Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Wednesday, September 3, 2014

কুরবানীর ইতিহাস

ডেস্ক : কুরবানী আল্লাহ তা‘আলার একটি বিধান।
আদম আলাইহিস সালাম হতে প্রত্যেক নবীর
যুগে কুরবানী করার ব্যবস্থা ছিল। যেহেতু প্রত্যেক
নবীর যুগে এর বিধান ছিল সেহেতু এর গুরুত্ব
অত্যধিক। যেমন ইরশাদ হয়েছে :
﴿ ِّﻞُﻜِﻟَﻭ ٖﺔَّﻣُﺃ ﺎَﻨۡﻠَﻌَﺟ ﺎٗﻜَﺴﻨَﻣ ْﺍﻭُﺮُﻛۡﺬَﻴِّﻟ َﻢۡﺳﭐ ِﻪَّﻠﻟﭐ
ٰﻰَﻠَﻋ ﺎَﻣ ﻢُﻬَﻗَﺯَﺭ ۢﻦِّﻣ ِﺔَﻤﻴِﻬَﺑ ِۗﻢَٰﻌۡﻧَﺄۡﻟﭐ ﴾ ‏[ ٣٤ :ﺞﺤﻟﺍ ]
‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানীর নিয়ম
করে দিয়েছি; তিনি তাদেরকে জীবনোপকরণ স্বরূপ
যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন
তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে। [সূরা আল-হাজ্জ:
৩৪]
﴿ ۞ ُﻞۡﺗﭐَﻭ ۡﻢِﻬۡﻴَﻠَﻋ َﺄَﺒَﻧ ۡﻲَﻨۡﺑﭐ َﻡَﺩﺍَﺀ ِّﻖَﺤۡﻟﭑِﺑ ۡﺫِﺇ
ﺎَﺑَّﺮَﻗ ﺎٗﻧﺎَﺑۡﺮُﻗ َﻞِّﺒُﻘُﺘَﻓ ۡﻦِﻣ ۡﻢَﻟَﻭ ﺎَﻤِﻫِﺪَﺣَﺃ َﻦِﻣ ۡﻞَّﺒَﻘَﺘُﻳ
﴾ِﺮَﺧٓﺄۡﻟﭐ ‏[ ٢٧ :ﺓﺪﺋﺎﻤﻟﺍ ]
‘আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ
যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন
তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর একজন
থেকে গ্রহণ করা হলো আর অপরজনের থেকে গ্রহণ
করা হলো না। [সূরা আল-মায়িদাহ:৩৪]
আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বন্ধু ইবরাহীম
আলাইহিস সালামকে বিভিন্ন পরীক্ষায় অবতীর্ণ
করেছেন এবং ইবরাহীম আলাইহিস সালাম সকল
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীমকে তার রবের
কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর
সে তা পূর্ণ করল। তিনি বললেন,
আমি তোমাকে নেতা বানাবো’। [সূরা আল-
বাকারাহ-১২৪] নিজ পুত্র যবেহ করার মত কঠিন
পরীক্ষার সম্মুখিন হয়েছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস
সালাম। এ বিষয়ে সূরা আস-সাফ্ফাতের ১০০
থেকে ১০৯ আয়াতে বলা হয়েছে,
﴿ ِّﺏَﺭ ۡﺐَﻫ ﻲِﻟ َﻦِﻣ َﻦﻴِﺤِﻠَّٰﺼﻟﭐ ١٠٠ ُﻪَٰﻧۡﺮَّﺸَﺒَﻓ ٍﻢَٰﻠُﻐِﺑ
ٖﻢﻴِﻠَﺣ ١٠١ ﺎَّﻤَﻠَﻓ َﻎَﻠَﺑ ُﻪَﻌَﻣ َﻲۡﻌَّﺴﻟﭐ َﻝﺎَﻗ ٓﻲِّﻧِﺇ َّﻲَﻨُﺒَٰﻳ
ٰﻯَﺭَﺃ ﻲِﻓ ِﻡﺎَﻨَﻤۡﻟﭐ ٓﻲِّﻧَﺃ َﻚُﺤَﺑۡﺫَﺃ ۡﺮُﻈﻧﭑَﻓ ﺍَﺫﺎَﻣ ٰۚﻯَﺮَﺗ
َﻝﺎَﻗ ِﺖَﺑَﺄَٰٓﻳ ۡﻞَﻌۡﻓﭐ ﺎَﻣ ُۖﺮَﻣۡﺆُﺗ ٓﻲِﻧُﺪِﺠَﺘَﺳ ﻥِﺇ َﺀٓﺎَﺷ ُﻪَّﻠﻟﭐ
َﻦِﻣ َﻦﻳِﺮِﺒَّٰﺼﻟﭐ ١٠٢ ٓﺎَّﻤَﻠَﻓ ﺎَﻤَﻠۡﺳَﺃ ۥُﻪَّﻠَﺗَﻭ ِﻦﻴِﺒَﺠۡﻠِﻟ
١٠٣ ُﻪَٰﻨۡﻳَﺪَٰﻧَﻭ ﻥَﺃ ١٠٤ ُﻢﻴِﻫَٰﺮۡﺑِﺈَٰٓﻳ ۡﺪَﻗ ۚٓﺎَﻳۡﺀُّﺮﻟﭐ َﺖۡﻗَّﺪَﺻ
ﺎَّﻧِﺇ َﻚِﻟَٰﺬَﻛ ﻱِﺰۡﺠَﻧ َﻦﻴِﻨِﺴۡﺤُﻤۡﻟﭐ ١٠٥ َّﻥِﺇ ﺍَﺬَٰﻫ َﻮُﻬَﻟ
ْﺍُﺆَٰٓﻠَﺒۡﻟﭐ ُﻦﻴِﺒُﻤۡﻟﭐ ١٠٦ ُﻪَٰﻨۡﻳَﺪَﻓَﻭ ٍﺢۡﺑِﺬِﺑ ٖﻢﻴِﻈَﻋ ١٠٧
ﺎَﻨۡﻛَﺮَﺗَﻭ ِﻪۡﻴَﻠَﻋ ﻲِﻓ َﻦﻳِﺮِﺧٓﺄۡﻟﭐ ١٠٨ ٌﻢَٰﻠَﺳ ٰٓﻰَﻠَﻋ
َﻢﻴِﻫَٰﺮۡﺑِﺇ ١٠٩ ﴾ ‏[:ﺕﺎﻓﺎﺼﻟﺍ ١٠٩ ،١٠٠ ]
অর্থ: তিনি বললেন, হে প্রভু! আমাকে নেক সন্তান
দান করুন। অতঃপর আমি তাকে সুসংবাদ দিলাম এক
অতীব ধৈর্যশীল সন্তানের। পরে যখন সে সন্তান
তার সাথে দৌড়াদৌড়ি করে বেড়ানোর
বয়সে পৌঁছলো তখন তিনি (ইবরাহীম আ:) একদিন
বললেন, হে বৎস ! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে,
আমি আল্লাহর হুকুমে তোমাকে যবেহ করছি এখন
তুমি চিন্তা-ভাবনা করে দেখ এবং তোমার অভিমত
কী? তিনি (ইসমাঈল) বললেন, হে পিতা আপনি তাই
করুন যা করতে আপনি আদিষ্ট হয়েছেন ।
ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের
মধ্যে পাবেন। অতঃপর যখন দু’জনই আল্লাহর আদেশ
মানতে রাজি হলেন, তখন তিনি (ইবরাহীম আ:)
পুত্রকে যবেহ করার জন্য শুইয়ে দিলেন।
আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইবরাহীম !
তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। আমি এভাবেই
নেক বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয়ই
এটি বড় পরীক্ষা। আর আমি তাকে বিনিময়
করে দিলাম এক বড় কুরবানীর
দ্বারা এবং তা পরবর্তীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন
করলাম। শান্তি বর্ষিত হোক ইবরাহীম (আ:) এর
উপর।”
একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভের
প্রত্যাশায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত কঠিনতম পরীক্ষায়
সাফল্যজনকভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্যে এক
মহান পিতার প্রাণাধিক পুত্রকে কুরবানী করার
মধ্য দিয়ে ধৈর্যশীলতার উত্তম নমুনা পেশ পৃথিবীর
ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। কুরআন
মাজীদে উল্লেখিত আয়াতসমূহে ইবরাহীম ও
ইসমাঈল আলাইহিমুস সালামের আত্মত্যাগ
এবং আল্লাহর প্রতি সীমাহীন আনুগত্যের সাবলীল
বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখিত আয়াত
দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, স্বীয় পুত্র যবেহ
না হয়ে দুম্বা যবেহ হওয়ার
মাধ্যমে উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর কুরবানী ওয়াজিব
হয়।

posted from Bloggeroid

No comments: