এই হাত টানাটানির
যুগে মার্কিন
মুলুকে একেবারে উলটপূরাণ। না,
ঠিক উলটপূরাণ নয়, সোনা পূরাণ
বলা চলে। একটা ছোট সোনার
চেন গড়াতে গেলে যখন
গালে হাত দিয়ে জুলুজুল
চোখে মধ্যবিত্ত বাঙালি খবরের
কাগজের পাতায় দাম খোঁজে।
তখন পশ্চিম আমেরিকার
মনটোনা প্রদেশের হোয়াইট
হলের কিছু ঘরে কল খুললেই
জলের
সঙ্গে বেরিয়ে আসছে সোনার
টুকরো।
কল খুললেই জলের
সঙ্গে ঝরে পড়ছে কুচি কুচি সোনা
আর সোনার কুচির আভায়
সে জলের রঙই আলাদা রকম।
বাসন ধোয়ার সময়
অনেকে দেখতে পাচ্ছেন,
সাদা প্লেটের মধ্যে বিন্দু
বিন্দু সোনার কুচি।
মনটোনা প্রদেশের এক
বাসিন্দা ফেসবুকে জানালেন, আজ
সকালেই তিনি এক
বালতি জলে অনেকটা সোনা পেয়
সবার আগে নাকি এক
ভদ্রমহিলা প্রথম বার আবিষ্কার
করেন কলের জল
থেকে সোনা বের হচ্ছে।
তা তিনি প্রথমে হয়তো ভেবেছি
নিজের সোনার হারটাই
হয়তো ছিঁড়ে গেছে।
এ টুকু পড়ে নিশ্চয় গদগদ
মুখে হাসছেন, ভাবছেন ইস
আমাদের এমন কেন হয় না! কিন্তু
মার্কিনিরা বড্ড বাস্তববাদী।
খাবার আগেই পেট খারাপের
কথা ভাবে। তাই কলের
জলে সোনা বেরোনোর
আনন্দে নাচানাচি না করে তাঁর
প্রকাশ করছেন।
তুলসি চক্রবর্তীর পরশপাথর
থেকে শিক্ষা নিয়ে সোনায়
অরুচি এসে ওইসব
মার্কিনারা বলছেন,
জলে সোনা বেরোচ্ছে মানে এটা খেলে
অসুখ হবে। তাঁদের আশঙ্কা, জলের
সঙ্গে মিশে থাকতে পারে আরও
বিষাক্ত
কিছু। তাঁদের বক্তব্য,
সোনা ভারী ধাতু। তাই
চোখে দেখা যাচ্ছে।
তাহলে খালি চোখে দেখা যায়
না এমন বিষাক্ত কিছুও
তো জলে মিশে থাকতে পারে।
তাই প্রতিবাদ চলছে, ক্ষোভও
হচ্ছে। তাঁদের
কথা শুনে মনে হচ্ছে জল হল পান
করে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য,
সোনা তো জুয়েলারি শপে গিয়ে ক
আসলে ঘটনা হল যেসব বাড়ির
কল থেকে সোনার
টুকরো বেরোচ্ছে তার
কিছুটা দূরেই একটা সোনার
খনি আছে, কোনওভাবে সোনার
খনি থেকে বর্জ্য
পদার্থগুলো বেরিয়ো জলের
সঙ্গে মিশছে। তাই ক্ষোভ
হচ্ছে মার্কিন মুলুকে।
তবে কী, আমাদের
দেশে হলে এতক্ষণ ওইসব
বাড়িগুলোতে প্রোমোটাররা নিশ্চ
হানা দিতেন। আর
বিজ্ঞাপনে লিখতেন
ফ্ল্যাটে থাকি, সোনাতেও রাখি।
কিংবা আপনার সাধ্যের
মধ্যে স্বাদপূরণের
ফ্ল্যাটে জলের
সঙ্গে সোনা ফ্রি।
আর হ্যাঁ, এই খবরে একজনের
কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে।
তিনি হলেন উন্নাওয়ের সাধু
শোভন সরকার। ওই যে ক দিন
আগে যে বাবা সুশোভেনের স্বপ্ন
গোটা দেশ একেবারে টিভির
সামনে হাঁ করে চেয়ে বসেছিল
এই বোধহয় সোনা বেরোবে, এই
বোধহয় সোনা বেরোবো... দেশের
সরকারও ভেবেছিল বাবার
সোনার স্বপ্নে দেশের
অর্থনীতিই বদলে যাবে।
বাবা নিশ্চই এই খবর
শুনে নিচের গুহার কল
খুলে সোনার অপেক্ষায় থাকবেন।
তা ব্যাপারটা এভাবেও
লেখা যেত। সোনার দেশে ফের
সোনার খোঁজ। কিন্তু কী কোনও
কোনও খবর
থাকে যেগুলো বাঙালির
চশমা দিয়ে দেখলে একটু মজার
লাগে, তাই ব্রেকিং নিউজটাই
একটু হালকা চালে বলা।
তাতে কিন্তু
খবরটা মিথ্যা বলা নয়--
প্রমাণটা নিচেই রাখলাম...
