কেশবপুরে বিয়ের ১৫ বছর পর স্বামী লোকমান
হোসেনকে (৪৫) হিজড়া সাব্যস্ত করে থানায়
সোপর্দ করেছে স্ত্রী নাজমা বেগম।
হিজড়া হয়েও বিয়ে করে ঘর সংসার করার
প্রতারণার অভিযোগে কেশবপুর থানায়
মামলা করায় পুলিশ হিজড়া স্বামীকে রোববার
থানায় আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
মামলার আসামি হিসেবে আগামীকাল সোমবার
তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ
করা হবে বলে থানা সূত্র জানায়।
থানা পুলিশ জানায়, ১৯৯৯
সালে যশোরে আদালতে কেশবপুর উপজেলার
কানাইডাঙ্গা গ্রামের আলী মোল্যার
মেয়ে নাজমার সাথে পাইকগাছা উপজেলার
মালতে গ্রামের কাশেম মোড়লের ছেলে লোকমান
হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের
আগে তারা ইটভাটায় একইসাথে কাজ করছিলেন।
বিয়ের পর লোকমান তার স্ত্রী নাজমাকে ধর্মীয়
গ্রন্থ ছুইয়ে শপথ করে জানান, তিনি হিজড়া।
তবে একথা কাউকে না বলার জন্য তাকে শপথ
করান। সে মোতাবেক সব কিছু গোপন
রেখে সংসার করে আসতে থাকেন
স্ত্রী নাজমা বেগম।
এরই মধ্যে লোকমান হোসেন তার পৈর্তৃক
সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুর
আলী মোল্যাকে মাছের ঘের করার জন্য কয়েক
কিস্তিতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ধার
হিসেবে দেন। গত ২৮
মে তারা শ্বশুরবাড়ি কানাইডাঙ্গা গ্রামে আসেন।
শ্বশুর আলী মোল্যার কাছ পাওনা টাকা ফেরৎ
চাইলে শ্বশুর
টাকা দেয়া না দিয়ে উল্টা রোববার
সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ এলাকবাসীর
উপস্থিতিতে মেয়ে নাজমাকে দিয়ে তার
স্বামী লোকমান হোসেনের পুরুষ
পরিচয়ে বিয়ে করার ঘটনা ফাঁস করে দেয়াসহ
কেশবপুর থানায় সোপর্দ করেন।
সূত্র জানায়, স্ত্রীর সম্মতিতে স্বামী কাঠ
দিয়ে একটি লিঙ্গ তৈরি করেছে সেই প্রথম
থেকে। এ ঘটনায় প্রতারণার অভিযোগে থানায়
মামলা করেছেন নাজমার পিতা আলী মোল্যা।
যার মামলা নং ২ তাং-০১/০৬/১৪। এ
ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল
সাংবাদিকদের জানান, আটক লোকমান হোসেন
(হিজড়া)। তিনি তার বাড়ি এলাকায়
রোকেয়া নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে থানায়
নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং প্রতারিত
স্ত্রী নাজমাকে তার পিতার
হেফাযতে দেয়া হয়েছে।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment