ঢাকা: চলতি পথে দেখা। ভালো লেগে যায় রাস্তায় বন্ধুদের
সাথে আড্ডারত কলেজপড়–য়া ছাত্র তরুণ তানভির
আহম্মেদকে। চোখা-চোখি চলে কয়েক দিন। এরপর
চলে চোখের ইশারা। যেন কিছুটা তন্ত্রমন্ত্রের মতো। তরুণ
ছেলেটি পটে যায় চোখের ইশারায়। এভাবেই
আস্তে আস্তে তা গড়াতে থাকে বহু দূর।
ভালো লাগা থেকে অসম প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তরুণ তানভির ও
দুই সন্তানের মা লাভলী ইয়াসমিন লিনা। পরকীয়ার
টানে স্বামীকে হত্যার মতো জঘন্য সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
স্বামী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার লাভলী পুলিশকে জানিয়েছেন
তার অসম প্রেমের কাহিনী।
তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে লাভলী ইয়াসমিন
লিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। একই সাথে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার তানভিরের দুই বন্ধু সাদমান
ইসলাম মুক্ত ও আকিবুল ইসলাম জিসানকেও
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে বুধবার তানভির
হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই
ইমানুর রহমান জানান, রিমান্ডে লাভলী ইয়াসমিন
স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। একই
সাথে তিনি কলেজপড়ুয়া তানভিরের সাথে অসম
প্রেমে জড়ানোর বিষয় জানিয়েছেন। তারই পরিকল্পনায়
স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে লাভলী ইয়াসমিন
লিনা পুলিশকে জানান, এক বছর আগে রাস্তায় চলার
পথে বাড়ির কাছে তানভির তার নজরে আসে।
কখনো মেয়েকে স্কুল থেকে আনার পথে, আবার
কখনো বাবার বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায়
দেখে ভালো লেগে যায় তানভিরকে। প্রথমে তাদের
মধ্যে চোখাচোখি হতো। হঠাৎ একদিন
লাভলী তানভিরকে চোখে ইশারা দেয়। এতে পটে যায়
ছেলেটি। লাভলীর পিছু নেয় তানভির। বাড়ি চিনে আসে।
এভাবে পিছু নিয়ে একদিন দুপুরে বাড়ির পাঁচতলার ফাটের
সামনে যায়। এ সময় লাভলী একটি টিস্যু পেপারে তার
মোবাইল নম্বর লিখে দরজার নিচ দিয়ে ছুড়ে দেন তানভিরকে।
এরপরে মোবাইলে তাদের প্রেমের আলাপ চলতে থাকে।
ধরতে গেলে প্রতিদিনই লাভলীর সাথে দেখা হতো তানভিরের।
বাবার বাড়ি বেড়ানোর ছলে লাভলী প্রায়ই
তানভিরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতো ও দৈহিক
সম্পর্কে লিপ্ত হতো। একপর্যায়ে স্বামীর
অবর্তমানে তানভিরকে নিজ বাসার বেডরুমেও নিয়ে যায়।
সন্তানদের অন্যকক্ষে রেখে তারা দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত
হতেন। এভাবে এক বছরের মাথায় লাভলী ও তানভির বিয়ের
সিদ্ধান্ত নেন। গোপনে তারা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়েও
করেন। কিন্তু লাভলী এতে পথের কাটা মনে করতেন
স্বামীকে। আর এ কারণেই তানভিরকে নিয়ে তিনি গিয়াস
উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লাভলী ইয়াসমিন
স্বামীকে হত্যার ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী দিতে রাজি হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
গ্রেফতারকৃত অপর আসামি তানভিরের বন্ধু সাদমান ইসলাম
মুক্ত ও আকিবুল ইসলাম জিসানকেও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ
চলছে। তারা হত্যার বিষয় জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
তবে তারা বন্ধু তানভিরের প্ররোচনায় ঘটনার দিন
রাতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের বাসায় যায় বলে জানায়।
হত্যাকাণ্ডের সময় তারা উপস্থিত থাকলেও
গিয়াসকে তানভিরই খুন করে বলে তারা দাবি করেছে।
এ দিকে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের দুই শিশুসন্তান
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশের হেফাজতে আছে। গিয়াস
উদ্দিনের বড় ভাই হাজী মাসুদুর রহমান জানান, গিয়াসের
মেয়ে ইশিকা আখতার (৮) ও ছেলে নিহাল (৫)
বর্তমানে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।
তিনি জানান, ইশিকা মনিপুর স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
বাবাই (গিয়াস) ইশিকাকে স্কুলে আনানেয়া করতেন।
তবে মাঝে মধ্যে তার স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিন
লিনা স্কুলে আনানেয়া করতেন। গিয়াসের দুই
সন্তানকে তারা তাদের জিম্মায় চান।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ১৫
নম্বর লেনের সি-ব্লকের ১১ নম্বরে নিজ বাড়ির পাঁচতলার
ফ্যাটে খুন হন ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন। ঘটনার পরপরই পুলিশ
জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রীকে আটক করে। পরে তার
দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ১০ নম্বর
এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তানভিরকে ও
রাতে সেনপাড়া থেকে অন্য দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তানভির আহম্মেদ নৌবাহিনী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ
নিয়েছিল। এর মধ্যে তানভিরের সাথে গিয়াসউদ্দিনের
স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিন লিনার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তারই
পরিকল্পনায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ড।
তানভির আহম্মেদ আদালতে স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের
কথা বর্ণনা করে জানিয়েছে, এক বছর ধরে লাভলী ইয়াসমিন
লিনার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক।
সে জানতো লাভলী ইয়াসমিন লিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার
দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে তাও তার জানা ছিল। স্বামী গিয়াস
উদ্দিন যখন বাসায় থাকতেন না, তখন তানভির লাভলীর বাসায়
যেত। বাসায় দুই সন্তানকে অন্য
কক্ষে খেলতে দিয়ে লাভলী ও তানভির প্রায়ই দৈহিক
কাজে লিপ্ত হতো। একপর্যায় লাভলীর পরকীয়ার বিষয়টি আঁচ
করতে পারেন গিয়াস উদ্দিন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর পর থেকেই লাভলী স্বামীকে হত্যার
জন্য তানভিরের সাথে পরিকল্পনা করতে থাকেন।
সাথে আড্ডারত কলেজপড়–য়া ছাত্র তরুণ তানভির
আহম্মেদকে। চোখা-চোখি চলে কয়েক দিন। এরপর
চলে চোখের ইশারা। যেন কিছুটা তন্ত্রমন্ত্রের মতো। তরুণ
ছেলেটি পটে যায় চোখের ইশারায়। এভাবেই
আস্তে আস্তে তা গড়াতে থাকে বহু দূর।
ভালো লাগা থেকে অসম প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তরুণ তানভির ও
দুই সন্তানের মা লাভলী ইয়াসমিন লিনা। পরকীয়ার
টানে স্বামীকে হত্যার মতো জঘন্য সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
স্বামী হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার লাভলী পুলিশকে জানিয়েছেন
তার অসম প্রেমের কাহিনী।
তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে লাভলী ইয়াসমিন
লিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। একই সাথে এ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার তানভিরের দুই বন্ধু সাদমান
ইসলাম মুক্ত ও আকিবুল ইসলাম জিসানকেও
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে বুধবার তানভির
হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই
ইমানুর রহমান জানান, রিমান্ডে লাভলী ইয়াসমিন
স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। একই
সাথে তিনি কলেজপড়ুয়া তানভিরের সাথে অসম
প্রেমে জড়ানোর বিষয় জানিয়েছেন। তারই পরিকল্পনায়
স্বামী গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে লাভলী ইয়াসমিন
লিনা পুলিশকে জানান, এক বছর আগে রাস্তায় চলার
পথে বাড়ির কাছে তানভির তার নজরে আসে।
কখনো মেয়েকে স্কুল থেকে আনার পথে, আবার
কখনো বাবার বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তায়
দেখে ভালো লেগে যায় তানভিরকে। প্রথমে তাদের
মধ্যে চোখাচোখি হতো। হঠাৎ একদিন
লাভলী তানভিরকে চোখে ইশারা দেয়। এতে পটে যায়
ছেলেটি। লাভলীর পিছু নেয় তানভির। বাড়ি চিনে আসে।
এভাবে পিছু নিয়ে একদিন দুপুরে বাড়ির পাঁচতলার ফাটের
সামনে যায়। এ সময় লাভলী একটি টিস্যু পেপারে তার
মোবাইল নম্বর লিখে দরজার নিচ দিয়ে ছুড়ে দেন তানভিরকে।
এরপরে মোবাইলে তাদের প্রেমের আলাপ চলতে থাকে।
ধরতে গেলে প্রতিদিনই লাভলীর সাথে দেখা হতো তানভিরের।
বাবার বাড়ি বেড়ানোর ছলে লাভলী প্রায়ই
তানভিরকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতো ও দৈহিক
সম্পর্কে লিপ্ত হতো। একপর্যায়ে স্বামীর
অবর্তমানে তানভিরকে নিজ বাসার বেডরুমেও নিয়ে যায়।
সন্তানদের অন্যকক্ষে রেখে তারা দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত
হতেন। এভাবে এক বছরের মাথায় লাভলী ও তানভির বিয়ের
সিদ্ধান্ত নেন। গোপনে তারা মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়েও
করেন। কিন্তু লাভলী এতে পথের কাটা মনে করতেন
স্বামীকে। আর এ কারণেই তানভিরকে নিয়ে তিনি গিয়াস
উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, লাভলী ইয়াসমিন
স্বামীকে হত্যার ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী দিতে রাজি হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
গ্রেফতারকৃত অপর আসামি তানভিরের বন্ধু সাদমান ইসলাম
মুক্ত ও আকিবুল ইসলাম জিসানকেও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ
চলছে। তারা হত্যার বিষয় জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
তবে তারা বন্ধু তানভিরের প্ররোচনায় ঘটনার দিন
রাতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের বাসায় যায় বলে জানায়।
হত্যাকাণ্ডের সময় তারা উপস্থিত থাকলেও
গিয়াসকে তানভিরই খুন করে বলে তারা দাবি করেছে।
এ দিকে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের দুই শিশুসন্তান
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশের হেফাজতে আছে। গিয়াস
উদ্দিনের বড় ভাই হাজী মাসুদুর রহমান জানান, গিয়াসের
মেয়ে ইশিকা আখতার (৮) ও ছেলে নিহাল (৫)
বর্তমানে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে।
তিনি জানান, ইশিকা মনিপুর স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
বাবাই (গিয়াস) ইশিকাকে স্কুলে আনানেয়া করতেন।
তবে মাঝে মধ্যে তার স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিন
লিনা স্কুলে আনানেয়া করতেন। গিয়াসের দুই
সন্তানকে তারা তাদের জিম্মায় চান।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ১৫
নম্বর লেনের সি-ব্লকের ১১ নম্বরে নিজ বাড়ির পাঁচতলার
ফ্যাটে খুন হন ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন। ঘটনার পরপরই পুলিশ
জড়িত সন্দেহে নিহতের স্ত্রীকে আটক করে। পরে তার
দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর ১০ নম্বর
এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তানভিরকে ও
রাতে সেনপাড়া থেকে অন্য দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তানভির আহম্মেদ নৌবাহিনী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ
নিয়েছিল। এর মধ্যে তানভিরের সাথে গিয়াসউদ্দিনের
স্ত্রী লাভলী ইয়াসমিন লিনার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তারই
পরিকল্পনায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ড।
তানভির আহম্মেদ আদালতে স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডের
কথা বর্ণনা করে জানিয়েছে, এক বছর ধরে লাভলী ইয়াসমিন
লিনার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক।
সে জানতো লাভলী ইয়াসমিন লিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। তার
দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে তাও তার জানা ছিল। স্বামী গিয়াস
উদ্দিন যখন বাসায় থাকতেন না, তখন তানভির লাভলীর বাসায়
যেত। বাসায় দুই সন্তানকে অন্য
কক্ষে খেলতে দিয়ে লাভলী ও তানভির প্রায়ই দৈহিক
কাজে লিপ্ত হতো। একপর্যায় লাভলীর পরকীয়ার বিষয়টি আঁচ
করতে পারেন গিয়াস উদ্দিন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর পর থেকেই লাভলী স্বামীকে হত্যার
জন্য তানভিরের সাথে পরিকল্পনা করতে থাকেন।
No comments:
Post a Comment