Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Showing posts with label islam. Show all posts
Showing posts with label islam. Show all posts

Monday, August 18, 2014

কিয়ামতের দিন যাদের জন্য সুপারিশ করবেন নবীজী (সা.)

ক্ষণস্থায়ী এ দুনিয়ায় মানুষ কত কিছুই
না করছেন। আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ অমান্য
করে বিপথগামী হচ্ছেন। এটা সন্দেহাতীত
যে, মৃত্যুপরবর্তী রোজ কিয়ামতে হাশরের
ময়দানে শুধু হযরত ইব্রাহিম (রা.) ব্যতীত
প্রতিটি মানুষকে খালি পাও, উলঙ্গ দেহ
এবং খাতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত
করা হবে এবং বেহেশত ও দোযখের চূড়ান্ত
ফায়সালা হবে।
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন,
আমি এক দাওয়াতে নবী করীম (সা.)-এর
সাথে ছিলাম। তিনি এরশাদ করেন,
আমি কিয়ামতের দিন সকলের সর্দার হব।
সে কঠিন দিনে কষ্ট সাইতে না পেরে মানুষ
অস্থির হয়ে যাবে এবং কার দ্বারা সুপারিশ
করলে আল্লাহ্ কবুল করবেন সে রূপ লোক
তালাশ করতে থাকবে।
অতপর অন্যান্য নবীগণের নিকট হতে ব্যর্থ
হয়ে সর্বশেষে সমস্ত লোক হুজুর (সা.)-এর
কাছে এসে বলবে আপনি সর্বশেষ ও
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের কষ্ট
তো আপনি দেখেছেন, এখন
দরবারে এলাহীতে আমাদেও জন্য সুপারিশ
করুন যাতে আমাদেরকে পরিত্রাণ দেয়া হয়।
নবীজী (সা.) বলেন, আমি তখন আল্লাহ্র
আরশের নিচে এসে সিজদায়
পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। অতপর
আল্লাহ্ও তরফ থেকে বলা হবে,
আপনি মাথা উঠান এবং ফরিয়াদ পেশ করুন।
আপনার ফরিয়াদ কবুল করা হবে।
হুজুর (সা.) তখন মাথা উঠাবেন এবং বলবেন,
হে প্রভু! তুমি আমার উম্মতগণকে ক্ষমা কর।
আল্লাহ্ তায়ালা বলবেন, হে আমার প্রিয়
নবী! আমার বেগোনাহ
বান্দাদেরকে বেহেশতের ডান দিকের
দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। এতদ্ব্যতীত অন্য
দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে ঢুকাতে পারেন।
সে বিচারে একমাত্র যিনি সুপারিশ
করতে পারবেন তিনি আমাদের প্রিয়
নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)।
হযরত আউফ বি মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত
রয়েছে, নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘আমার কাছে আল¬াহ্ তা’য়ালার
কাছে থেকে এক দূত এসে জানালেন যে,
আল¬াহ্ তা’য়ালা আমাকে দুটি প্রস্তাব
দিয়ে পাঠিয়েছেন। এ দুটির
মধ্যে থেকে যেকোনো একটি গ্রহণ
করতে হবে। প্রস্তাব দুটি হলো আমার অর্ধেক
উম্মতকে বিনা হিসেবে বেহেশতে দেয়া হবে
জন্য আমার ইচ্ছেমত সুপারিশ করতে পারব।
আমি সুপারিশ করার ক্ষমতাটাকেই গ্রহণ
করেছি। কাজেই অমি মুশরিক ব্যতীত সকলের
জন্য শাফায়াত করব।
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন যে,
নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন, আল¬াহ্
তা’য়ালা সকল নবীগণকেই একটি বিশেষ
ক্ষামতা দিয়েছেন। তা এটাই যে, তাঁদের
একটি দোয়া অবশ্যই কবুল করা হবে। সকল
নবীই প্রয়োজন মোতাবেক এক একটি জিনিস
চেয়ে নিয়েছেন এবং তারা সকলেই পার্থিব
জিনিস চেয়েছেন। কিন্তু আমাদের
নবীজী এরশাদ করেছেন, ‘আমি এ সুযোগ
পৃথিবীতে গ্রহণ করিনি। রোজ
হাশরে আমি আমার প্রাপ্য আদায় করব
এবং তা হবে আমার উম্মতের নাজাতের জন্য
সুপারিশ করা।’
১। হাশরের ময়দানে মানুষ অতিষ্ঠ
হয়ে অতি শিগগিরই হিসাব-নিকাশের কাজ
শুরু করার জন্য সকল নবীগণের
কাছে যেতে শুরু করবে। কিন্তু সকলেই
অপরাগতা প্রকাশ করার পর বিশ্বনবী হযরত
মুহাম্মদ (সা.) কাছে উপস্থিত
হবে এবং তিনি পৃথিবীর সমস্ত মানবজাতির
জন্য সুপারিশ করবেন।
২। দ্বিতীয় সুপারিশ হবে প্রথম দরজার
মু’মিনগণকে হিসাব-নিকাশ ছাড়াই
বেহেশতে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য।
এটাও শেষ নবীই (সা.) করবেন।
৩। তৃতীয় সুপারিশ হবে যারা স্বীয়
অপকর্মের জন্য জাহান্নামে যাওয়ার উপযুক্ত
হয়ে পড়েছে তাদেরকে ক্ষামা করে দেয়ার
জন্য। এ সুপারিশ নবীজী করবেন। এতদ্ব্যতীত
ওলামা, শুহাদা এবং অন্যান্য মু’মুমিনগণও
করবেন।
৪। চতুর্থ সুপারিশ হবে ঐ সকল
গোনাহগারদের জন্য
যাদেরকে জাহান্নামে দাখিল
করা হয়েছে তাদেরকে জাহান্নামের আগুন
থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য আরজ পেশ করা হবে।
আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং ফেরেশতাগণ এজন্য
সুপারিশ করবেন।
৫। পঞ্চম সুপারিশ
করা হবে যাদেরকে বেহেশতে দাখিল
করা হয়েছে তাদের মর্যাদা আরও
বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।

posted from Bloggeroid

Thursday, July 24, 2014

ভাগ্যবান তারা যারা লাইলাতুল কদর প্রাপ্ত

ইসলাম ডেস্ক : লাইলাতুল কদর এর অর্থ অতিশয়
সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত অথবা পবিত্র রজনী।এই
রাত্রিতে আল্লাহ সম্মনীত কোরআনকে সপ্তম আসমান
থেকে চতুর্থ আসমানে নাজিল করেছেন। এই ঘন অন্ধকার
রাত্রিটি শবে বরাতের মত আলো ঝলমলে নিদৃষ্ট কোন
রাত্রি নয়। এই রাত্রটিকে রমজানের শেষ ১০ দিনে বেজোর
রাত্রি খুজে নিতে হয়। এটা সকলেই জানেন। কিন্তু
আমরা মুসলমান জাতি কত হতভাগা আলেম সমাজের জন্য
আমরা এই রাত্রির ফজিলত থেকে বিচুত্য হয়ে যাচ্ছি।
জানিনা কাদের ভাগ্যে আছে এই রাত্রি। রাছুল সা. প্রস্থান
হয়েছেন কত বৎসর হয়ে গেল আজও এক আসমানের খবর
পাওয়া হলো না? কোটি কোটি মানুষ মরে গেল ইবাদত
করেই চলছে আসমানের খবর নিতে চেষ্টা করেন না। হযরত
আলী আ. তিঁনার নাহজুল বালাগ কিতাবে লিখেছেন
‘আমি তোমাদের সামনে থাকতে থাকতে প্রশ্ন
করে জেনে নাও; আমি জমীন থেকে আসমানের খবর
বেশী রাখি।’ এই চিন্তা চেতনা থেকেই এ বিষয়ে লেখার
চেষ্টা। মানুষের মনে যদি আমার মত চেতনার উদয় হয়
কোনটা সঠিক বা কি সঠিক?
আল্লাহর পবিত্র কোরআন অনুযায়ী রমজান মাস একই
সাথে শুরু হয়। কিন্তু চাঁদ যেহেতু দিন সময় নির্ধারনের জন্য।
চাঁদের উদয় উপস্থিতির জন্য বিভিন্ন দেশে কিছু সময়
আগে পরে রোজা শুরু হয়।এটাতে দ্বিমত করার উপায় নাই
এটা হবেই। যে দেশের সাথে আমাদের দিন তারিখের মিল
আছে তাদের সাথে আমাদের দ্বিমত হওয়ার সুযোগ নাই।
এবং বাংলাদেশের সাথে তো নাই-ই। ভিন্ন দেশের কথা বাদ
দিয়ে যদি নিজের দেশেই খেয়াল
করি তাহলে দেখতে পাবো কিছু কিছু মানুষ একদিন
আগে থেকে রোজা শুরু করে সেমতে তাদের কদরের
রাত্রিটিও একদিন আগে সংঘটিত হয়। আর
যারা আমরা একদিন পর থেকে রোযা শুরু করেছি আমাদের
কদরও একদিন পরই হচ্ছে। পর পর দুইদিন আমাদের
দেশে কদর পালিত হচ্ছে। পরপর দুইদিন তো বেজোড়
রাত্রি হতে পারে না। কথা হচ্ছে যেকোন এক দল এই
পবিত্র রাত্রির ফজিলত পায় অন্য দলের ইবাদত
বিফলে যাচ্ছে। যেহেতু কদরের উদেশ্য করেই পালন
করা হচ্ছে ইবাদত; এমনকি এতেকাফ পালন করে ঘর
ছেরে বাইরে থেকে যে ত্যাগ করছেন সেটাও বিফল।
যারা কদরের উদেশ্য করে ইবাদত করে তা সঠিক হয়
না তারা তো ‘কুলুর বলদ’ (সাড়াদিন কাজ
করে মায়না না পাওয়ার মত) ব্যতীত অন্য কিছুই নয়! পবিত্র
কোরআনের একটি আয়াত এখানে উল্লেখ করতে চাই
সূরা বাকারা
২:১৮৯# ‘তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের
বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ
এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম।’
উক্ত আয়াতটিতে আল্লাহ চাঁদ দেখে দিন নির্ধারন করার
নির্দেশ দিলেও বছরে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন
ব্যতীত সাড়া বছর কি আমরা আল্লাহর এই কথা মানি?
মানি না। সূর্যের দিকেই তাকিয়ে থাকি।
যারা বাংলাদেশে অবস্থান করেও ভিন্ন দেশের রীতি রেওয়াজ
মেনেও তাদের সাথে রোযা ঈদ পালন করেন তাদের
কি এটা চিন্তায় আসে না। শুধু রোযা একসাথে করলেই
মুসলমানের করণীয় সব হক আদায় হবে? এমনকি আমার
পাড়া পর্শির হক নষ্ট করি খুশি নষ্ট
করি যে পাড়াপর্শি তাদের যানাজা না পড়ে মাটি না দিলে লাশ
পরে থাকবে। কিভাবে তাদের বঞ্চিত করি। তাদের জন্য
একটা অসিয়ত রেখে যাওয়া জরুরী। তারা যদি অসুস্থ হয়
বা মারা যায় তাহলে যেন তাদের কওমের মানুষ এসে তাদের
দাফহ করেন। তারা খুশি পালন করবে ভিন্ন স্বজনদের
সাথে আর তাদের দু:খের বোঝা বহন
করবে পাড়াপর্শি এটাতে তো ভিন্নস্বজনের
সাথে খুশী পালনকারীরা ঋনী হয়েই যাবেন। কাজেই সময়
থাকতে চিন্তা করে বিচক্ষনতার পরিচয় দিন।

posted from Bloggeroid