(খবরটা আমেরিকার সব বড়
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে)।
(মেট্রো ডট
ইউকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
খবরের
ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লিখেছে
পার্থ প্রতিম চন্দ্র।)
এই সেই সোনা বেরোনর কল-
ছবিতে
যুগে মার্কিন
মুলুকে একেবারে উলটপূরাণ। না,
ঠিক উলটপূরাণ নয়, সোনা পূরাণ
বলা চলে। একটা ছোট সোনার
চেন গড়াতে গেলে যখন
গালে হাত দিয়ে জুলুজুল
চোখে মধ্যবিত্ত বাঙালি খবরের
কাগজের পাতায় দাম খোঁজে।
তখন পশ্চিম আমেরিকার
মনটোনা প্রদেশের হোয়াইট
হলের কিছু ঘরে কল খুললেই
জলের
সঙ্গে বেরিয়ে আসছে সোনার
টুকরো।
কল খুললেই জলের
সঙ্গে ঝরে পড়ছে কুচি কুচি সোনা
আর সোনার কুচির আভায়
সে জলের রঙই আলাদা রকম।
বাসন ধোয়ার সময়
অনেকে দেখতে পাচ্ছেন,
সাদা প্লেটের মধ্যে বিন্দু
বিন্দু সোনার কুচি।
মনটোনা প্রদেশের এক
বাসিন্দা ফেসবুকে জানালেন, আজ
সকালেই তিনি এক
বালতি জলে অনেকটা সোনা পেয়
সবার আগে নাকি এক
ভদ্রমহিলা প্রথম বার আবিষ্কার
করেন কলের জল
থেকে সোনা বের হচ্ছে।
তা তিনি প্রথমে হয়তো ভেবেছি
নিজের সোনার হারটাই
হয়তো ছিঁড়ে গেছে।
এ টুকু পড়ে নিশ্চয় গদগদ
মুখে হাসছেন, ভাবছেন ইস
আমাদের এমন কেন হয় না! কিন্তু
মার্কিনিরা বড্ড বাস্তববাদী।
খাবার আগেই পেট খারাপের
কথা ভাবে। তাই কলের
জলে সোনা বেরোনোর
আনন্দে নাচানাচি না করে তাঁর
প্রকাশ করছেন।
তুলসি চক্রবর্তীর পরশপাথর
থেকে শিক্ষা নিয়ে সোনায়
অরুচি এসে ওইসব
মার্কিনারা বলছেন,
জলে সোনা বেরোচ্ছে মানে এটা খেলে
অসুখ হবে। তাঁদের আশঙ্কা, জলের
সঙ্গে মিশে থাকতে পারে আরও
বিষাক্ত
কিছু। তাঁদের বক্তব্য,
সোনা ভারী ধাতু। তাই
চোখে দেখা যাচ্ছে।
তাহলে খালি চোখে দেখা যায়
না এমন বিষাক্ত কিছুও
তো জলে মিশে থাকতে পারে।
তাই প্রতিবাদ চলছে, ক্ষোভও
হচ্ছে। তাঁদের
কথা শুনে মনে হচ্ছে জল হল পান
করে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য,
সোনা তো জুয়েলারি শপে গিয়ে ক
আসলে ঘটনা হল যেসব বাড়ির
কল থেকে সোনার
টুকরো বেরোচ্ছে তার
কিছুটা দূরেই একটা সোনার
খনি আছে, কোনওভাবে সোনার
খনি থেকে বর্জ্য
পদার্থগুলো বেরিয়ো জলের
সঙ্গে মিশছে। তাই ক্ষোভ
হচ্ছে মার্কিন মুলুকে।
তবে কী, আমাদের
দেশে হলে এতক্ষণ ওইসব
বাড়িগুলোতে প্রোমোটাররা নিশ্চ
হানা দিতেন। আর
বিজ্ঞাপনে লিখতেন
ফ্ল্যাটে থাকি, সোনাতেও রাখি।
কিংবা আপনার সাধ্যের
মধ্যে স্বাদপূরণের
ফ্ল্যাটে জলের
সঙ্গে সোনা ফ্রি।
আর হ্যাঁ, এই খবরে একজনের
কথা ভেবে খুব খারাপ লাগছে।
তিনি হলেন উন্নাওয়ের সাধু
শোভন সরকার। ওই যে ক দিন
আগে যে বাবা সুশোভেনের স্বপ্ন
গোটা দেশ একেবারে টিভির
সামনে হাঁ করে চেয়ে বসেছিল
এই বোধহয় সোনা বেরোবে, এই
বোধহয় সোনা বেরোবো... দেশের
সরকারও ভেবেছিল বাবার
সোনার স্বপ্নে দেশের
অর্থনীতিই বদলে যাবে।
বাবা নিশ্চই এই খবর
শুনে নিচের গুহার কল
খুলে সোনার অপেক্ষায় থাকবেন।
তা ব্যাপারটা এভাবেও
লেখা যেত। সোনার দেশে ফের
সোনার খোঁজ। কিন্তু কী কোনও
কোনও খবর
থাকে যেগুলো বাঙালির
চশমা দিয়ে দেখলে একটু মজার
লাগে, তাই ব্রেকিং নিউজটাই
একটু হালকা চালে বলা।
তাতে কিন্তু
খবরটা মিথ্যা বলা নয়--
প্রমাণটা নিচেই রাখলাম...
(খবরটা আমেরিকার সব বড়
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে)।
(মেট্রো ডট
ইউকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
খবরের
ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি লিখেছে
পার্থ প্রতিম চন্দ্র।)
এই সেই সোনা বেরোনর কল-
ছবিতে
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment