে দুনিয়া বন্ধুত্বের। দুই দেশের
তরুণেরা তুলে ধরতে থাকেন নিজ দেশের সংস্কৃতি,
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বিখ্যাত মানুষগুলোকে। আর
ভাষার দূরত্ব ঘোচাতে অনেকে গুগলে অনুবাদ
করে পোস্টগুলো করছেন দুই দেশের মাতৃভাষায়।
সে গল্পের কিছুটা আঁচ করা যায় সাব্বির আহমেদের
মন্তব্যে, ‘ওদের সঙ্গে আমাদের
যে সম্পর্কটা তৈরি হলো,
সেটাকে আমরা দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে চাই।
একসময় হয়তো বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু
আমাদের হৃদ্যতার সম্পর্ক থেকে যাবে। এটাই
ইভেন্টের বড় পাওয়া।’ আবার ইভেন্টে যোগ
দিয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ঘোরতর সমর্থকও
যেন প্রেমে পড়ে যান হন্ডুরাসের।
যেমনটি বাংলাদেশের সাদিয়া সাবরিনা, ‘এমন
নয় যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন ছেড়ে দেব।
কিন্তু আমাদের প্রতি হন্ডুরাসদের
ভালোবাসা দেখে মনেপ্রাণে তাঁদের জয়
চাওয়া কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে!’ আর
বাংলাদেশি তরুণদের এমন ভালোবাসায়
রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হন্ডুরাসের তরুণেরাও।
হন্ডুরাসের
নরমা মন্টেনেগরো যেমনটি লিখেছেন, ‘প্রিয়
বাংলাদেশি বন্ধুরা, আপনাদের ভালোবাসায়
আমরা পুলকিত!
আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে একদিন যাবই।’
এই ইভেন্ট থেকে হন্ডুরাসকে সমর্থন
জানাতে করা হচ্ছে ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও
ক্লিপস। আর যা সম্পাদনা করে দেওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে ছবিয়াল। বর্তমানে প্রায় ৩০
হাজার জন যুক্ত হয়েছেন এই ইভেন্টে। ইভেন্ট ঢঁু
মারা যাবে এই লিংকে গিয়ে— (fb.com/
events/326137370870354)।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment