Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Saturday, August 23, 2014

অনাহারে- অর্ধাহারে দুর্বিষহ দিন কাটছে লাখ লাখ বানভাসী মানুষের: পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণ

ডেস্ক: উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন
স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দেশের
প্রধান প্রধান ১২টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার
পানিতে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ একর ফসলী জমি ও
ঘরবাড়ি। এ ছাড়া নদীভাঙনে বিলীন
হয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও দোকানপাট।
পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন লাখ লাখ
মানুষ। বন্ধ রয়েছে অনেক এলাকার স্কুল, কলেজ ও
মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। ব্যাহত
হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পর্যাপ্ত
ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছায় অনাহারে-
অর্ধাহারে দিন কাটছে অনেক এলাকার
বানভাসী মানুষের।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী তিন
দিন পর থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকবে।
অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে দেশের মধ্যাঞ্চলের
বন্যা পরিস্থিতির।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের
নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল হোসেন বলেন, দেশের
বন্যা পরিস্থিতি এখনও অস্বাভাবিক অবস্থায়
নেই। শুধুমাত্র নদী ও
নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির
অবনতি ঘটেছে। গত কিছুদিন হল উত্তরের বেশ কিছু
এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও গত ২৪
ঘণ্টায় উত্তরের জেলা রংপুর, নীলফামারী,
লালমনিরহাটের ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর
পানি কিছুটা কমেছে। একই অবস্থা দেশের উত্তর-
পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা এলাকার।
তিনি বলেন, আগামী তিন দিন পর উত্তরাঞ্চলের
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে দেশের
মধ্যাঞ্চল- মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী,
মুন্সীগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ এলাকায়
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল
৬টা পযন্ত বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের
তথ্যানুযায়ী তিস্তা নদীর লালমনিরহাটের
ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১২
সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্টে ১৫
সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদীর
চিলমারী পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর
বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার,
যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৬৬
সেন্টিমিটার, সিরাজগঞ্জে ১৭ সেন্টিমিটার,
আরিচা পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আত্রাই নদীর
বাঘাবাড়ি পয়েন্টে ৮৯ সেন্টিমিটার,
ধলেশ্বরী নদীর এলাশীন পয়েন্টে ৬২
সেন্টিমিটার, লইক্ষ্যা নদীর লাখপুর পয়েন্টে ৪১
সেন্টিমিটার, পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৫
সেন্টিমিটার, সুরেশ্বর পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার,
সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার,
কংশ নদীর জারিয়া জাঞ্জাইল পয়েন্টে ১১
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কয়েক দিন ধরে চলমান বৃষ্টিপাত এবং উজান
থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে দেশের অধিকাংশ
প্রধান নদ-নদীর
পানি বেড়েছে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়।
আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আগামী ২৪
ঘণ্টায় দেশের প্রায় সব জায়গায়
ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় নদ-
নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট—
বগুড়া : বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায়
বন্যার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় এক সেন্টিমিটার
কমে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার
দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলার
চন্দনবাইশা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার
ভেঙে গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা এটিএম বেনজির রহমান জানান, বন্যায়
নয়টি ইউনিয়নের চার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
ও সাড়ে ২০ হাজার মানুষ
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের
তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারগুলোকে ত্রাণ তহবিল থেকে সার্বিক
সহযোগিতা করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার
নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম জানান,
শুক্রবারের তুলনায় যমুনা নদীতে শনিবার এক
সেন্টিমিটার পানি কমেছে। ফলে জেলার
সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায়
বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও
সাঘাটা উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ
বর্তমানে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। জেলা শহরের
মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ঘাঘট নদীর
পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের মিয়াপাড়া,
ডেভিট কোম্পানীপাড়াসহ কয়েক জায়গা হুমকির
মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার দুপুর পর্যন্ত
ঘাঘট নদী, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর
পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়ার
পানি যেকোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করবে। এ
ছাড়া শুধু তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২৪
সেন্টিসিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো ভাঙনকবলিত ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের
তীরবর্তী বাঁধের
১০টি পয়েন্টে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক
মীর আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত
চার উপজেলায় এক হাজার ৪৫৬ হেক্টর
আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এর
মধ্যে সাঘাটা উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর, সুন্দরগঞ্জ
উপজেলায় ৫৮৬ হেক্টর, গাইবান্ধা সদরে ১১০
হেক্টর ও ফুলছড়িতে ১১০ হেক্টর। এ সব জমিতে আউশ
ধান, আমন বীজতলা, রোপা আমন ধান ও
শাকসবজি রয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা
জানান, চার উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ৯ হাজার
পরিবারের ৪৫ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত
হয়ে পড়েছে। সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাবদ
বন্যাদুর্গত পরিবারের মধ্যে ইতোমধ্যে চাল ও
টাকাসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
রয়েছে।
কুড়িগ্রাম : ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩ সেন্টিমিটার
কমে জেলার চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৮ দিন
ধরে পানিবন্দী থাকায় দুর্ভোগ
চরমে উঠেছে বানভাসীদের। দুর্গত এলাকায়
চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। নৌকার শব্দ শুনলেই
ত্রাণের জন্য ছুটে যাচ্ছেন বানভাসী মানুষ।
হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম
বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের
মানুষেরা। পাশাপাশি গো-খাদ্যের সঙ্কট
দেখা দেওয়ায় গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন
তারা।
জেলার ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ
মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উলিপুর উপজেলার
বজরা ইউনিয়ন, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ,
হাতিয়া, দলদলীয়া, চিলমারী রানীগঞ্জ, রমনা,
অষ্টমীর চর, নয়ারহাট ও জোড়গাছ ইউনিয়ন,
রৌমারী উপজেলার দাতভাঙ্গা,
কর্তিমারী বন্দরের ইউনিয়ন, রাজিবপুর উপজেলার
মোহনগঞ্জ, কোদালকাটি রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন,
নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া, নারায়ণপুর,
কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার যাত্রাপুর, ঘোগাদহ,
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-
প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায়
ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস
পেয়ে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলার পানি ১
সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেলেও তিস্তার পানি হ্রাস
পেয়েছে ৬ সেন্টিমিটার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি ও
বেসরকারি পর্যায়ে সীমিত ত্রাণ তৎপরতা শুরু
হলেও বিপুলসংখ্যক বানভাসীর
ভাগ্যে জুটছে না তা। অনেক এলাকার
বানভাসী মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান,
জেলা প্রশাসন থেকে ২৫০ টন চাল ও ২ লাখ
টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা বিতরণ
করা হচ্ছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ : গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ
পয়েন্টে যমুনা নদীতে চার সেন্টিমিটার
পানি কমেছে। বর্তমানে যমুনা নদীর
পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর
পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। করতোয়া, বড়াল,
ইছামতী ও ফুলজোড় নদীর পানি স্থিতিশীল থাকায়
জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির
কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার
পানি না কমায় মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন
জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতির
কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুই
দিনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ
করা ১০০ টন চাল ও নগদ টাকা বন্যার্তদের
মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
পানি সরে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত
করে সহায়তা প্রদান করা হবে।
জামালপুর : জামালপুরে সার্বিক
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার
দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাহাদুরাঘাট
পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার হ্রাস
পেয়ে বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন
জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর)
নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার।
গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদের
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ,
সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলার
২৫ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শনিবার
বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হওয়ায় জামালপুর সদরের চার ইউনিয়নের প্রায় ১০
হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। বন্যার
কারণে জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাদুর্গত
এলাকার জনগণ বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন।
পাশাপাশি কাজ ও পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রীর সংকট
দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, এ
পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের জন্য ২৪ টন চাল, পাঁচ লাখ
টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে জামালপুর সিভিল সার্জন হাফিজুর রহমান
জানান, দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগের
চিকিৎসার জন্য ৭৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
শেরপুর : উজান থেমে নেমে আসা পানিতে পুরাতন
ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর ফেরিঘাট
পয়েন্টে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এতে ব্রহ্মপুত্র নদের জেগে ওঠা চরের
বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় লোকজন
ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে পানিবৃদ্ধির
সঙ্গে সঙ্গে শেরপুর সদর উপজেলার
চরপক্ষ্মীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারীপাড়াসহ
ডাকপাড়া, ভাগলদি, চুনিয়ারচর
গ্রামে নদীভাঙনে গত তিন দিনে শতাধিক
ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই এলাকার
কয়েকশ’ একর আমন ফসল এখন পানির নিচে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ
বেয়ে উজান থেকে বন্যার
পানি আছড়ে পড়ছে কুলুরচর বেপারীপাড়া গ্রামে।
এতে ওই এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ
করেছে। ভাঙনের মুখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের
ঘরবাড়ি সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় বসিন্দারা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ঠেকাতে ও ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষগুলোর
সাহায্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কেউ
কোনো সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। অবিলম্বে ভাঙন
ঠেকানোর উদ্যোগ না নিলে এ বছর কলুরচর
গ্রামটির প্রায় এক হাজার মানুষ নদের
গর্ভে তাদের বসতভিটা হারাবেন। এ
ছাড়া ভাঙনের কবলে পড়ে নিজস্ব
জমিজমা না থাকায় অনেকেই খোলা আকাশের
নিচে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ আবার অন্যের
জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন
এলাকাবাসীর সহায়তায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ওইসব গ্রামের কয়েক হাজার
মানুষ দীর্ঘদিন থেকে নদীভাঙনে প্রতি বছর
ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে অন্যত্র বসতি গড়ছেন। নিজস্ব
জায়গা না থাকায় তারা অনেকটা যাযাবরের
মতো জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আকবর
আলীকে সঙ্গে নিয়ে শেরপুর সদর উপজেলার
নির্বাহী কর্মকর্তা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন
করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন
ফারজানা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের
তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ
ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের
মধ্যে সাহায্যের জন্য
জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর
পানি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার চরাঞ্চলগুলোর
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি,
জ্বালানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও গবাদিপশুর
খাদ্যের সংকটে পানিবন্দী লোকদের দুর্ভোগ
পোহাতে হচ্ছে।
শনিবার লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর
পানি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার চর অঞ্চলগুলোর
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত
পরিবারের আহাজারি। অনেকে সর্বস্ব
হারিয়ে পথে বসেছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের
চেয়ারম্যানদের বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের
খোঁজখবর এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ
ছাড়া বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক
হাবিবুর রহমানকে রিপোর্ট করা হয়েছে।
দ্যা রিপোর্ট

posted from Bloggeroid

No comments: