Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Wednesday, May 28, 2014

ধূমপানের চেয়ে ক্ষতিকর!

প্রতিবছর তামাকজনিত মৃত্যুর শিকার মানুষের
প্রতি ১০ জনের ১ জনই অধূমপায়ী। আর নারী ও
শিশুরা বরাবরই ধূমপানজনিত রোগের
ঝুঁকিতে বেশি পড়ে।
‘বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ মানুষ মারা যায়
কোনো না কোনোভাবে তামাকজনিত নানা অসুস্থতার
কারণে। আর এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ মানুষ
ধূমপায়ী না হয়েও মারা যায় পরোক্ষ ধূমপানজনিত কারণে।’
পরোক্ষ ধূমপানের নানা ঝুঁকির কথা তুলে ধরে এমন আরও
কিছু ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ৩১
মে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস’কে ঘিরে বিশ্ব সংস্থাটির
ওয়েবসাইটে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, প্রতিবছর তামাকজনিত
মৃত্যুর শিকার মানুষের প্রতি ১০ জনের ১ জনই অধূমপায়ী।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে আজ এ
বিষয়ে জানিয়েছে।
পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি
‘একটা সিগারেটের গোড়া (ফিলটার) পুড়তে থাকার সময়
যে ধোঁয়া বের হয় তা ধূমপায়ীর টেনে নেওয়া ধোঁয়াটুকুর
চেয়ে ক্ষতিকর, কেননা এই ধোঁয়াটুকু কোনো রকম
ছাঁকাছাঁকির ভেতর দিয়ে যায় না। আর এই ধোঁয়ায়
থাকা বস্তুকণাগুলোও অনেক ছোট হয়। ফলে সেগুলো অনেক
বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং মানুষের
ফুসফুসে প্রবেশ করে।’ এভাবেই পরোক্ষ ধূমপানের
ক্ষতিকর প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিলেন ভারতের কোকিলাবেন
ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতাল এবং মেডিকেল রিসার্চ
ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক এসপি রায়।
এই জাতীয় পরোক্ষ ধূমপান ফুসফুসের ক্যানসার, হূদরোগ,
শ্বাসনালিসংক্রান্ত হাঁপানি, স্থায়ী শ্বাসকষ্ট, নানা ধরনের
অ্যালার্জি এবং ফুসফুসের অন্যান্য রোগের জন্যও
দায়ী বলে জানিয়েছেন গ্লোবাল হসপিটালসের মেডিকেল
অঙ্কোলজি বিভাগের চিকিত্সক নিলেশ লোকেশ্বর।
ধূমপায়ীদের স্ত্রী বা স্বামী এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপানের
ক্ষেত্রে সহকর্মীরা এ ধরনের অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত
হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। এ ছাড়া নারী ও
শিশুরা বরাবরই ধূমপানজনিত রোগের ঝুঁকিতে বেশি পড়ে।
মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে সেভেন হিলস হাসপাতালের
বিশেষজ্ঞ অঙ্কোলজিস্ট ইন্দু আমবুলকার বলেন, ‘শিশুদের
শরীর পুরোপুরি বিকশিত না হওয়ায় বা গঠনের প্রক্রিয়ার
মধ্যে থাকায় পরোক্ষ ধূমপান তাদের জন্য আরও
বেশি ক্ষতিকর। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে শিশুরা নানা ধরনের
শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুখে আক্রান্ত হতে পারে,
এমনকি এটা তাদের ফুসফুসের বৃদ্ধিকেও বাধাগ্রস্ত
করতে পারে।’
সিগারেট ছুড়ে ফেলুন আজই
এমন অনেকেই আছেন যাঁরা নিয়মিত ধূমপান না করলেও
মাঝেমধ্যেই সিগারেটে একটা-দুটো টান দেন, ধূমপায়ীদের
সঙ্গেই একত্রে আড্ডায় বসেন, সময় কাটান। চিকিত্সক
ইন্দু আমবুলকার বলেন, ‘নন-ডেইলি স্মোকার’ (প্রতিদিন
ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তি) বা ‘সোশ্যাল-
স্মোকার’ (সামাজিকতা রক্ষায় ধূমপায়ী) হিসেবে বিবেচিত
মানুষেরা অনেক ক্ষেত্রেই নিয়মিত ধূমপায়ীদের তুলনায় কিছু
স্বাস্থ্য সমস্যায় বেশি ভোগেন। এঁদের ধূমপানজনিত
কাশি বেশি হয়, এঁরা শ্বাসকষ্টে বেশি ভোগেন। সিগারেট
টানছেন কিন্তু ধোঁয়াটা গিলছেন না, এমন মানুষও কিন্তু
উল্লেখযোগ্য হারেই হূদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। ফলে এমন
ধূমপায়ীরাও ধূমপান ছেড়ে দিতে আর ভাবনা-
চিন্তা না করে আজই সিগারেট ছুড়ে ফেলুন।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইচ্ছাশক্তিকেই
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ধূমপান
ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমদিকে নিকোটিনের
অভ্যাসজনিত নানা রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এ সময় অনিদ্রা, মেজাজ খিটখিটে থাকা, কোষ্ঠকাঠিন্য,
মাঝে মাঝে শরীরে কাঁপুনি বা ঝাঁকুনি এমনকি ওজনও
বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু সচেতন থেকে নিজেকে ধূমপান
থেকে বিরত রাখতে পারলে অচিরেই এসব ঠিক হয়ে যায়।
আর এ সময়টা বরং শারীরিক অনুশীলন বা ব্যায়াম শুরু করার
জন্যও ভালো। এ ছাড়া ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার
ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধব বা স্বজনদের একটা মিলিত
প্রচেষ্টা অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ উপকারী।


Posted via Blogaway

No comments: