Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Thursday, July 24, 2014

ভাগ্যবান তারা যারা লাইলাতুল কদর প্রাপ্ত

ইসলাম ডেস্ক : লাইলাতুল কদর এর অর্থ অতিশয়
সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত অথবা পবিত্র রজনী।এই
রাত্রিতে আল্লাহ সম্মনীত কোরআনকে সপ্তম আসমান
থেকে চতুর্থ আসমানে নাজিল করেছেন। এই ঘন অন্ধকার
রাত্রিটি শবে বরাতের মত আলো ঝলমলে নিদৃষ্ট কোন
রাত্রি নয়। এই রাত্রটিকে রমজানের শেষ ১০ দিনে বেজোর
রাত্রি খুজে নিতে হয়। এটা সকলেই জানেন। কিন্তু
আমরা মুসলমান জাতি কত হতভাগা আলেম সমাজের জন্য
আমরা এই রাত্রির ফজিলত থেকে বিচুত্য হয়ে যাচ্ছি।
জানিনা কাদের ভাগ্যে আছে এই রাত্রি। রাছুল সা. প্রস্থান
হয়েছেন কত বৎসর হয়ে গেল আজও এক আসমানের খবর
পাওয়া হলো না? কোটি কোটি মানুষ মরে গেল ইবাদত
করেই চলছে আসমানের খবর নিতে চেষ্টা করেন না। হযরত
আলী আ. তিঁনার নাহজুল বালাগ কিতাবে লিখেছেন
‘আমি তোমাদের সামনে থাকতে থাকতে প্রশ্ন
করে জেনে নাও; আমি জমীন থেকে আসমানের খবর
বেশী রাখি।’ এই চিন্তা চেতনা থেকেই এ বিষয়ে লেখার
চেষ্টা। মানুষের মনে যদি আমার মত চেতনার উদয় হয়
কোনটা সঠিক বা কি সঠিক?
আল্লাহর পবিত্র কোরআন অনুযায়ী রমজান মাস একই
সাথে শুরু হয়। কিন্তু চাঁদ যেহেতু দিন সময় নির্ধারনের জন্য।
চাঁদের উদয় উপস্থিতির জন্য বিভিন্ন দেশে কিছু সময়
আগে পরে রোজা শুরু হয়।এটাতে দ্বিমত করার উপায় নাই
এটা হবেই। যে দেশের সাথে আমাদের দিন তারিখের মিল
আছে তাদের সাথে আমাদের দ্বিমত হওয়ার সুযোগ নাই।
এবং বাংলাদেশের সাথে তো নাই-ই। ভিন্ন দেশের কথা বাদ
দিয়ে যদি নিজের দেশেই খেয়াল
করি তাহলে দেখতে পাবো কিছু কিছু মানুষ একদিন
আগে থেকে রোজা শুরু করে সেমতে তাদের কদরের
রাত্রিটিও একদিন আগে সংঘটিত হয়। আর
যারা আমরা একদিন পর থেকে রোযা শুরু করেছি আমাদের
কদরও একদিন পরই হচ্ছে। পর পর দুইদিন আমাদের
দেশে কদর পালিত হচ্ছে। পরপর দুইদিন তো বেজোড়
রাত্রি হতে পারে না। কথা হচ্ছে যেকোন এক দল এই
পবিত্র রাত্রির ফজিলত পায় অন্য দলের ইবাদত
বিফলে যাচ্ছে। যেহেতু কদরের উদেশ্য করেই পালন
করা হচ্ছে ইবাদত; এমনকি এতেকাফ পালন করে ঘর
ছেরে বাইরে থেকে যে ত্যাগ করছেন সেটাও বিফল।
যারা কদরের উদেশ্য করে ইবাদত করে তা সঠিক হয়
না তারা তো ‘কুলুর বলদ’ (সাড়াদিন কাজ
করে মায়না না পাওয়ার মত) ব্যতীত অন্য কিছুই নয়! পবিত্র
কোরআনের একটি আয়াত এখানে উল্লেখ করতে চাই
সূরা বাকারা
২:১৮৯# ‘তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের
বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ
এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম।’
উক্ত আয়াতটিতে আল্লাহ চাঁদ দেখে দিন নির্ধারন করার
নির্দেশ দিলেও বছরে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন
ব্যতীত সাড়া বছর কি আমরা আল্লাহর এই কথা মানি?
মানি না। সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকি।
যারা বাংলাদেশে অবস্থান করেও ভিন্ন দেশের রীতি রেওয়াজ
মেনেও তাদের সাথে রোযা ঈদ পালন করেন তাদের
কি এটা চিন্তায় আসে না। শুধু রোযা একসাথে করলেই
মুসলমানের করণীয় সব হক আদায় হবে? এমনকি আমার
পাড়া পর্শির হক নষ্ট করি খুশি নষ্ট
করি যে পাড়াপর্শি তাদের যানাজা না পড়ে মাটি না দিলে লাশ
পরে থাকবে। কিভাবে তাদের বঞ্চিত করি। তাদের জন্য
একটা অসিয়ত রেখে যাওয়া জরুরী। তারা যদি অসুস্থ হয়
বা মারা যায় তাহলে যেন তাদের কওমের মানুষ এসে তাদের
দাফহ করেন। তারা খুশি পালন করবে ভিন্ন স্বজনদের
সাথে আর তাদের দু:খের বোঝা বহন
করবে পাড়াপর্শি এটাতে তো ভিন্নস্বজনের
সাথে খুশী পালনকারীরা ঋনী হয়েই যাবেন। কাজেই সময়
থাকতে চিন্তা করে বিচক্ষনতার পরিচয় দিন।

posted from Bloggeroid

No comments: