Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Sunday, May 4, 2014

অবশেষে সমাধান হতে যাচ্ছে রহস্যঘেরা

ডেস্ক :বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের
একটি প্রাচীন মিসরের পিরামিড।
আজতক বিজ্ঞানীদের কাছে সঠিক
ব্যাখ্যা নেই
যে কীভাবে তৈরি করা হলো এই ভীষণ
আশ্চর্য সৃষ্টি।
তবে অবশেষে কি সমাধান হতে চলল
সেই গহীন রহস্যের?
পিরামিড তৈরির গোপন রহস্য
আবিষ্কার করছেন ইউনিভার্সিটি অব
আমস্টারডামের একদল গবেষক। অন্তত
তাদের দাবী এমনটাই। পিরামিডের
বিশাল এক একটি পাথর খণ্ড
কীভাবে এনে পিরামিড
বানানো হয়েছিল তা এতকাল
ছিলো এক অভেদ্য রহস্য।
তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে নতুন ধরনের
ব্যাখ্যা দিলেন গবেষকরা।
পিজিকস নামে এক ওয়েবসাইটে নতুন
এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত
হয়। সেখানে বলা হয়েছে, মিসরের
পিরামিড বলতেই মরুভূমির
মাঝখানে পাথরের সুউচ্চ ত্রিকোণ
মনে ভেসে ওঠে। সেখানে নিশ্চয়ই
পানির কথা মনে আসে না। বিশার
আকারের পাথর খণ্ডগুলো আনার
বিষয়ে দারুণ চাতুর্যের পরিচয় দেয়
প্রাচীন মিসরের মানুষরা, জানান
গবেষকরা। তাদের মতে,
যে পথে পাথরগুলো টেনে নেওয়া হয়েছিল,
সে পথটিকে পানিতে ভিজিয়ে পিছল
করে নেওয়া হয়। এর পর প্রায় আড়াই
টন ওজনের পাথরের একেকটি খণ্ড
টেনে নেওয়া হয়। কারণ
কোনো বাহনে করে ওই ওজনের পাথর
বালি দিয়ে টেনে নিতে যে লোকবল
লাগতো, তার চেয়ে অর্ধেক মানুষ
লেগেছে পানিতে ভেজানো পথে পাথর
টেনে নিতে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,
সেখানকার মরুভূমির বালিতে সঠিক
পরিমাণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এতে পথটি ‘তরল ব্রিজের’ মতো কাজ
করে। পানিতে ভিজে বড় সাইজের
বালি কণাগুলো দ্বিগুণ
শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং সেগুলো যার
যার অবস্থানে আঠার
মতো লেগে থাকে। ফলে পাথর টানার
সময় বালি নিজ অবস্থান
থেকে সরে গিয়ে পাথরের
সামনে জড়ো হয়ে বাধার
সৃষ্টি করেনি।
ফলে সহজে এগিয়ে গেছে পাথর
খণ্ডগুলো। আবার এতে যদি অতিরিক্ত
পানি দেওয়া হতো,
তাহলে বালিকণা নরম
হয়ে মিশে যেতো। সঠিক
পরিমাণে পানি ব্যবহার
করে বালিকে এমন ‘লিকুইড ব্রিজ’ এ
পরিণত করার কৌশলে বিস্মিত
বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা আরো জানান, এসব
পিরামিডের
একটিতে দেয়ালে আঁকানো চিত্রে দেখা যায়,
বিশাল আকারের এক মূর্তিসহ এক
পাথর খণ্ডকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এক
দল মানুষ। আর একজন পাথরের
সামনে দাঁড়িয়ে পানি বালিতে পানি দিচ্ছেন।


Posted via Blogaway

No comments: