Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Sunday, May 4, 2014

সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতা :ইয়াবার ব্যাপারে যে ভয়ংকর সত্যগুলো আমরা জানি না!

:সুগন্ধি ট্যাবলেট
আজকাল গিলে খাচ্ছে বাংলাদেশকে।
এই মাদকের নেশায় আক্রান্ত
ছেলে বুড়ো সবাই। দৈনিক কালের
কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন
রোগের ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন’
আয়ুর্বেদ ওষুধের নামে এবার
বিক্রি করা হচ্ছে ভয়াবহ মাদক
ইয়াবা। প্যানাসিয়ার ভূমিকায় যেন
অবতীর্ণ হয়েছে ইয়াবা। উচ্ছল
তারুণ্য চনমনে চোখে ভর করছে এখন
শুন্য দৃষ্টি। ইয়াবার ইতিহাস
সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই।
তবে ইয়াবা সম্পর্কে ভয়াল
তথ্যগুলো আমরা কেউই জানি না। আর
জানি না বলেই অনেকের চোখেই এই
মাদক ভয়ংকর কিছু নয়। কী হয়
ইয়াবা সেবন করলে? আসুন, জানি সেই
ভয়াল তথ্যগুলো।
ইয়াবা সেবনকারীরা ৭ টি পর্যায়
অতিক্রম করে। ১। ঝোঁক ২। উচ্চ
পর্যায় ৩। অনিয়ন্ত্রিত গ্রহন ৪।
নিয়ন্ত্রন হারানো ৫। ভেঙে পড়া ৬।
অপ্রীতিকর পরিণাম ৭। মুক্তি
১। ঝোঁকঃ
ধোঁয়া বা ইনজেকশন যেভাবেই
নেয়া হোক না বেশ সুক্ষ
একটা সুখানুভূতি শুরু হয়
ইয়াবা সেবনকারীর বুকের মধ্যে।
যারা সেবন করেছেন, তাদের মধ্য
থেকে কেউ কেউ বলেছেন, অতিরিক্ত
কথা বলার একটা বাতিক দেখা যায়
সেবন করার পর। বৃদ্ধি পায় হার্ট
বিট, মেটাবোলিজম, ব্লাড প্রেসার।
এই ধরনের অনুভূতি থাকে ৫ মিনিট
থেকে ৩০ মিনিট।
২। উচ্চ পর্যায়
ঝোঁক পর্যায়ের পর আসে এই পর্যায়।
এই
পর্যায়ে ইয়াবা সেবনকারীরা নিজেদের
মনে করতে থাকে স্মার্ট, যুক্তিবাদী।
ফলে, কেউ কথা বললে, তাঁকে শেষ
করতে না দিয়েই বারেবারে নিজের
অজান্তে মানুষের কথার
মধ্যে ঢুকে পড়ে ইয়াবা সেবনকারীরা।
এই পর্যায়ে ডিলুশন ইফেক্ট
দেখা যায়। ইয়াবা সেবনকারীরা এই
পর্যায়ে অগুরুত্বপূর্ণ কাজ খুব
মনোযোগের সাথে করতে থাকে। হয়তো,
দেখা যাচ্ছে কেউ ঘণ্টার পর
ঘণ্টা ঘরের জানালা পরিস্কার
করছে। এই পর্যায় ৪ থেকে ১৬
ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৩। অনিয়ন্ত্রিত গ্রহণ
হাই পর্যায়ে বেশিক্ষন থাকার জন্য
সেবনকারীরা অতিরিক্ত গ্রহণ
করতে থাকে ইয়াবা। এই
পর্যায়ে সেবনকারী হয়ে উঠে শারীরিক
এবং মানসিক দিক থেকে হাইপার
একটিভ। এই ক্ষেত্রে ঝোঁক এবং উচ্চ
পর্যায় ছোট হতে থাকে, এক সময় নাই
হয়ে যায়।
৪। নিয়ন্ত্রন হারানো
ইয়াবা সেবনকারী এই
পর্যায়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। যতই
ইয়াবা নেয়া হোক না কেন,
সেবনকারী কিছুতেই আর প্রথম
এবং দ্বিতীয়
পর্যায়ে যেতে পারে না। সৃষ্টি হয়
ভয়ানক শূন্যতা। যেতে হয় ভয়ঙ্কর
পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে।
একসাথে ১৫ জনের সাথে যৌন মিলন
করা সম্ভব নয়, কিন্তু
ইয়াবা হলে সম্ভব। চামড়ার
নিচে আমাদের কখনোই
পোকা হেঁটে যায় না, কিন্তু এই
পর্যায়ে অবিশ্বাস্য রকমের
চুলকানি শুরু হয়, তাই আপনার ঠিকই
মনে হবে চামড়ার নিচ
দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে পোকা। কয়েকদিন
ধরে আসবে না আর কোন ঘুম।
৫। ভেঙ্গে পড়া
ধকল শরীর আর কুলাতে পারে না। এই
পর্যায়ে এসে সেবনকারীর ঘুম পায়। ৩
দিন স্থায়ী থাকে এই পর্যায়।
৬। অপ্রীতিকর পরিণাম
এই পর্যায়ে সেবনকারী শারীরিক,
মানসিক এবং ইমশনালি ভেঙে পড়ে।
আরও বেশী ইয়াবা গ্রহন করার জন্য
সেবনকারী অস্থির হয়ে পড়ে।
৭। মুক্তি
যদি কেউ ইয়াবা ছেড়ে দিতে চায়
তবে ৩০ থেকে ৯০ দিন সময়
লাগে এটা বুঝতে যে সে ছেড়ে দিতে যাচ্ছে।
তাই এটা খুবই কঠিন ছাড়ানো। ৯৩%
ক্ষেত্রে মুক্তি মেলে না!
এমন ভয়ংকর
একটা নেশা বাংলাদেশে আজ
মহামারীর আকার ধারন করেছে।
আকারের মাত্রা বুঝতে আসুন
দেখা যাক গত কয়েকদিনের
রিপোর্টের হেডলাইনঃ
> যৌন উত্তেজক আয়ুর্বেদ ওষুধের
নামে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা!
> টেকনাফে ৬১ হাজার
ইয়াবা উদ্ধার
> দাউদকান্দিতে ল্যাপটপের ভেতর
ইয়াবাসহ আটক ১
> এবার ফ্যানের বাক্সে ১ হাজার
ইয়াবা
> ইয়াবা পাচারে অভিনব কৌশল
আরও ইয়াবা সম্পর্কিত
খবরগুলো একসাথে পেতে এখানে ক্লিক
করে দেখতে পারেন।
Jane’s Intelligence Review
অনুযায়ী মায়ানমার বেশ কম দামে,
প্রমোশনাল রেটে সরবরাহ
করছে বাংলাদেশে। বার্মা বৃহৎ
ইয়াবা উৎপাদনকারী দেশ।
বিচ্ছিন্নতা বাদী সংগঠন
ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মি-এর মূল
অর্থের যোগান আসে এই
ইয়াবা বিক্রির মাধ্যমে।
সমকালের এক রিপোর্টে বলা হয়,
বাংলাদেশে ইয়াবার
চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। আর এই
ব্যাপক চাহিদা মেটাতে আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার তথ্যমতে,
সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপিত
হয়েছে ৩৭টি কারখানা। এসব
কারখানায় মিয়ানমারভিত্তিক ১০
ডিলার ওই সব কারখানায়
তৈরি করা প্রতিদিন গড়ে ৩০ লাখের
বেশি ইয়াবা পৌঁছে দেয় টেকনাফের
ডিলারদের কাছে। ইয়াবার ব্যাপক
চাহিদা মেটাতে মিয়ানমারের
মিয়ানমারের আট সংগঠনের
নিয়ন্ত্রণে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
ইয়াবা চোরাচালানে বাংলাদেশ
থেকে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকার
বেশি অর্থ মিয়ানমারে পাচার
হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ
অবৈধপথে পাচার হওয়ায়
প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে টাকার
অবমূল্যায়ন প্রতিদিনই বেড়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশি এক টাকার
বিপরীতে মিয়ানমারের
মুদ্রা বিনিময় হার নয় কিয়েতের
নিচে নেমে এসেছে। দু’বছর আগেও এই
মুদ্রা বিনিময় হারের ব্যবধান ছিল
১৫ টাকার বেশি। মিয়ানমার
থেকে সীমান্তপথে প্রতিমাসে আসছে প্রায়
২ হাজার কোটি টাকার ইয়াবা।
এসব তো শুধু অর্থের হিসেব, ইয়াবার
ফলে তৈরি হচ্ছে যে কত শত ঐশী,
সারিকা- এর হিসেব কি আমরা রাখব
না? যেখানে রোহিঙ্গা সমস্যার
চেয়েও প্রবল এই ইয়াবা মহামারী!

posted from Bloggeroid

No comments: